মুরাদনগরে মেম্বারের বাড়ি থেকে বিপুল কাঠ উদ্ধার

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের দৈলবাড়ি গ্রামের মেম্বার মামুন মিয়ার বাড়ি থেকে সামাজিক বনায়নের বিপুল পরিমাণ গাছ উদ্ধার করেছেন বন কর্মকর্তা বলাই চন্দ্র নাহা। অভিযুক্ত মেম্বার ৩নং ওয়ার্ডের দৈলবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী দৈলবাড়ি গ্রামের বিল্লাল হোসেন বলেন, হাটাশ-দৈলবাড়ি সড়কের দু’পাশে ২০০৫ সালে সরকারিভাবে বনায়ন করা হয়।

খৈয়াখালী গ্রামের শাহ আলম দলবল নিয়ে গত ২৫ ও ২৬ আগস্ট গাছগুলো যখন কাটতে ছিল, তখন তাকে গাছ না কাটার জন্য আমিসহ আরও কয়েকজন বারণ করি। সরকারি গাছ বলার পরেও তারা আমাদের কথা না শুনে সড়কের দু’পাশের প্রায় অর্ধশতাধিক গাছ কেটে নেয়।

যার বাজার মূল্য প্রায় ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা। পরে বন বিভাগের লোকজন খবর পেয়ে এসে মামুন মিয়া মেম্বারের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ গাছ উদ্ধার করে উপজেলা বন কর্মকর্তা বলাই চন্দ্র নাহা। উদ্ধারকৃত গাছগুলো কদমতলী গ্রামের মোখলেছুর রহমান বাদল মাস্টারের জিম্মায় রেখে যান বন কর্মকর্তা। অভিযুক্ত শাহআলম বলেন, আমি বনায়ন কমিটির সদস্য। তাই কিছু গাছ ও ডালপালা কেটেছি। এ রকম ঘটনা এ অঞ্চলে অহরহ হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা বলেন, জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মঙ্গলবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১ মহররম ১৪৪২, ১৫ ভাদ্র ১৪২৭

মুরাদনগরে মেম্বারের বাড়ি থেকে বিপুল কাঠ উদ্ধার

প্রতিনিধি, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

image

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের দৈলবাড়ি গ্রামের মেম্বার মামুন মিয়ার বাড়ি থেকে সামাজিক বনায়নের বিপুল পরিমাণ গাছ উদ্ধার করেছেন বন কর্মকর্তা বলাই চন্দ্র নাহা। অভিযুক্ত মেম্বার ৩নং ওয়ার্ডের দৈলবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী দৈলবাড়ি গ্রামের বিল্লাল হোসেন বলেন, হাটাশ-দৈলবাড়ি সড়কের দু’পাশে ২০০৫ সালে সরকারিভাবে বনায়ন করা হয়।

খৈয়াখালী গ্রামের শাহ আলম দলবল নিয়ে গত ২৫ ও ২৬ আগস্ট গাছগুলো যখন কাটতে ছিল, তখন তাকে গাছ না কাটার জন্য আমিসহ আরও কয়েকজন বারণ করি। সরকারি গাছ বলার পরেও তারা আমাদের কথা না শুনে সড়কের দু’পাশের প্রায় অর্ধশতাধিক গাছ কেটে নেয়।

যার বাজার মূল্য প্রায় ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা। পরে বন বিভাগের লোকজন খবর পেয়ে এসে মামুন মিয়া মেম্বারের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ গাছ উদ্ধার করে উপজেলা বন কর্মকর্তা বলাই চন্দ্র নাহা। উদ্ধারকৃত গাছগুলো কদমতলী গ্রামের মোখলেছুর রহমান বাদল মাস্টারের জিম্মায় রেখে যান বন কর্মকর্তা। অভিযুক্ত শাহআলম বলেন, আমি বনায়ন কমিটির সদস্য। তাই কিছু গাছ ও ডালপালা কেটেছি। এ রকম ঘটনা এ অঞ্চলে অহরহ হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা বলেন, জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে।