লাদাখ সীমান্তে ফাইভজিসহ অবকাঠামো বাড়াচ্ছে চীন

বিতর্কিত লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষ এড়াতে ভারত ও চীনের মধ্যে আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে লাদাখের সীমান্ত বরাবর বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় অবকাঠামো নির্মাণের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে চীন। তারই অংশ হিসেবে দেমচকে ফাইভজি নেটওয়ার্কের অবকাঠামো ও প্যাঙ্গং হ্রদ এলাকায় বিভিন্ন কাঠামো তৈরি করছে চীনারা। ইন্ডিয়া টুডে।

ভারতীয় গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, চীন উভয় দেশের কল্পিত সীমান্ত রেখা লাইন অব কন্ট্রোল বরাবর ফাইভজি নেটওয়ার্ক বসাচ্ছে। এ কাজে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে দেমচকে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে তাদের। প্যাঙ্গং হ্রদে যেসব জায়গায় চীনা সৈন্যদের অবস্থান রয়েছে সেখানে নতুন কাঠামো নির্মাণ করতে দেখা গেছে বলেও জানিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। সেখান থেকে চীনা সৈন্যদের জন্য নির্মিত ঘর ও ছাউনি দেখা যাচ্ছে এখন। গত মে মাসে সীমান্তে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। লাদাখের এই সীমান্তে চীনের সৈন্য সমাবেশের প্রেক্ষিতে তিন দফায় সেখানে সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়েছে ভারত। শীতের মধ্যেও তারা সেখানে থাকবে। নাম প্রকাশ না করে ভারতের এক সেনা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি নির্ভর করবে ধারাবাহিক পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে। তার আগ পর্যন্ত সৈন্য মোতায়েন অব্যাহত থাকবে। সংঘাত এড়াতে সৈন্য সরানোর কথা থাকলেও চীনের সৈন্যদের উপস্থিতি পাঙ্গং হ্রদে আগের মতোই আছে। হ্রদের কিনার থেকে তাদের সৈন্য সরানোর গতি খুবই কম। তারা এখন ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৫ এ তাদের সৈন্য সরিয়ে নিয়েছে। এই ফিঙ্গার মানে শৈলশিরা। ওই এলাকায় পাহাড় থেকে শৈলশিরাগুলো পাঙ্গনের তীর পর্যন্ত বিস্তৃত যেগুলো দেখতে একেকটি আঙুলের মতো।

তবে চীন যেহেতু একটু পিছিয়ে গেছে, তারা চাইছে ভারতও যেন আরেকটু পেছায় সীমান্ত থেকে। ভারতও ফিঙ্গার ৪ থেকে তাদের দিকে পিছিয়ে এসেছে। কিন্তু আর পেছাতে তাদের আপত্তি। ফলে অচলাবস্থা চলছে। ভারত চায় এপ্রিলে তারা যে অবস্থায় ছিল তা বজায় রাখা। কিন্তু তাতেই চীনারা বাধ সাধতেই উত্তেজনা তৈরি হয়। এখন চীনারা ফিঙ্গার ৫ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত তাদের অবস্থানকে আরও সুসংহত করছে যা বোঝা যাচ্ছে, সেখানে তাদের ঘরসহ অন্যান্য স্থাপনা বাড়াতে দেখে।

রবিবার, ৩০ আগস্ট ২০২০ , ১০ মহররম ১৪৪২, ১৪ ভাদ্র ১৪২৭

লাদাখ সীমান্তে ফাইভজিসহ অবকাঠামো বাড়াচ্ছে চীন

বিতর্কিত লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষ এড়াতে ভারত ও চীনের মধ্যে আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে লাদাখের সীমান্ত বরাবর বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় অবকাঠামো নির্মাণের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে চীন। তারই অংশ হিসেবে দেমচকে ফাইভজি নেটওয়ার্কের অবকাঠামো ও প্যাঙ্গং হ্রদ এলাকায় বিভিন্ন কাঠামো তৈরি করছে চীনারা। ইন্ডিয়া টুডে।

ভারতীয় গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, চীন উভয় দেশের কল্পিত সীমান্ত রেখা লাইন অব কন্ট্রোল বরাবর ফাইভজি নেটওয়ার্ক বসাচ্ছে। এ কাজে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে দেমচকে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে তাদের। প্যাঙ্গং হ্রদে যেসব জায়গায় চীনা সৈন্যদের অবস্থান রয়েছে সেখানে নতুন কাঠামো নির্মাণ করতে দেখা গেছে বলেও জানিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। সেখান থেকে চীনা সৈন্যদের জন্য নির্মিত ঘর ও ছাউনি দেখা যাচ্ছে এখন। গত মে মাসে সীমান্তে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। লাদাখের এই সীমান্তে চীনের সৈন্য সমাবেশের প্রেক্ষিতে তিন দফায় সেখানে সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়েছে ভারত। শীতের মধ্যেও তারা সেখানে থাকবে। নাম প্রকাশ না করে ভারতের এক সেনা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি নির্ভর করবে ধারাবাহিক পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে। তার আগ পর্যন্ত সৈন্য মোতায়েন অব্যাহত থাকবে। সংঘাত এড়াতে সৈন্য সরানোর কথা থাকলেও চীনের সৈন্যদের উপস্থিতি পাঙ্গং হ্রদে আগের মতোই আছে। হ্রদের কিনার থেকে তাদের সৈন্য সরানোর গতি খুবই কম। তারা এখন ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৫ এ তাদের সৈন্য সরিয়ে নিয়েছে। এই ফিঙ্গার মানে শৈলশিরা। ওই এলাকায় পাহাড় থেকে শৈলশিরাগুলো পাঙ্গনের তীর পর্যন্ত বিস্তৃত যেগুলো দেখতে একেকটি আঙুলের মতো।

তবে চীন যেহেতু একটু পিছিয়ে গেছে, তারা চাইছে ভারতও যেন আরেকটু পেছায় সীমান্ত থেকে। ভারতও ফিঙ্গার ৪ থেকে তাদের দিকে পিছিয়ে এসেছে। কিন্তু আর পেছাতে তাদের আপত্তি। ফলে অচলাবস্থা চলছে। ভারত চায় এপ্রিলে তারা যে অবস্থায় ছিল তা বজায় রাখা। কিন্তু তাতেই চীনারা বাধ সাধতেই উত্তেজনা তৈরি হয়। এখন চীনারা ফিঙ্গার ৫ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত তাদের অবস্থানকে আরও সুসংহত করছে যা বোঝা যাচ্ছে, সেখানে তাদের ঘরসহ অন্যান্য স্থাপনা বাড়াতে দেখে।