ইভ্যালির বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল বলেছেন, আমাদের বিশ্বাস আমরা অনৈতিক বা অবৈধ কিছু করিনি। আর সে বিষয়টিই তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। এর বাইরেও আমাদের ডেলিভারি, রিফান্ড বা সেলারের পেমেন্ট নিয়ে যে ইস্যুগুলো উঠে এসেছে। সেগুলোও আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এমন দাবি করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেহেতু সরকারি সংস্থা এবং বিজনেস ট্রেড বডি অনুসন্ধান করছে, আমরা তাদের পূর্ণ সহায়তা করে যাব। আমাদের বিশ্বাস আমরা অনৈতিক এবং অবৈধ কিছু করিনি। আর সে বিষয়টিই তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। এর বাইরেও আমাদের ডেলিভারি, রিফান্ড বা সেলারের পেমেন্ট নিয়ে যে ইস্যুগুলো উঠে এসেছে, সেগুলোও আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, যাদের আগের অর্ডারের পণ্যগুলো ডেলিভারি দেয়া বাকি আছে সেগুলোও আমরা দ্রুততম সময়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বিক্রেতাদের পাশাপাশি ক্রেতাদের পক্ষ থেকেও দারুণ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী। তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের ব্যাংক হিসাব এবং পেমেন্ট গেটওয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে সেহেতু গ্রাহক এবং বিক্রেতাদের সুবিধার জন্য আমরা ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতিতে পণ্য বিক্রি শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫০৩টি শপ লাইভ রয়েছে। এদের মধ্যে রেগুলার শপ ৬৮০টি, এক্সপ্রেস শপ ৬২০টি এবং ফুড শপ ২৩০টি। এছাড়াও ফ্রেন্ডস ডিল এ রয়েছে ১২৫টি শপ। ক্যাশ অন ডেলিভারির সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, বিক্রেতারা সরাসরি তাদের পেমেন্ট পাচ্ছেন। অন্যদিকে গ্রাহকরাও পণ্য বুঝে নিয়েই মূল্য পরিশোধ করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আমরা গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, যাদের আগের অর্ডারের পণ্যগুলো ডেলিভারি দেয়া বাকি আছে সেগুলোও আমরা দ্রুততম সময়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইভ্যালির ক্যাশ অন ডেলিভারি (সিওডি) পদ্ধতিতে আস্থা রাখছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। চলমান পরিস্থিতে সিওডি উপায়ে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ করে দেয়ায় আবারও স্বাভাবিক হচ্ছে ইভ্যালির কার্যক্রম। গত শনিবার থেকে ‘ফ্রেন্ডস ডিল’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সিওডি ম্যাথডে পণ্য বিক্রয় শুরু করে ইভ্যালি। নতুন এই পদ্ধতিতে এখন পর্যন্ত যুক্ত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার বিক্রেতা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিক্রেতার সংখ্যা পাঁচ হাজারে উন্নীত হবে বলে আশা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি।