সুধারামে পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

নোয়াখালীর সুধারাম থানার চন্দ্রপুরে পুলিশের অভিযান টের পেয়ে পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মাইজদী বাজার এলাকা কিশোর গ্যাং কমান্ডার নিহত ও এক সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। আহত সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। জানা যায়, টিভি সেন্টার সংলগ্ন আতাউর রহমান কিছুদিন আগে তার একটা মোটরসাইকেল বিক্রি করে চন্দ্রপুরের আবদুল কাইয়ুমের নিকট। পরবর্তীতে কাইয়ুমের বাসার গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। কাইয়ুম সন্দেহ হলে সে এলাকার কিশোর গ্যাংদের স্মরণাপন্ন হয়। গত বুধবার রাতে কিশোর গ্যাং গ্রুপের কমান্ডার রাজু ওরফে ছোট রাজুর নেতৃত্বে বাবু, শাকিল, বাবুসহ ৭-৮ জনের একটি দল আতাউরকে বাসা থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে এনে মাইজদী স্টেশন সড়কের আহমেদ ভবনের চার তলায় আটকে মারধর করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৩শত টাকার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এ ফাঁকে কিশোর গ্যাং এর আরেকটি গ্রুপ আাতাউরের বাসা থেকে একটা ফ্রিজসহ মালামাল লুট করে। এ ব্যাপারে আতাউরের আতœীয়রা ৯৯৯ এ অভিযোগ করলে সুধারাম পুলিশ চন্দ্রপুর আহমেদ ভবনের অভিযান চালায় এবং ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিম আতাউরকে উদ্ধার করে। এবং ঘটনাস্থলে থাকা ঘটনার নায়ক আবদুল কাইয়ুম (কবির হাট) বাবুল (চন্দ্রপুর, মাইজদী) আতাউর রহমান (বেগমগঞ্জ) নছির আহম্দ শাকিলকে (মাইজদী) গ্রেফতার করে এবং ১টি ফ্রিজ উদ্ধার করে। এদিকে পুলিশের অভিযান টের পেয়ে কিশোর গ্যাং কমান্ডার রাজু ওরফে ছোট রাজু ও বাবু ভবনের ছাদে উঠে পাইপ বেয়ে নামার সময় দুজনই পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর এলাকাবাসী পুনরায় পুলিশকে জানালে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজুকে মৃত ঘোষণা করে এবং বাবুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করে। সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া জানায় গ্রেফতারকৃত আসামি দের নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

শনিবার, ২৯ আগস্ট ২০২০ , ৯ মহররম ১৪৪২, ২৯ আগস্ট ২০২০

সুধারামে পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সুধারাম থানার চন্দ্রপুরে পুলিশের অভিযান টের পেয়ে পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মাইজদী বাজার এলাকা কিশোর গ্যাং কমান্ডার নিহত ও এক সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। আহত সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। জানা যায়, টিভি সেন্টার সংলগ্ন আতাউর রহমান কিছুদিন আগে তার একটা মোটরসাইকেল বিক্রি করে চন্দ্রপুরের আবদুল কাইয়ুমের নিকট। পরবর্তীতে কাইয়ুমের বাসার গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। কাইয়ুম সন্দেহ হলে সে এলাকার কিশোর গ্যাংদের স্মরণাপন্ন হয়। গত বুধবার রাতে কিশোর গ্যাং গ্রুপের কমান্ডার রাজু ওরফে ছোট রাজুর নেতৃত্বে বাবু, শাকিল, বাবুসহ ৭-৮ জনের একটি দল আতাউরকে বাসা থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে এনে মাইজদী স্টেশন সড়কের আহমেদ ভবনের চার তলায় আটকে মারধর করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৩শত টাকার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এ ফাঁকে কিশোর গ্যাং এর আরেকটি গ্রুপ আাতাউরের বাসা থেকে একটা ফ্রিজসহ মালামাল লুট করে। এ ব্যাপারে আতাউরের আতœীয়রা ৯৯৯ এ অভিযোগ করলে সুধারাম পুলিশ চন্দ্রপুর আহমেদ ভবনের অভিযান চালায় এবং ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিম আতাউরকে উদ্ধার করে। এবং ঘটনাস্থলে থাকা ঘটনার নায়ক আবদুল কাইয়ুম (কবির হাট) বাবুল (চন্দ্রপুর, মাইজদী) আতাউর রহমান (বেগমগঞ্জ) নছির আহম্দ শাকিলকে (মাইজদী) গ্রেফতার করে এবং ১টি ফ্রিজ উদ্ধার করে। এদিকে পুলিশের অভিযান টের পেয়ে কিশোর গ্যাং কমান্ডার রাজু ওরফে ছোট রাজু ও বাবু ভবনের ছাদে উঠে পাইপ বেয়ে নামার সময় দুজনই পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর এলাকাবাসী পুনরায় পুলিশকে জানালে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজুকে মৃত ঘোষণা করে এবং বাবুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করে। সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া জানায় গ্রেফতারকৃত আসামি দের নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।