বাগেরহাটের চিতলমারীতে সপ্তাহ ধরে বিরামহীন বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে চিত্রা, বলেশ্বর ও মধুমতি নদীর স্বাভাবিকের তুলনায় ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর বাঁধ উপচে পানি গ্রাম ও মাঠে প্রবেশ করেছে। এতে উপজেলার ১০টি গ্রামসহ ফসলি জমি, মৎস্যঘের ডুবে গেছে। ভেঁসে গেছে চিংড়ি ও সাদামাছ। একইসঙ্গে পানের বরজ, টমেটোর বীজতলা,আখক্ষেত এবং সদ্যরোপিত আমনসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অপূরণীয় এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাষিরা সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার জানান, আকস্মিক বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে সবজি, বীজতলা, পান ও মরিচ চাষের প্রায় ৯৯৭ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে মোট ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য অফিসার সোহেল মো.জিল্লুর রহমান রিগান জানান, মৎস্য চাষিদের পুকুর ও ঘেরের ২৭৪ হেক্টর জমির চাষের মাছ ভেঁসে গেছে। যার ক্ষতির পরিমাণ ২৩ কোটি ৩৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বলে ধারণা করা হয়েছে। যদি পানি বৃদ্ধি পায় ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে।
খড়মখলী গ্রামের অসীম বিশ্বাস, শ্যামপাড়া গ্রামের আবজাল শেখ ও আড়–য়াবর্নী গ্রামের আনিছ তরফদারসহ চাষিরা জানায়, দেশে করোনাভাইরাস আসার পর কাছে যে নগদ টাকা ছিল তা খরচ হয়ে গেছে। ধারদেনা করে মাছ ও সবজি চাষ করেছি যা ছিল বাঁচার শেষ সম্বল। হঠাৎ বৃষ্টি ও জোয়ারে তাও নষ্ট হয়ে গেছে! এখন বৌ-বাচ্চা নিয়ে বাঁচার পথ খুঁজে পাচ্ছি না। আমাদের এই অপূরণীয় ক্ষতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শনিবার, ২৯ আগস্ট ২০২০ , ৯ মহররম ১৪৪২, ২৯ আগস্ট ২০২০
প্রতিনিধি, চিতলমারী (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের চিতলমারীতে সপ্তাহ ধরে বিরামহীন বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে চিত্রা, বলেশ্বর ও মধুমতি নদীর স্বাভাবিকের তুলনায় ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর বাঁধ উপচে পানি গ্রাম ও মাঠে প্রবেশ করেছে। এতে উপজেলার ১০টি গ্রামসহ ফসলি জমি, মৎস্যঘের ডুবে গেছে। ভেঁসে গেছে চিংড়ি ও সাদামাছ। একইসঙ্গে পানের বরজ, টমেটোর বীজতলা,আখক্ষেত এবং সদ্যরোপিত আমনসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অপূরণীয় এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাষিরা সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার জানান, আকস্মিক বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে সবজি, বীজতলা, পান ও মরিচ চাষের প্রায় ৯৯৭ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে মোট ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য অফিসার সোহেল মো.জিল্লুর রহমান রিগান জানান, মৎস্য চাষিদের পুকুর ও ঘেরের ২৭৪ হেক্টর জমির চাষের মাছ ভেঁসে গেছে। যার ক্ষতির পরিমাণ ২৩ কোটি ৩৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বলে ধারণা করা হয়েছে। যদি পানি বৃদ্ধি পায় ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে।
খড়মখলী গ্রামের অসীম বিশ্বাস, শ্যামপাড়া গ্রামের আবজাল শেখ ও আড়–য়াবর্নী গ্রামের আনিছ তরফদারসহ চাষিরা জানায়, দেশে করোনাভাইরাস আসার পর কাছে যে নগদ টাকা ছিল তা খরচ হয়ে গেছে। ধারদেনা করে মাছ ও সবজি চাষ করেছি যা ছিল বাঁচার শেষ সম্বল। হঠাৎ বৃষ্টি ও জোয়ারে তাও নষ্ট হয়ে গেছে! এখন বৌ-বাচ্চা নিয়ে বাঁচার পথ খুঁজে পাচ্ছি না। আমাদের এই অপূরণীয় ক্ষতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।