সিলেট

ব্যবসায়ীদের মজুদ পাথর অপসারণে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষিত

অভিযানে বিকল হচ্ছে নৌযানের মেশিন

সিলেটের লোভাছড়া পাথর কোয়ারি এলাকার দুই তীরে মজুদকৃত প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার পাথর নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। শুষ্ক মৌসুমে ইজারাদারের কাছ থেকে ক্রয় করা পাথর এখন প্রশাসনের বাধার কারণে অপসারণ করতে পারছেন না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ নিয়ে তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালত কোয়ারি এলাকা থেকে নিজেদের পাথর অপসারণের আদেশ দেন। কিন্তু এতে বাদ সাধেন সিলেটের পরিবেশ অধিদফতরসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পরিবেশ অধিদফতর কোয়ারি এলাকায় গিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্রয়কৃত পাথর অপসারণে বাধা দেয়ার পাশাপাশি বহনকৃত বিভিন্ন আকারের জাহাজ ও ট্রলারের মেশিন বিকল করে দিচ্ছে। গত বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টাস্কফোর্সের অভিযানে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। পরিবেশ অধিদফতরের আবেদনের প্রেক্ষিতেই এ অভিযান পরিচালিত হয়। তবে পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালকের ভাষ্য, তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ব্যবসায়ীরা তার কাছে আদালতের যথাযথ কাগজপত্র জমা দেননি। কিন্তু তার এই বক্তব্য মিথ্যে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীদের পক্ষের আইনজীবী। বুধবার কানাইঘাট উপজেলার লোভারমুখ বাজার ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, হঠাৎ মানুষের দৌড়াদৌড়ি। কি হয়েছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশ এসেছে। আমাদের ট্রলার, নৌকার মেশিন বালু দিয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে’। কিছুদূর সামনে এগিয়ে এর সত্যতা মেলে। দেখা যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও পরিবেশ অধিদফতরের লোকজনের উপস্থিতিতে বিভিন্ন নৌকার মেশিন বিকল করা হচ্ছে। এ সময় ব্যবসায়ীরা মেশিন বিকল না করার অনুরোধ জানালেও সংশ্লিষ্টরা তা শোনেননি।

অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘পরিবেশ অধিদফতরের আবেদনে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে’। কিন্তু কি কারণে এ অভিযান জানতে চাইলে ‘কারণতো অবশ্যই আছে, আমি উপরের নির্দেশে এসেছি’-একথা বলে তিনি পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

জানা যায়, লোভাছড়া কোয়ারি থেকে শুষ্ক মৌসুমে পাথর উত্তোলন করা হয়। কিন্তু ওই সময় সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় তা সরবরাহ বা অপসারণের একমাত্র উপায় বর্ষা মৌসুম। কিন্তু এই বর্ষায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে নৌ-যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা তাদের পাথর অপসারণ করতে পারেননি। ফলে নদীর দুই তীরে তা মজুদ রাখা হয়। এরইমধ্যে গত ১৩ এপ্রিল কোয়ারির ইজারার মেয়াদ শেষ হলে পরিবেশ অধিদফতরের চোখ পড়ে ওই পাথরের দিকে। তারা বিভিন্ন সময় সেখানে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে গত ১৫ ও ১৬ জুলাই অভিযান চালিয়ে নদীর তীরে অবৈধভাবে সংরক্ষণের অভিযোগে মজুদ করে রাখা সেই পাথর জব্দ করে নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেয় পরিবেশ অধিদফতর। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বরাবরই বলে আসছেন, ইজারার মেয়াদের মধ্যেই তারা পাথর মজুদ করেছেন। এটা জব্দ করা তাদের সঙ্গে অবিচার। কেননা তারা ব্যাংক ঋণ ও বিভিন্ন স্থান থেকে দেনা করে পাথর ক্রয় করেছেন। এ অবস্থায় তাদের পথে বসতে হবে। সর্বশেষ ৬ জন ব্যবসায়ী ২৮ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত পরিবেশ অধিদফতরের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত ভিন্ন ভিন্ন তারিখে প্রতিটি আদেশে ৩০ দিনের মধ্যে লোভছড়া তীর থেকে ব্যবসায়ীদের পাথর অপসারণের নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে ব্যবসায়ীদের দাবিকৃত পাথর সংশ্লিষ্টদের বুঝিয়ে দিতে বলেন।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঈনুল হক বুলবুল বলেন, আদালতের আদেশ আমলে নিচ্ছে না পরিবেশ অধিদফতর। আদালত যে আদেশ দিয়েছেন, তারমধ্যে দুটি আদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। অন্যগুলোও শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এই সময়ের মধ্যে পাথর অপসারণ করতে পারছেন না। কোয়ারি এলাকায় গিয়ে তাদের বার বার বাধা দেয়া হচ্ছে। এটা পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের আদালত অবমাননার শামিল।

এদিকে, উচ্চ আদালত ব্যবসায়ীদের পক্ষে আদেশ দেয়ার পর খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো সিলেট পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালকের উদ্দেশ্যে এক তদন্ত প্রতিবেদনে জানায়, লোভাছড়া নদীর তীরে জমাকৃত পাথর পরিবেশ অধিদফতর পরিচালিত জব্দ ও নিলামের সিদ্ধান্ত এখতিয়ার বহির্ভূত। গত ১৩ আগস্ট বিএমডি-এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জাফর উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসরণ করার কথাও বলা হয়। তারপরও থেমে থাকেনি অভিযান।

এ প্রসঙ্গে সিলেট পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান আহমদ বলেন, ‘অনেকে রিট করেছেন ভালো কথা। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু ব্যবসায়ীপক্ষ আদেশের কোন কাগজ দেখায়নি। এমনকি সার্টিফাইড কপিও নয়। একজনে একটি কাগজ দেখিয়েছেন, তাও এটি সাদা কাগজে। সার্টিফাইড কপিও বলা যাবে না। অনেকে জোরপূর্বক পাথর নিয়ে যাচ্ছে। তাই সেখানে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। তাই অভিযান হয়েছে। আদালতের যথাযথ কাগজ জমা দিলে কোন বাধা থাকবে না’। পরিচালকের এই বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ব্যবসায়ীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঈনুল হক বুলবুল বলেন, ‘এটা মিথ্যে কথা। আমরা আদেশের মূল কপিই জমা দেখিয়েছি। পরিচালক তা রিসিভ করেও রেখেছেন। কিন্তু তিনি বার বার বাধা দিয়ে আদালতের বেধে দেয়া দিনগুলো নষ্ট করছেন। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আহাজারি শুরু হয়েছে’।

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০২০ , ৮ মহররম ১৪৪২, ২৮ আগস্ট ২০২০

সিলেট

ব্যবসায়ীদের মজুদ পাথর অপসারণে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষিত

অভিযানে বিকল হচ্ছে নৌযানের মেশিন

বিশেষ প্রতিনিধি

image

সিলেট : মজুদ পাথর -সংবাদ

সিলেটের লোভাছড়া পাথর কোয়ারি এলাকার দুই তীরে মজুদকৃত প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার পাথর নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। শুষ্ক মৌসুমে ইজারাদারের কাছ থেকে ক্রয় করা পাথর এখন প্রশাসনের বাধার কারণে অপসারণ করতে পারছেন না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ নিয়ে তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালত কোয়ারি এলাকা থেকে নিজেদের পাথর অপসারণের আদেশ দেন। কিন্তু এতে বাদ সাধেন সিলেটের পরিবেশ অধিদফতরসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পরিবেশ অধিদফতর কোয়ারি এলাকায় গিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্রয়কৃত পাথর অপসারণে বাধা দেয়ার পাশাপাশি বহনকৃত বিভিন্ন আকারের জাহাজ ও ট্রলারের মেশিন বিকল করে দিচ্ছে। গত বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টাস্কফোর্সের অভিযানে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। পরিবেশ অধিদফতরের আবেদনের প্রেক্ষিতেই এ অভিযান পরিচালিত হয়। তবে পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালকের ভাষ্য, তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ব্যবসায়ীরা তার কাছে আদালতের যথাযথ কাগজপত্র জমা দেননি। কিন্তু তার এই বক্তব্য মিথ্যে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীদের পক্ষের আইনজীবী। বুধবার কানাইঘাট উপজেলার লোভারমুখ বাজার ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, হঠাৎ মানুষের দৌড়াদৌড়ি। কি হয়েছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশ এসেছে। আমাদের ট্রলার, নৌকার মেশিন বালু দিয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে’। কিছুদূর সামনে এগিয়ে এর সত্যতা মেলে। দেখা যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও পরিবেশ অধিদফতরের লোকজনের উপস্থিতিতে বিভিন্ন নৌকার মেশিন বিকল করা হচ্ছে। এ সময় ব্যবসায়ীরা মেশিন বিকল না করার অনুরোধ জানালেও সংশ্লিষ্টরা তা শোনেননি।

অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘পরিবেশ অধিদফতরের আবেদনে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে’। কিন্তু কি কারণে এ অভিযান জানতে চাইলে ‘কারণতো অবশ্যই আছে, আমি উপরের নির্দেশে এসেছি’-একথা বলে তিনি পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

জানা যায়, লোভাছড়া কোয়ারি থেকে শুষ্ক মৌসুমে পাথর উত্তোলন করা হয়। কিন্তু ওই সময় সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় তা সরবরাহ বা অপসারণের একমাত্র উপায় বর্ষা মৌসুম। কিন্তু এই বর্ষায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে নৌ-যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা তাদের পাথর অপসারণ করতে পারেননি। ফলে নদীর দুই তীরে তা মজুদ রাখা হয়। এরইমধ্যে গত ১৩ এপ্রিল কোয়ারির ইজারার মেয়াদ শেষ হলে পরিবেশ অধিদফতরের চোখ পড়ে ওই পাথরের দিকে। তারা বিভিন্ন সময় সেখানে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে গত ১৫ ও ১৬ জুলাই অভিযান চালিয়ে নদীর তীরে অবৈধভাবে সংরক্ষণের অভিযোগে মজুদ করে রাখা সেই পাথর জব্দ করে নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেয় পরিবেশ অধিদফতর। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বরাবরই বলে আসছেন, ইজারার মেয়াদের মধ্যেই তারা পাথর মজুদ করেছেন। এটা জব্দ করা তাদের সঙ্গে অবিচার। কেননা তারা ব্যাংক ঋণ ও বিভিন্ন স্থান থেকে দেনা করে পাথর ক্রয় করেছেন। এ অবস্থায় তাদের পথে বসতে হবে। সর্বশেষ ৬ জন ব্যবসায়ী ২৮ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত পরিবেশ অধিদফতরের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত ভিন্ন ভিন্ন তারিখে প্রতিটি আদেশে ৩০ দিনের মধ্যে লোভছড়া তীর থেকে ব্যবসায়ীদের পাথর অপসারণের নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে ব্যবসায়ীদের দাবিকৃত পাথর সংশ্লিষ্টদের বুঝিয়ে দিতে বলেন।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঈনুল হক বুলবুল বলেন, আদালতের আদেশ আমলে নিচ্ছে না পরিবেশ অধিদফতর। আদালত যে আদেশ দিয়েছেন, তারমধ্যে দুটি আদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। অন্যগুলোও শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এই সময়ের মধ্যে পাথর অপসারণ করতে পারছেন না। কোয়ারি এলাকায় গিয়ে তাদের বার বার বাধা দেয়া হচ্ছে। এটা পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের আদালত অবমাননার শামিল।

এদিকে, উচ্চ আদালত ব্যবসায়ীদের পক্ষে আদেশ দেয়ার পর খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো সিলেট পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালকের উদ্দেশ্যে এক তদন্ত প্রতিবেদনে জানায়, লোভাছড়া নদীর তীরে জমাকৃত পাথর পরিবেশ অধিদফতর পরিচালিত জব্দ ও নিলামের সিদ্ধান্ত এখতিয়ার বহির্ভূত। গত ১৩ আগস্ট বিএমডি-এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জাফর উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসরণ করার কথাও বলা হয়। তারপরও থেমে থাকেনি অভিযান।

এ প্রসঙ্গে সিলেট পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান আহমদ বলেন, ‘অনেকে রিট করেছেন ভালো কথা। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু ব্যবসায়ীপক্ষ আদেশের কোন কাগজ দেখায়নি। এমনকি সার্টিফাইড কপিও নয়। একজনে একটি কাগজ দেখিয়েছেন, তাও এটি সাদা কাগজে। সার্টিফাইড কপিও বলা যাবে না। অনেকে জোরপূর্বক পাথর নিয়ে যাচ্ছে। তাই সেখানে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। তাই অভিযান হয়েছে। আদালতের যথাযথ কাগজ জমা দিলে কোন বাধা থাকবে না’। পরিচালকের এই বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ব্যবসায়ীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঈনুল হক বুলবুল বলেন, ‘এটা মিথ্যে কথা। আমরা আদেশের মূল কপিই জমা দেখিয়েছি। পরিচালক তা রিসিভ করেও রেখেছেন। কিন্তু তিনি বার বার বাধা দিয়ে আদালতের বেধে দেয়া দিনগুলো নষ্ট করছেন। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আহাজারি শুরু হয়েছে’।