ষষ্ঠবারের মতো নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২০ আয়োজন করছে বেসিস

টানা ৬ষ্ঠ বারের মতো বেসিস-এর তত্ত্বাবধানে এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহায়তায় শুরু হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসার উদ্যোগে আয়োজিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২০। প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তাসহ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশি^ক সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করাই হলো এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য। নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশে^র ২৫০টি শহরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে, যেখানে বেসিস বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে) বড় পরিসরে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চলেছে। আগামী ২-৪ অক্টোবর এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ৫০ লাখ শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ১ লাখ শিক্ষার্থীদের সরাসরি এ প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। গত ২৬ আগস্ট এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২০ সম্পর্কে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, এবার ষষ্ঠ বারের মতো আমরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশ কিন্তু ইতোমধ্যেই নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিতে পেরেছে। এছাড়া বাংলাদেশ অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভালো ফলাফল করছে। এ থেকে বোঝা যায় যে বাংলাদেশ এ প্রতিভার অভাব নেই। কিন্তু এই প্রতিভার সঠিক প্রতিপালন দরকার। তার একটি উপায় হচ্ছে এসব প্রতিযোগিতা। নাসা এর রকেটগুলো যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হয় তার উপর ভিত্তি করেই নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকে। এই প্রতিযোগিতা থেকে যে সমাধানগুলো আসে তার অনেকগুলোই নাসা তাদের রকেটে ব্যবহার করে থাকে। আমি আশা করি সামনের দিনগুলোতে আমরা দেখব আমাদের ছেলেমেয়েদের দেয়া সমাধান নাসা ব্যবহার করছে।

বেসিসের জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, গত ৪ বছর ধরেই এই প্রতিযোগিতাটি কাছ থেকে দেখার সুযোগ আমার হয়েছে। গতবারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে একটি দল এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন না হলে আমরা জানতাম না যে আমাদের দেশে এমন প্রতিভা আছে। এই ধরনের প্রতিযোগিতায় যত বেশি অংশগ্রহণ করবে ততবেশি শেখার সুযোগ আছে, আছে নেটওয়ার্কিং করার জায়গা। এবার যেহেতু প্রতিযোগিতাটি ভার্চুয়ালি আয়োজিত হচ্ছে, সেহেতু এটা মেয়েদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়লে আমাদের প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করা সার্থক হবে। বেসিস পরিচালক ও নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২০ এর আহ্বায়ক দিদারুল আলম বলেন, এবারের আয়োজন একটু ব্যতিক্রম হবে। অন্যান্য বারের মতো এবার আমরা সরাসরি ক্যাম্পাস এক্টিভেশন করতে পারছি না। এবার শুধু বাংলাদেশেই নয় পুরো বিশে^ই প্রতিযোগিতাটি ভার্চুয়ালি আয়োজন করা হবে।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু বলেন, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিশে^র সবচেয়ে বড় হ্যকাথন। এবার এটি ভার্চুয়ালি হলেও আগের কর্মকান্ডলো করার ইচ্ছা আমাদের আছে। অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে আমাদের ভার্চুয়াল বুটক্যাম্প করার ইচ্ছা আছে। আমি আশা করছি এবারো বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশকে ভালোভাবে উপস্থাপন করবে।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর অ্যাডভাইজার এবং ক্লাউড ক্যাম্পের ফাউন্ডার মাহদি-উজ-জামান বলেন, গণমাধ্যমের কারনেই বাংলাদেশে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর নাম ছড়িয়ে পড়েছে। গত বছর পুরো বিশে^ ২৯ হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে এই প্রতিযোগিতায়। বাংলাদেশ থেকে পরপর ২ বছর চূড়ান্ত পর্যায়ে মনোনয়ন পেয়েছিল। নাসার ৬টি ক্যাটেগরির মধ্যে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা যাবে কিন্তু সমস্যাটি অবশ্যই বড় হতে হবে। এছাড়া সমস্যার সমাধান উপস্থাপন এবং এটা নিয়ে তৈরি ভিডিওটি উপস্থাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের মূল উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বৈশি^ক প্রতিযোগিতায় অন্যান্য দেশের সঙ্গে এক কাতারে নিয়ে আসা।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালঞ্জ ২০২০-এ অংশগ্রহণের রেজিস্ট্রেশনের জন্য ভিজিট করুন http://bsf.basis.org.bd/NASA-2020 এই লিঙ্কে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

মঙ্গলবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১ মহররম ১৪৪২, ১৫ ভাদ্র ১৪২৭

