বাসা থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার

পারিবারিক কলহে হত্যা-আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে বলে ধারণা

রাজধানীর তেজগাঁও নাখালপাড়া এলাকার একটি এনজিও অফিস থেকে কর্মচারী ফারজানা আক্তার (৩৩) এবং তার স্বামী আসমত আলীর (৪৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকাল ১০টায় আশা নামের ওই এনজিও অফিস থেকে ওই দম্পতির লাশ উদ্ধার হয়। এরমধ্যে স্বামী আসমত আলীর লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আর স্ত্রী ফারজানার লাশ মেজেতে পড়ে থাকা অবস্থায় পায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে। পুলিশ ধারণা করছে, পারিবারিক কারণে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী আত্মহত্যা করেছে।

নিহত দম্পতির পরিবার বলছে, আসমত ও ফারজানার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। কলহ থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ বলছে, স্ত্রীকে পরকীয়ার পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে না পারায় তাকে হত্যার পর আত্মহত্যা করে স্বামী আসমত। নিহত দম্পতির গ্রামের বাড়ি নরসিংদী। তিন সন্তান নিয়ে ১৬৩ পশ্চিম নাখালপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। আসমত মাস ব্যবসায়ী ছিলেন। আর ফারজানা আশা এনজিও’র নাখালপাড়া শাখায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন।

তেজগাঁও থানা পুলিশ জানায়, ওই দম্পতির বড় ছেলে রিফাত গতকাল সকালে ফোন করে পুলিশকে জানায়, বাবা-মায়ের ঘর থেকে তারা কোন সাড়া-শব্দ পাচ্ছে না, দরজাও খুলছে না। এই খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সকাল ৯টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করে। আসমতকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আর ফারজানাকে মেঝে থেকে উদ্ধার করা হয়। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করে। ফারজানার নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ায় পুলিশ প্রথমে মনে করেছিল তাকে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তবে সিআইডি’র ক্রাইম সিন ফারজানার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পায়নি। বরং তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করায় গলায় দাগ পাওয়া গেছে বলে ক্রাইম সিন ইউনিটের এক সদস্য জানিয়েছেন।

নিহতের বড় ছেলে রিফাতের বরাত দিয়ে তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) কামাল উদ্দিন জানান, ওই দম্পতি ১৬৩ পশ্চিম নাখালপাড়ায় থাকতেন। ফারজানা যেহেতু এনজিও অফিসে কাজ করতো। সেহেতু এনজিও যখন বন্ধ থাকতো, বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার ফারজানাকে পাহারাদার হিসেবে এনজিও অফিসে থাকতে হতো। সে একা ভয় পাবে বলে তার স্বামী এবং তিন সন্তানকে বন্ধের দিনগুলোতে এনজিও অফিসে নিয়ে আসতো। তারা ওখানে থাকতো, খেতো। তাই গত বৃহস্পতিবার ফারজানার পুরো পরিবার এনজিও অফিসে যায়। ওসি জানান, ফারজানার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সে ছেলে-সন্তান রেখে দুইবার কথিত প্রেমিকের সঙ্গে চলে গেছে। পরে আবার তাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এ নিয়ে আগ থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। তবে সপ্তাহ খানেক ধরে এই কলহ তীব্র হতে থাকে। আসমতের সন্দেহ ছিল, ফারজানার এখনও পরকীয়া সম্পর্কে রয়েছে। তাই ছেলে-সন্তানের কথা চিন্তা করে হলেও ফারজানাকে এ পথ থেকে ফিরে আসতে বার বার অনুরোধ করে আসমত। অন্যদিকে নিজেকে তালাক দিতে স্বামীকে বার বার চাপ দিচ্ছিল ফারজানা। এ বিষয় নিয়ে সপ্তাহ খানেক ধরে চলতে থাকা ঝগড়াঝাটি দেখে সন্তানদের মন খারাপ হয়। তাই ১৫ বছর বয়সী বড় ছেলে রিফাত গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার বাবা-মাকে নিয়ে বসে এবং বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করে। পরে আসমত রিফাতকে বলেন, বাবা তুমি তোমার রুমে যাও। আমি তোমার আম্মুর সঙ্গে একটু কথা বলব। রিফাত ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে তার রুমে চলে যায়। ২০/২২ মিনিট পর রিফাত রুমের দরজায় নক করলে ভেতর থেকে কোন সাড়া শব্দ না আসায় সে ভেবেছিল, বাবা-মা হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু সকালেও তাদের সাড়া-শব্দ না পেয়ে এবং অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় সে পুলিশকে খবর দেয়। ওসি জানান, ফারজানার গলায় দাগ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে আসমত। এর বাইরে এ ঘটনা নিয়ে অন্য কিছু ভাবার কোন কারণ নেই।

