চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী প্রযুক্তি-নির্ভর দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে গত ২৪ আগস্ট চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী ৫০টি পাইলট প্রকল্প উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পিএএ। একই সঙ্গে অকুপেশন-ভিত্তিক রেডিনেস এনালাইসিস ও কম্পিট্যান্সি স্ট্যান্ডার্ড এবং কারিকুলাম তৈরি বিষয়ক এক অনলাইন কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। অনলাইন কর্মশালাটি টেমাসেক ফাউন্ডেশন ও সিঙ্গাপুর পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনাল-এর সহযোগিতায় আইসিটি বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে। এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মোঃ আবদুল মান্নান, পিএএ এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় এটুআই-এর হেড অব ফিউচার অব ওয়ার্ক ল্যাব আসাদ-উজ-জামান ‘চতুর্থ শিল্প-বিপ্লব উপযোগী প্রযুক্তি নির্ভর ৫০টি পাইলট প্রজেক্ট’ এর ধারণাবিষয়ক একটি উপস্থাপনা প্রদান করেন। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন সিঙ্গাপুর পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনাল-এর জেনারেল ম্যানেজার এন্ড্রুও টান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, আমাদের সব উদ্যোগগুলোর সঙ্গে চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের উপাদানসমূহ সমন্বয় করে বিভিন্ন সেক্টরের দক্ষতা উন্নয়নে আমরা বর্তমানে কাজ শুরু করেছি। ভবিষ্যতে সকল সেক্টরে প্রযুক্তি-নির্ভর দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধি করা এখন আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।
সিঙ্গাপুর পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনাল-এর জেনারেল ম্যানেজার এন্ড্রুও টান বলেন, গত চার দশক ধরে বাংলাদেশ এবং সিংগাপুরের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ সম্পর্ক সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে আরো গতিশীল হয়েছে, আমরা এ যাত্রা অব্যাহত রাখতে চাই।
সভাপতির বক্তব্যে এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ আবদুল মান্নান বলেন, চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশে অনেক সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং সে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। এজন্য আমাদের অকুপেশন-ভিত্তিক রেডিনেস এ্যানালাইসিস করা প্রয়োজন এবং কম্পিটেন্সি স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে হবে। আমরা সিঙ্গাপুরভিত্তিক টেমাসেক ফাউন্ডেশন ও সিঙ্গাপুর পলিটেকনিক এর সহযোগিতায় ৫০টি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে ১৬টি প্রকল্প সরকারি দপ্তর (মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তর), ২৭টি প্রকল্প শিল্প প্রতিষ্ঠান/এসোসিয়েশন এবং ২টি পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় ৭টি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। এ প্রজেক্টসমূহ আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই এবং দেখাতে চাই চতুর্থ শিল্প-বিপ্লব মোকাবেলায় আমরা দক্ষতা অর্জন করেছি এবং আমাদের দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হবেন, উৎসাহিত হবেন। পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের ৭টি ধাপের মধ্যে ১ম ধাপ (দক্ষতা উন্নয়ন নীতি-নির্ধারকগণের জন্য সিঙ্গাপুরে কর্মশালা ও ২য় ধাপ (দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নকারীগণের জন্য বাংলাদেশে কর্মশালা) সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ৩য় ধাপে (দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নকারীগণের জন্য অকুপেশন ভিত্তিক রেডিনেস এনালাইসিস ও কম্পিট্যান্সি স্ট্যান্ডার্ড তৈরি) ৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ/কর্মশালা অনলাইনে আয়োজন করা হয়েছে।
টেক্সটাইল অ্যান্ড ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি ট্রেনিং সেন্টারের প্রধান নির্বাহি ডোরেন টান, বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ড (বিটিইবি)-এর উপ-পরিচালক (কোর্স অ্যাক্রিডেশন) এস এম শাহজাহান এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তাগণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০২০ , ৮ মহররম ১৪৪২, ২৮ আগস্ট ২০২০
