ইসির অধিকার ছিনতাই করে নিজের হাতে নিতে চাইছে সরকার রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের অধিকার ‘ছিনতাই করে’ সরকার তা ‘নিজের হাতে’ নিতে চাইছে। তারা (নির্বাচন কমিশন) নিজেরা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেরাই নিজেদেরকে একেবারে আমি যেটা বলব হিজরায় পরিণত করছেন। হিজরা- না পুরুষ না মেয়ে। ইলিয়াস আলীসহ দলের অন্য নেতাকর্মীদের কারা গুম করেছে, তা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। রুনেসার সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিতে এবং সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবিরের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রমেশ দত্ত, আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, রুনেসার নুরুজ্জামান মানিক, অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান তপন, ইশতিয়াক আহমেদ রাফি, মাহবুব আলম ফরহাদ বক্তব্য দেন। জাসাসের জাহেদুল আলম হিটো, কৃষক দলের মেহেদি হাসান পলাশ, জাহাঙ্গীর আলম, রুনেসার মতিয়ার রহমান মতি দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হল ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দিলরুবা শওকতের মৃত্যুতে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (রুনেসা) উদ্যোগে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

রিজভী বলেন, গণতন্ত্র মিন করলে পরে নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সার্বভৌম সত্ত্বা। সংবিধান তাদের (ইসি) দায়িত্ব দিয়েছে এই স্বাধীনতার, তাদের এটা নিজস্ব স্বাধীনতা। কেউ কি নিজের স্বাধীনতা খর্ব করে? আজকে নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছায় সমর্পণ করেছেন নিজেদের স্বাধীনতা সরকারের কাছে। নির্বাচন কমিশনের এই ক্ষমতাকে এখন ‘সরকার নিজের হাতে রাখবে।, প্রয়োজন হলে যদি কথা কেউ না শোনে, তাহলে বলবে- তুমি বাদ। ওই আইন এমন হবে, শেখ হাসিনা হবেন অখ- ক্ষমতার অধিকারী। বিএনপি কথা শুনছেন না? ওর রেজিস্ট্রেশন বাদ, ওমুক দল কথা শুনবে না তো ওর রেজিস্ট্রেশন বাদ। বাকশাল কীভাবে ক্রমান্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। বাকশাল মানে কী? বাকশাল মানে একদলীয় শাসন, বাকশাল মানে অন্যের কোন কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে না, গণমাধ্যম থাকবে না, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকবে না। কেউ যদি সরকারের সমালোচনা করে তাহলে জননিরাপত্তা আইনে তাকে আটকে রাখা হবে।

তিনি বলেন, আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের দলের লোকদের বলেছেন, সাবধান, বেশি বাড়াবাড়ি কইরেন না। কখন কী হয়ে যায় বলা যায় না। এখন এই কথা বলে লাভ কী? গত ১২ বছর পাচার হয়ে গেল বরকতের টাকা, ফরিদপুরের ছাত্রলীগের সভাপতির টাকা। আর কত শাহেদ, শামীম ও সম্রাট! আপনারা ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন এসব কথা বললেই নেতাকর্মীরা অনেকটা সতর্ক থাকত। রিজভীর দাবি, ‘ইলিয়াস আলীর মতো একজন এমপিকে গুম করে দেয়া হলো। কে করেছে সেটাতো আপনি, ওবায়দুল কাদের তা জানেন। আপনি জানেন রাজশাহীর হিরুকে গুম করেছে। সেইদিন কেন আপনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নেতাকর্মীদের বলেননি, সবাই সাবধান থাকবেন। কখন কী ঘটে যায়। এতো অন্যায়, এত টাকা প্রচার। তাদেরতো (আওয়ামী লীগের) ভয় থাকার কথা। হয়তো তিনি মুখ ফসকে বলেছেন।

শনিবার, ২৯ আগস্ট ২০২০ , ৯ মহররম ১৪৪২, ২৯ আগস্ট ২০২০

ইসির অধিকার ছিনতাই করে নিজের হাতে নিতে চাইছে সরকার রিজভী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের অধিকার ‘ছিনতাই করে’ সরকার তা ‘নিজের হাতে’ নিতে চাইছে। তারা (নির্বাচন কমিশন) নিজেরা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেরাই নিজেদেরকে একেবারে আমি যেটা বলব হিজরায় পরিণত করছেন। হিজরা- না পুরুষ না মেয়ে। ইলিয়াস আলীসহ দলের অন্য নেতাকর্মীদের কারা গুম করেছে, তা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। রুনেসার সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিতে এবং সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবিরের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রমেশ দত্ত, আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, রুনেসার নুরুজ্জামান মানিক, অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান তপন, ইশতিয়াক আহমেদ রাফি, মাহবুব আলম ফরহাদ বক্তব্য দেন। জাসাসের জাহেদুল আলম হিটো, কৃষক দলের মেহেদি হাসান পলাশ, জাহাঙ্গীর আলম, রুনেসার মতিয়ার রহমান মতি দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হল ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দিলরুবা শওকতের মৃত্যুতে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (রুনেসা) উদ্যোগে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

রিজভী বলেন, গণতন্ত্র মিন করলে পরে নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সার্বভৌম সত্ত্বা। সংবিধান তাদের (ইসি) দায়িত্ব দিয়েছে এই স্বাধীনতার, তাদের এটা নিজস্ব স্বাধীনতা। কেউ কি নিজের স্বাধীনতা খর্ব করে? আজকে নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছায় সমর্পণ করেছেন নিজেদের স্বাধীনতা সরকারের কাছে। নির্বাচন কমিশনের এই ক্ষমতাকে এখন ‘সরকার নিজের হাতে রাখবে।, প্রয়োজন হলে যদি কথা কেউ না শোনে, তাহলে বলবে- তুমি বাদ। ওই আইন এমন হবে, শেখ হাসিনা হবেন অখ- ক্ষমতার অধিকারী। বিএনপি কথা শুনছেন না? ওর রেজিস্ট্রেশন বাদ, ওমুক দল কথা শুনবে না তো ওর রেজিস্ট্রেশন বাদ। বাকশাল কীভাবে ক্রমান্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। বাকশাল মানে কী? বাকশাল মানে একদলীয় শাসন, বাকশাল মানে অন্যের কোন কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে না, গণমাধ্যম থাকবে না, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকবে না। কেউ যদি সরকারের সমালোচনা করে তাহলে জননিরাপত্তা আইনে তাকে আটকে রাখা হবে।

তিনি বলেন, আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের দলের লোকদের বলেছেন, সাবধান, বেশি বাড়াবাড়ি কইরেন না। কখন কী হয়ে যায় বলা যায় না। এখন এই কথা বলে লাভ কী? গত ১২ বছর পাচার হয়ে গেল বরকতের টাকা, ফরিদপুরের ছাত্রলীগের সভাপতির টাকা। আর কত শাহেদ, শামীম ও সম্রাট! আপনারা ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন এসব কথা বললেই নেতাকর্মীরা অনেকটা সতর্ক থাকত। রিজভীর দাবি, ‘ইলিয়াস আলীর মতো একজন এমপিকে গুম করে দেয়া হলো। কে করেছে সেটাতো আপনি, ওবায়দুল কাদের তা জানেন। আপনি জানেন রাজশাহীর হিরুকে গুম করেছে। সেইদিন কেন আপনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নেতাকর্মীদের বলেননি, সবাই সাবধান থাকবেন। কখন কী ঘটে যায়। এতো অন্যায়, এত টাকা প্রচার। তাদেরতো (আওয়ামী লীগের) ভয় থাকার কথা। হয়তো তিনি মুখ ফসকে বলেছেন।