কলেজ ছাত্রকে হত্যা

এদিকে রিকশাচালককে মারধরের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটেদের হাতে খুন হয়েছেন সোহাগ নামে এক কলেজ ছাত্র। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর উত্তরখান এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় কিশোর গ্যাং গ্রুপের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হলেও মূল কিলারকে গ্রেফতার করা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। সোহাগ উত্তরা পাবলিক কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এ বছর তার এইচএসসি পরীক্ষা ছিল। এছাড়াও তিনি উত্তরখান ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ সদস্য ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উত্তরখান রাজাবাড়ি খ্রিস্টান পাড়ায় এক রিকশাচালককে মারধরের প্রতিবাদ করায় কয়েকজন যুবক সোহাগকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।

উত্তরখান থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উত্তরখানে রাজাবাড়ী খ্রিস্টান পাড়ায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন কলেজছাত্র সোহাগ। সেখানে কয়েকজন যুবকও দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন একটি রিকশা যাওয়ার সময় ওই যুবকদের একজনের গায়ে কাঁদা ছিটে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে যুবকগুলো রিকশাচালককে মারধর করেন। এর প্রতিবাদ জানাতে এগিয়ে যান সোহাগ। তখন বখাটেরা সোহাগকেও একটি চড় দেয় এবং সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা সোহাগকে উত্তরা নর্দার্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহারাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল দুপুর ২টার দিকে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে সোহাগের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সোহাগের বড় ভাই সোলাইমান বলেন, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আমার ভাইকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার জনকে পুলিশ রাতেই আটক করে। তবে মূল আসামি হৃদয় পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। আমার ভাই এ বছর এইচইসসি পরীক্ষার্থী ছিল। রিকশাচালককে মারধরের প্রতিবাদ করায় আজ আমার ভাইকে ওরা হত্যা করল। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

আরও খবর
সবজির দাম লাগামহীন
করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা আরও বাড়ানোর আহ্বান কাদেরের
চাঁদাবাজির মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
নতুন ইস্যু ও রি-ইস্যু পাসপোর্টের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হচ্ছে
পদ্মার রেল প্রকল্পের ক্ষতিপূরণে দুর্নীতি সহ্য করা হবে না জেলা প্রশাসক
সোনালি আঁশের সোনালি দিন ফেরার ইঙ্গিত
নব্য জেএমবির সদস্য গ্রেফতার
সংক্রামক অণুবীজ শনাক্তে নতুন গবেষণাগার হচ্ছে
ইসির অধিকার ছিনতাই করে নিজের হাতে নিতে চাইছে সরকার রিজভী
৪২ মে.টন পলিথিন জব্দ
অপহরণের অভিযোগে ৬ কিশোর গ্রেফতার
সিলেটে উচ্চ আদালতের আদেশ নিয়ে নাটকীয়তা বিব্রত পুলিশ
নদীতে বিলীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

শনিবার, ২৯ আগস্ট ২০২০ , ৯ মহররম ১৪৪২, ২৯ আগস্ট ২০২০

রাজধানীর নাখালপাড়ায়

বাসা থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার

পারিবারিক কলহে হত্যা-আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে বলে ধারণা

রাজধানীর তেজগাঁও নাখালপাড়া এলাকার একটি এনজিও অফিস থেকে কর্মচারী ফারজানা আক্তার (৩৩) এবং তার স্বামী আসমত আলীর (৪৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকাল ১০টায় আশা নামের ওই এনজিও অফিস থেকে ওই দম্পতির লাশ উদ্ধার হয়। এরমধ্যে স্বামী আসমত আলীর লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আর স্ত্রী ফারজানার লাশ মেজেতে পড়ে থাকা অবস্থায় পায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে। পুলিশ ধারণা করছে, পারিবারিক কারণে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী আত্মহত্যা করেছে।

নিহত দম্পতির পরিবার বলছে, আসমত ও ফারজানার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। কলহ থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ বলছে, স্ত্রীকে পরকীয়ার পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে না পারায় তাকে হত্যার পর আত্মহত্যা করে স্বামী আসমত। নিহত দম্পতির গ্রামের বাড়ি নরসিংদী। তিন সন্তান নিয়ে ১৬৩ পশ্চিম নাখালপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। আসমত মাস ব্যবসায়ী ছিলেন। আর ফারজানা আশা এনজিও’র নাখালপাড়া শাখায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন।

তেজগাঁও থানা পুলিশ জানায়, ওই দম্পতির বড় ছেলে রিফাত গতকাল সকালে ফোন করে পুলিশকে জানায়, বাবা-মায়ের ঘর থেকে তারা কোন সাড়া-শব্দ পাচ্ছে না, দরজাও খুলছে না। এই খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সকাল ৯টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করে। আসমতকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আর ফারজানাকে মেঝে থেকে উদ্ধার করা হয়। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করে। ফারজানার নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ায় পুলিশ প্রথমে মনে করেছিল তাকে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তবে সিআইডি’র ক্রাইম সিন ফারজানার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পায়নি। বরং তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করায় গলায় দাগ পাওয়া গেছে বলে ক্রাইম সিন ইউনিটের এক সদস্য জানিয়েছেন।