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী প্রযুক্তি-নির্ভর দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে গত ২৪ আগস্ট চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী ৫০টি পাইলট প্রকল্প উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পিএএ। একই সঙ্গে অকুপেশন-ভিত্তিক রেডিনেস এনালাইসিস ও কম্পিট্যান্সি স্ট্যান্ডার্ড এবং কারিকুলাম তৈরি বিষয়ক এক অনলাইন কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। অনলাইন কর্মশালাটি টেমাসেক ফাউন্ডেশন ও সিঙ্গাপুর পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনাল-এর সহযোগিতায় আইসিটি বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে। এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মোঃ আবদুল মান্নান, পিএএ এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় এটুআই-এর হেড অব ফিউচার অব ওয়ার্ক ল্যাব আসাদ-উজ-জামান ‘চতুর্থ শিল্প-বিপ্লব উপযোগী প্রযুক্তি নির্ভর ৫০টি পাইলট প্রজেক্ট’ এর ধারণাবিষয়ক একটি উপস্থাপনা প্রদান করেন। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন সিঙ্গাপুর পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনাল-এর জেনারেল ম্যানেজার এন্ড্রুও টান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, আমাদের সব উদ্যোগগুলোর সঙ্গে চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের উপাদানসমূহ সমন্বয় করে বিভিন্ন সেক্টরের দক্ষতা উন্নয়নে আমরা বর্তমানে কাজ শুরু করেছি। ভবিষ্যতে সকল সেক্টরে প্রযুক্তি-নির্ভর দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধি করা এখন আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।
সিঙ্গাপুর পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনাল-এর জেনারেল ম্যানেজার এন্ড্রুও টান বলেন, গত চার দশক ধরে বাংলাদেশ এবং সিংগাপুরের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ সম্পর্ক সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে আরো গতিশীল হয়েছে, আমরা এ যাত্রা অব্যাহত রাখতে চাই।
সভাপতির বক্তব্যে এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ আবদুল মান্নান বলেন, চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশে অনেক সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং সে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। এজন্য আমাদের অকুপেশন-ভিত্তিক রেডিনেস এ্যানালাইসিস করা প্রয়োজন এবং কম্পিটেন্সি স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে হবে। আমরা সিঙ্গাপুরভিত্তিক টেমাসেক ফাউন্ডেশন ও সিঙ্গাপুর পলিটেকনিক এর সহযোগিতায় ৫০টি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে ১৬টি প্রকল্প সরকারি দপ্তর (মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তর), ২৭টি প্রকল্প শিল্প প্রতিষ্ঠান/এসোসিয়েশন এবং ২টি পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় ৭টি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। এ প্রজেক্টসমূহ আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই এবং দেখাতে চাই চতুর্থ শিল্প-বিপ্লব মোকাবেলায় আমরা দক্ষতা অর্জন করেছি এবং আমাদের দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হবেন, উৎসাহিত হবেন। পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের ৭টি ধাপের মধ্যে ১ম ধাপ (দক্ষতা উন্নয়ন নীতি-নির্ধারকগণের জন্য সিঙ্গাপুরে কর্মশালা ও ২য় ধাপ (দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নকারীগণের জন্য বাংলাদেশে কর্মশালা) সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ৩য় ধাপে (দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নকারীগণের জন্য অকুপেশন ভিত্তিক রেডিনেস এনালাইসিস ও কম্পিট্যান্সি স্ট্যান্ডার্ড তৈরি) ৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ/কর্মশালা অনলাইনে আয়োজন করা হয়েছে।
টেক্সটাইল অ্যান্ড ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি ট্রেনিং সেন্টারের প্রধান নির্বাহি ডোরেন টান, বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ড (বিটিইবি)-এর উপ-পরিচালক (কোর্স অ্যাক্রিডেশন) এস এম শাহজাহান এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তাগণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।