এগারো মাসেও উপাচার্য পায়নি বশেমুরবিপ্রবি

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের পর পার হয়েছে প্রায় এগারো মাস। কিন্তু এখনও নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়েটিতে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর থেকে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান। তবে তার ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কারণে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা।

ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, ২০১৯ এর অক্টোবর থেকে বিভিন্ন দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় নয়টি আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু রুটিন দায়িত্ব পালন করায় উপাচার্যের পক্ষে এসকল বিষয় সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

বশেমুরবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, উপাচার্য না থাকায় একাডেমিক কাউন্সিল এবং রিজেন্ট বোর্ডের মিটিং কল করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সমাধান হচ্ছে না। এমনকি শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ এবং পদোন্নতিও বন্ধ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির তিনটি বিভাগ এবং একটি ইনস্টিটিউট বর্তমানে নিজস্ব কোন শিক্ষক ছাড়াই চলছে। আর পদোন্নতি আটকে আছে প্রায় শতাধিক শিক্ষকের যেই সংখ্যা নবেম্বরে প্রায় দুইশততে পৌঁছাবে। এছাড়া, উপাচার্য না থাকায় বশেমুরবিপ্রবির দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতাও সমাধান হয়নি। প্রায় নয়মাস যাবত বেতন বন্ধ রয়েছে এ সকল কর্মচারীদের।

এ সকল সমস্যার প্রেক্ষিতে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. এ. সাত্তার বলেন, ‘রুটিন দায়িত্ব পালনকারী উপাচার্যের পক্ষে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয় না। ফলে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ প্রয়োজন।

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ড. মো. শাহজাহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যা চলমান। কিন্তু রিজেন্ট বোর্ডের মিটিং আয়োজনের ক্ষমতা না থাকায় এ সকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না।

রবিবার, ৩০ আগস্ট ২০২০ , ১০ মহররম ১৪৪২, ১৪ ভাদ্র ১৪২৭

এগারো মাসেও উপাচার্য পায়নি বশেমুরবিপ্রবি

ফাতেমা তুজ জিনিয়া, বশেমুরবিপ্রবি (গোপালগঞ্জ)

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের পর পার হয়েছে প্রায় এগারো মাস। কিন্তু এখনও নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়েটিতে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর থেকে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান। তবে তার ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কারণে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা।

ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, ২০১৯ এর অক্টোবর থেকে বিভিন্ন দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় নয়টি আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু রুটিন দায়িত্ব পালন করায় উপাচার্যের পক্ষে এসকল বিষয় সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

বশেমুরবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, উপাচার্য না থাকায় একাডেমিক কাউন্সিল এবং রিজেন্ট বোর্ডের মিটিং কল করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সমাধান হচ্ছে না। এমনকি শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ এবং পদোন্নতিও বন্ধ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির তিনটি বিভাগ এবং একটি ইনস্টিটিউট বর্তমানে নিজস্ব কোন শিক্ষক ছাড়াই চলছে। আর পদোন্নতি আটকে আছে প্রায় শতাধিক শিক্ষকের যেই সংখ্যা নবেম্বরে প্রায় দুইশততে পৌঁছাবে। এছাড়া, উপাচার্য না থাকায় বশেমুরবিপ্রবির দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতাও সমাধান হয়নি। প্রায় নয়মাস যাবত বেতন বন্ধ রয়েছে এ সকল কর্মচারীদের।

এ সকল সমস্যার প্রেক্ষিতে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. এ. সাত্তার বলেন, ‘রুটিন দায়িত্ব পালনকারী উপাচার্যের পক্ষে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয় না। ফলে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ প্রয়োজন।

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ড. মো. শাহজাহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যা চলমান। কিন্তু রিজেন্ট বোর্ডের মিটিং আয়োজনের ক্ষমতা না থাকায় এ সকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না।