নিহতের বড় ছেলে রিফাতের বরাত দিয়ে তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) কামাল উদ্দিন জানান, ওই দম্পতি ১৬৩ পশ্চিম নাখালপাড়ায় থাকতেন। ফারজানা যেহেতু এনজিও অফিসে কাজ করতো। সেহেতু এনজিও যখন বন্ধ থাকতো, বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার ফারজানাকে পাহারাদার হিসেবে এনজিও অফিসে থাকতে হতো। সে একা ভয় পাবে বলে তার স্বামী এবং তিন সন্তানকে বন্ধের দিনগুলোতে এনজিও অফিসে নিয়ে আসতো। তারা ওখানে থাকতো, খেতো। তাই গত বৃহস্পতিবার ফারজানার পুরো পরিবার এনজিও অফিসে যায়। ওসি জানান, ফারজানার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সে ছেলে-সন্তান রেখে দুইবার কথিত প্রেমিকের সঙ্গে চলে গেছে। পরে আবার তাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এ নিয়ে আগ থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। তবে সপ্তাহ খানেক ধরে এই কলহ তীব্র হতে থাকে। আসমতের সন্দেহ ছিল, ফারজানার এখনও পরকীয়া সম্পর্কে রয়েছে। তাই ছেলে-সন্তানের কথা চিন্তা করে হলেও ফারজানাকে এ পথ থেকে ফিরে আসতে বার বার অনুরোধ করে আসমত। অন্যদিকে নিজেকে তালাক দিতে স্বামীকে বার বার চাপ দিচ্ছিল ফারজানা। এ বিষয় নিয়ে সপ্তাহ খানেক ধরে চলতে থাকা ঝগড়াঝাটি দেখে সন্তানদের মন খারাপ হয়। তাই ১৫ বছর বয়সী বড় ছেলে রিফাত গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার বাবা-মাকে নিয়ে বসে এবং বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করে। পরে আসমত রিফাতকে বলেন, বাবা তুমি তোমার রুমে যাও। আমি তোমার আম্মুর সঙ্গে একটু কথা বলব। রিফাত ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে তার রুমে চলে যায়। ২০/২২ মিনিট পর রিফাত রুমের দরজায় নক করলে ভেতর থেকে কোন সাড়া শব্দ না আসায় সে ভেবেছিল, বাবা-মা হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু সকালেও তাদের সাড়া-শব্দ না পেয়ে এবং অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় সে পুলিশকে খবর দেয়। ওসি জানান, ফারজানার গলায় দাগ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে আসমত। এর বাইরে এ ঘটনা নিয়ে অন্য কিছু ভাবার কোন কারণ নেই।

কলেজ ছাত্রকে হত্যা

এদিকে রিকশাচালককে মারধরের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটেদের হাতে খুন হয়েছেন সোহাগ নামে এক কলেজ ছাত্র। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর উত্তরখান এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় কিশোর গ্যাং গ্রুপের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হলেও মূল কিলারকে গ্রেফতার করা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। সোহাগ উত্তরা পাবলিক কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এ বছর তার এইচএসসি পরীক্ষা ছিল। এছাড়াও তিনি উত্তরখান ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ সদস্য ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উত্তরখান রাজাবাড়ি খ্রিস্টান পাড়ায় এক রিকশাচালককে মারধরের প্রতিবাদ করায় কয়েকজন যুবক সোহাগকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।

উত্তরখান থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উত্তরখানে রাজাবাড়ী খ্রিস্টান পাড়ায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন কলেজছাত্র সোহাগ। সেখানে কয়েকজন যুবকও দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন একটি রিকশা যাওয়ার সময় ওই যুবকদের একজনের গায়ে কাঁদা ছিটে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে যুবকগুলো রিকশাচালককে মারধর করেন। এর প্রতিবাদ জানাতে এগিয়ে যান সোহাগ। তখন বখাটেরা সোহাগকেও একটি চড় দেয় এবং সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা সোহাগকে উত্তরা নর্দার্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহারাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল দুপুর ২টার দিকে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে সোহাগের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সোহাগের বড় ভাই সোলাইমান বলেন, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আমার ভাইকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার জনকে পুলিশ রাতেই আটক করে। তবে মূল আসামি হৃদয় পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। আমার ভাই এ বছর এইচইসসি পরীক্ষার্থী ছিল। রিকশাচালককে মারধরের প্রতিবাদ করায় আজ আমার ভাইকে ওরা হত্যা করল। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।