পদ্মার রেল প্রকল্পের ক্ষতিপূরণে দুর্নীতি সহ্য করা হবে না জেলা প্রশাসক

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতু রেল লাইন এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। এ সময় রেল লাইনে অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ পেতে কোন দালালদের শরণাপন্ন না হতে ক্ষতিগ্রস্তদের বিভিন্ন সচেতনতামূলক পরামর্শ দেন। এছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ভূমি সংক্রান্ত যে কোন অফিসে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন ছাড়াই সঠিক সেবা পাওয়ার আশ^াস দেন তিনি।

জানা যায়, গতকাল দুপুরে পদ্মা সেতুর রেল লাইন প্রকল্পের শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর ইউনিয়নের গোয়ালকান্দাসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। এ সময় তিনি রেল লাইনে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ক্ষতিপূরণ পেতে দালালদের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার না করার জন্য উপস্থিত সবাইকে আহ্বান করেন। ক্ষতিপূরণ পেতে ডিসি অফিসের তথ্য সেবা সেন্টারের পরামর্শ নিয়ে আবেদনকারীকে উপস্থিত হয়ে সব কার্যক্রম সম্পাদনের আহ্বান করেন। এছাড়া ক্ষতিপূরণ পেতে ডিসি অফিসসহ কোন অফিসে কোন কাজের জন্য হয়রানি করা হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে জানাতে বলেন। যাতে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন ছাড়াই ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন। এদিন তিনি স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোয়ালকান্দার পাশর্^বর্তী দত্তপাড়া ইউনিয়নের চরবাচামারা এলাকার একটি বিল থেকে ৫টি অবৈধ ড্রেজারের পাইপ কেটে ধ্বংস করেন। এ সময় শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম রকিবুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, পদ্মা সেতুর রেল লাইনের ক্ষতিপূরণের জন্য ৭ ধারার নোটিস দেয়া হয়েছে। অনেকেই তাদের চাহিদা মোতাবেক ক্ষতিপূরণ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। সেটি সরেজমিনে দেখলাম। একইসঙ্গে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের জানিয়ে দিয়ে গেলাম, তারা যেন কোন অবস্থাতেই দালালদের শরণাপন্ন না হন। কোন অবস্থাতেই কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না। স্বচ্ছতা নিশ্চিতে আমরা ডিসি অফিসে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছি।

শনিবার, ২৯ আগস্ট ২০২০ , ৯ মহররম ১৪৪২, ২৯ আগস্ট ২০২০

পদ্মার রেল প্রকল্পের ক্ষতিপূরণে দুর্নীতি সহ্য করা হবে না জেলা প্রশাসক

প্রতিনিধি, শিবচর (মাদারীপুর)

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতু রেল লাইন এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। এ সময় রেল লাইনে অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ পেতে কোন দালালদের শরণাপন্ন না হতে ক্ষতিগ্রস্তদের বিভিন্ন সচেতনতামূলক পরামর্শ দেন। এছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ভূমি সংক্রান্ত যে কোন অফিসে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন ছাড়াই সঠিক সেবা পাওয়ার আশ^াস দেন তিনি।

জানা যায়, গতকাল দুপুরে পদ্মা সেতুর রেল লাইন প্রকল্পের শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর ইউনিয়নের গোয়ালকান্দাসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। এ সময় তিনি রেল লাইনে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ক্ষতিপূরণ পেতে দালালদের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার না করার জন্য উপস্থিত সবাইকে আহ্বান করেন। ক্ষতিপূরণ পেতে ডিসি অফিসের তথ্য সেবা সেন্টারের পরামর্শ নিয়ে আবেদনকারীকে উপস্থিত হয়ে সব কার্যক্রম সম্পাদনের আহ্বান করেন। এছাড়া ক্ষতিপূরণ পেতে ডিসি অফিসসহ কোন অফিসে কোন কাজের জন্য হয়রানি করা হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে জানাতে বলেন। যাতে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন ছাড়াই ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন। এদিন তিনি স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোয়ালকান্দার পাশর্^বর্তী দত্তপাড়া ইউনিয়নের চরবাচামারা এলাকার একটি বিল থেকে ৫টি অবৈধ ড্রেজারের পাইপ কেটে ধ্বংস করেন। এ সময় শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম রকিবুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, পদ্মা সেতুর রেল লাইনের ক্ষতিপূরণের জন্য ৭ ধারার নোটিস দেয়া হয়েছে। অনেকেই তাদের চাহিদা মোতাবেক ক্ষতিপূরণ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। সেটি সরেজমিনে দেখলাম। একইসঙ্গে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের জানিয়ে দিয়ে গেলাম, তারা যেন কোন অবস্থাতেই দালালদের শরণাপন্ন না হন। কোন অবস্থাতেই কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না। স্বচ্ছতা নিশ্চিতে আমরা ডিসি অফিসে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছি।