সুন্দরগঞ্জে শতাধিক পাম্প জব্দ করলেও থামেনি বালু উত্তোলন

গত এক বছরের ব্যবধানে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে প্রশাসন শতাধিক পাম্প ও পাইপসহ স্যালো মেশিন জব্দ করলেও থামেনি বালু উত্তোলন।

নিলামে ক্রয় করে নিয়ে পুনরায় ওই পাম্প ও মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করবে জেনে আজও জব্দকৃত পাম্প ও মেশিন নিলামে বিক্রি করা হয়নি। উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে জব্দ করে নিয়ে আসা কয়েক লাখ টাকার পাম্প ও মেশিনসমূহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরপরও থেমেনি এক শ্রেণীর অসাধু বালু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী কিছুসংখ্যক নেতাকর্মীর বালু উত্তোলন। অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বেলকা, বামনডাঙ্গা, ধোপাডাঙ্গা, তারাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। একটি সুত্রে জানা গেছে বালু ব্যবসায়ীরা উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারি, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধির সাথে আতাত রক্ষা করে বালু উত্তোলন করে আসছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে বেলকা ইউনিয়নের এক বালু ব্যবসায়ী জানান, সে দীর্ঘদিন থেকে সকলের সাথে যোগাযোগ করে বেলকা বাজার এলাকায় বালু উত্তোলন করে আসছে।

এছাড়া প্রতিদিন উপজেলা শহরের ভিতর দিয়ে বালুবাহী ট্রাক্টর অবাধে যাতায়াত করে আসছে। অভিজ্ঞমহলের প্রশ্ন এসব বালুবার্হী ট্রাক্টর কোথা থেকে আসছে। এদিকে অবকাঠামো নির্মাণকারী ঠিকাদার ও জনসাধারণ অবকাঠামো নির্মাণের জন্য কোথা থেকে বালু উত্তোলন করবে সে বিষয়ে আজও কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি উপজেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে বালু মহাল ঘোষণা দেয়ার কথা থাকলে আজও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। বেলকা ইউনিয়নের একরামুল হক জানান, তার ঘর নির্মাণের জন্য বালু প্রয়োজন। জেলার বাহির থেকে বালু নিয়ে এসে কাজ করারমত সাধ্য তার নাই। সেক্ষেত্রে তিনি কোথা থেকে বালু সংগ্রহ করব।

তিনি সরকারিভাবে বালু মহল ঘোষণার দাবি জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা যাবে না। কারণ বালু উত্তোলনের কারণে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হতে পারে।

শনিবার, ২৯ আগস্ট ২০২০ , ৯ মহররম ১৪৪২, ২৯ আগস্ট ২০২০

সুন্দরগঞ্জে শতাধিক পাম্প জব্দ করলেও থামেনি বালু উত্তোলন

প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

গত এক বছরের ব্যবধানে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে প্রশাসন শতাধিক পাম্প ও পাইপসহ স্যালো মেশিন জব্দ করলেও থামেনি বালু উত্তোলন।

নিলামে ক্রয় করে নিয়ে পুনরায় ওই পাম্প ও মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করবে জেনে আজও জব্দকৃত পাম্প ও মেশিন নিলামে বিক্রি করা হয়নি। উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে জব্দ করে নিয়ে আসা কয়েক লাখ টাকার পাম্প ও মেশিনসমূহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরপরও থেমেনি এক শ্রেণীর অসাধু বালু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী কিছুসংখ্যক নেতাকর্মীর বালু উত্তোলন। অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বেলকা, বামনডাঙ্গা, ধোপাডাঙ্গা, তারাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। একটি সুত্রে জানা গেছে বালু ব্যবসায়ীরা উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারি, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধির সাথে আতাত রক্ষা করে বালু উত্তোলন করে আসছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে বেলকা ইউনিয়নের এক বালু ব্যবসায়ী জানান, সে দীর্ঘদিন থেকে সকলের সাথে যোগাযোগ করে বেলকা বাজার এলাকায় বালু উত্তোলন করে আসছে।

এছাড়া প্রতিদিন উপজেলা শহরের ভিতর দিয়ে বালুবাহী ট্রাক্টর অবাধে যাতায়াত করে আসছে। অভিজ্ঞমহলের প্রশ্ন এসব বালুবার্হী ট্রাক্টর কোথা থেকে আসছে। এদিকে অবকাঠামো নির্মাণকারী ঠিকাদার ও জনসাধারণ অবকাঠামো নির্মাণের জন্য কোথা থেকে বালু উত্তোলন করবে সে বিষয়ে আজও কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি উপজেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে বালু মহাল ঘোষণা দেয়ার কথা থাকলে আজও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। বেলকা ইউনিয়নের একরামুল হক জানান, তার ঘর নির্মাণের জন্য বালু প্রয়োজন। জেলার বাহির থেকে বালু নিয়ে এসে কাজ করারমত সাধ্য তার নাই। সেক্ষেত্রে তিনি কোথা থেকে বালু সংগ্রহ করব।

তিনি সরকারিভাবে বালু মহল ঘোষণার দাবি জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা যাবে না। কারণ বালু উত্তোলনের কারণে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হতে পারে।