মধুপুরে কাঁকড়াগুনি-শোলাকুড়ি সড়ক যেন চষাক্ষেত ! দুর্ভোগ

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের কাকড়াগুনি-শোলাকুড়ি ৮ কি.মি. কাঁচা সড়ক চাষের জমিতে পরিণত হয়েছে। এ কারণে গারো সম্প্রদায় ও স্থানীয় জনগণ যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। কৃষি নির্ভর এ ইউনিয়ন ও আশপাশের ইউনিয়নগুলো কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে বিপাকে রয়েছে। কৃষিপণ্য পরিবহন করতেও গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। এছাড়া এ এলাকায় রয়েছে কলা ও আনারসের পাতা থেকে তৈরির ফাইভার কারখানা। এ কারখানার কাঁচামাল সংগ্রহ ও তৈরিকৃত পণ্য পরিবহন করতে নানা কষ্ট করতে হয়। স্থানীয়দের দাবি সড়কটি পাকাকরণের।

সরেজমিনে কাকড়াগুনি গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাকড়াগুনি, জয়নাগাছা, বেদুরিয়া, বন্দরিয়া, শোলাকুড়ি, হরিণধরা, জালাবাদা, গায়রা, টেলকি, সাধুপাড়াসহ আশপাশের ইউনিয়নের লোকজন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। সড়কটির মাথার অংশে টেলকী থেকে গায়রা পর্যন্ত ১ কি.মি. ও কাকড়াগুনি থেকে বেদুরিয়া পর্যন্ত ১ কি.মি. পাকা হয়েছে। গায়রা থেকে কাকড়াগুনি ব্রিজ পর্যন্ত ২ কি.মি. ও বেদুরিয়া থেকে শোলাকুড়ি পর্যন্ত ৭ কি.মি. পাঁকা না হওয়ায় বর্ষাকালে চলাচলে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এ এলাকাটিতে গারো সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস বেশি। বিপুল পরিমণে কলা, আনারস, পেপে, আদা, হলুদসহ নানা কৃষি ফসল জন্মে থাকে। স্থানীয়দের টেলকী হয়ে মধুপুর ও ময়মনসিংহ যাতায়াতের জন্য সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্ষাকালে কাঁচা সড়কটি চষাক্ষেতের মতো হয়ে যায়। বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। যানবাহন চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পায় না এমনটাই জানালেন স্থানীয় অধিবাসীরা।

স্থানীয় কাকড়াগুনি গ্রামের অধিবাসী ও ফাইভার কারখানার মালিক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, বর্ষাকালে কারখানার মালামাল ও কৃষি ফসল নিয়ে দুর্ভোগের মাত্রা বেড়ে যায়। পরিবহন ক্ষেত্রেও দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হয়। এভাবে বর্ষাকালে আমাদের কষ্ট করে চলতে হয়।

স্থানীয় শোলাকুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি পাকা না হওয়ায় বর্ষাকালে কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে ও জনগণের চলাচলে কষ্টকর হয়ে পড়ে। সড়কটির পাকাকরণের আবেদন করেছি।

রবিবার, ৩০ আগস্ট ২০২০ , ১০ মহররম ১৪৪২, ১৪ ভাদ্র ১৪২৭

মধুপুরে কাঁকড়াগুনি-শোলাকুড়ি সড়ক যেন চষাক্ষেত ! দুর্ভোগ

হাবিবুর রহমান, মধুপুর (টাঙ্গাইল)

image

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের কাকড়াগুনি-শোলাকুড়ি ৮ কি.মি. কাঁচা সড়ক চাষের জমিতে পরিণত হয়েছে। এ কারণে গারো সম্প্রদায় ও স্থানীয় জনগণ যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। কৃষি নির্ভর এ ইউনিয়ন ও আশপাশের ইউনিয়নগুলো কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে বিপাকে রয়েছে। কৃষিপণ্য পরিবহন করতেও গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। এছাড়া এ এলাকায় রয়েছে কলা ও আনারসের পাতা থেকে তৈরির ফাইভার কারখানা। এ কারখানার কাঁচামাল সংগ্রহ ও তৈরিকৃত পণ্য পরিবহন করতে নানা কষ্ট করতে হয়। স্থানীয়দের দাবি সড়কটি পাকাকরণের।

সরেজমিনে কাকড়াগুনি গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাকড়াগুনি, জয়নাগাছা, বেদুরিয়া, বন্দরিয়া, শোলাকুড়ি, হরিণধরা, জালাবাদা, গায়রা, টেলকি, সাধুপাড়াসহ আশপাশের ইউনিয়নের লোকজন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। সড়কটির মাথার অংশে টেলকী থেকে গায়রা পর্যন্ত ১ কি.মি. ও কাকড়াগুনি থেকে বেদুরিয়া পর্যন্ত ১ কি.মি. পাকা হয়েছে। গায়রা থেকে কাকড়াগুনি ব্রিজ পর্যন্ত ২ কি.মি. ও বেদুরিয়া থেকে শোলাকুড়ি পর্যন্ত ৭ কি.মি. পাঁকা না হওয়ায় বর্ষাকালে চলাচলে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এ এলাকাটিতে গারো সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস বেশি। বিপুল পরিমণে কলা, আনারস, পেপে, আদা, হলুদসহ নানা কৃষি ফসল জন্মে থাকে। স্থানীয়দের টেলকী হয়ে মধুপুর ও ময়মনসিংহ যাতায়াতের জন্য সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্ষাকালে কাঁচা সড়কটি চষাক্ষেতের মতো হয়ে যায়। বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। যানবাহন চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পায় না এমনটাই জানালেন স্থানীয় অধিবাসীরা।

স্থানীয় কাকড়াগুনি গ্রামের অধিবাসী ও ফাইভার কারখানার মালিক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, বর্ষাকালে কারখানার মালামাল ও কৃষি ফসল নিয়ে দুর্ভোগের মাত্রা বেড়ে যায়। পরিবহন ক্ষেত্রেও দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হয়। এভাবে বর্ষাকালে আমাদের কষ্ট করে চলতে হয়।

স্থানীয় শোলাকুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি পাকা না হওয়ায় বর্ষাকালে কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে ও জনগণের চলাচলে কষ্টকর হয়ে পড়ে। সড়কটির পাকাকরণের আবেদন করেছি।