ষষ্ঠবারের মতো নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২০ আয়োজন করছে বেসিস

image

টানা ৬ষ্ঠ বারের মতো বেসিস-এর তত্ত্বাবধানে এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহায়তায় শুরু হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসার উদ্যোগে আয়োজিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২০। প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তাসহ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশি^ক সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করাই হলো এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য। নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশে^র ২৫০টি শহরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে, যেখানে বেসিস বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে) বড় পরিসরে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চলেছে। আগামী ২-৪ অক্টোবর এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ৫০ লাখ শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ১ লাখ শিক্ষার্থীদের সরাসরি এ প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। গত ২৬ আগস্ট এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২০ সম্পর্কে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, এবার ষষ্ঠ বারের মতো আমরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশ কিন্তু ইতোমধ্যেই নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিতে পেরেছে। এছাড়া বাংলাদেশ অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভালো ফলাফল করছে। এ থেকে বোঝা যায় যে বাংলাদেশ এ প্রতিভার অভাব নেই। কিন্তু এই প্রতিভার সঠিক প্রতিপালন দরকার। তার একটি উপায় হচ্ছে এসব প্রতিযোগিতা। নাসা এর রকেটগুলো যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হয় তার উপর ভিত্তি করেই নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকে। এই প্রতিযোগিতা থেকে যে সমাধানগুলো আসে তার অনেকগুলোই নাসা তাদের রকেটে ব্যবহার করে থাকে। আমি আশা করি সামনের দিনগুলোতে আমরা দেখব আমাদের ছেলেমেয়েদের দেয়া সমাধান নাসা ব্যবহার করছে।

বেসিসের জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, গত ৪ বছর ধরেই এই প্রতিযোগিতাটি কাছ থেকে দেখার সুযোগ আমার হয়েছে। গতবারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে একটি দল এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন না হলে আমরা জানতাম না যে আমাদের দেশে এমন প্রতিভা আছে। এই ধরনের প্রতিযোগিতায় যত বেশি অংশগ্রহণ করবে ততবেশি শেখার সুযোগ আছে, আছে নেটওয়ার্কিং করার জায়গা। এবার যেহেতু প্রতিযোগিতাটি ভার্চুয়ালি আয়োজিত হচ্ছে, সেহেতু এটা মেয়েদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়লে আমাদের প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করা সার্থক হবে। বেসিস পরিচালক ও নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২০ এর আহ্বায়ক দিদারুল আলম বলেন, এবারের আয়োজন একটু ব্যতিক্রম হবে। অন্যান্য বারের মতো এবার আমরা সরাসরি ক্যাম্পাস এক্টিভেশন করতে পারছি না। এবার শুধু বাংলাদেশেই নয় পুরো বিশে^ই প্রতিযোগিতাটি ভার্চুয়ালি আয়োজন করা হবে।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু বলেন, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিশে^র সবচেয়ে বড় হ্যকাথন। এবার এটি ভার্চুয়ালি হলেও আগের কর্মকান্ডলো করার ইচ্ছা আমাদের আছে। অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে আমাদের ভার্চুয়াল বুটক্যাম্প করার ইচ্ছা আছে। আমি আশা করছি এবারো বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশকে ভালোভাবে উপস্থাপন করবে।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর অ্যাডভাইজার এবং ক্লাউড ক্যাম্পের ফাউন্ডার মাহদি-উজ-জামান বলেন, গণমাধ্যমের কারনেই বাংলাদেশে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর নাম ছড়িয়ে পড়েছে। গত বছর পুরো বিশে^ ২৯ হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে এই প্রতিযোগিতায়। বাংলাদেশ থেকে পরপর ২ বছর চূড়ান্ত পর্যায়ে মনোনয়ন পেয়েছিল। নাসার ৬টি ক্যাটেগরির মধ্যে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা যাবে কিন্তু সমস্যাটি অবশ্যই বড় হতে হবে। এছাড়া সমস্যার সমাধান উপস্থাপন এবং এটা নিয়ে তৈরি ভিডিওটি উপস্থাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের মূল উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বৈশি^ক প্রতিযোগিতায় অন্যান্য দেশের সঙ্গে এক কাতারে নিয়ে আসা।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালঞ্জ ২০২০-এ অংশগ্রহণের রেজিস্ট্রেশনের জন্য ভিজিট করুন http://bsf.basis.org.bd/NASA-2020 এই লিঙ্কে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।