খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার অপরূপ সৌন্দর্য্যে লীলাভুমি প্রকৃতিতে প্রাণ ফিরেছে চাঁদের গাড়ি চালকদের, চাঁদের গাড়িতে ঘুরছেন পর্যটকেরা। প্রাণ ফিরে পেয়েছে সবুজ অরণ্যেঘেরা পাহাড়ের পর্যটনকেন্দ্রগুলো। গত শুক্রবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে খাগড়াছড়ির অন্যতম স্পচ প্রধান চার পর্যটনকেন্দ্র। এতে অর্থনীতির চাকা ঘুরতে শুরু করেছে পর্যটকবাহী গাড়ি চালক, হোটেল- মোটেল ও মালিকদের।
পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার খবরে স্থানীয়দের পাশাপাশি খাগড়াছড়িতে আসতে শুরু করেছেন ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ায় পর্যটকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হয়। এতে লাভবান হচ্ছেন চাঁদের গাড়ি চালক, হোটেল-মোটেল ও মালিকেরা। চাঁদের গাড়ি চালক সজীব চাকমা বলেন, দীর্ঘ ছয় মাস পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকার কারণে আমাদের অর্থ উপার্জনের কোন উপায় ছিল না, যার ফলে অনেক কষ্টে দিন পার করতে হয়েছে। এখন পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ার কারণে আমাদের অর্থনীতির চাকা ঘুরতে শুরু করেছে।
পার্বত্য যানবাহন মালিক সমিতির গাড়ির মালিক পুলক দেওয়ান বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি বন্ধ থাকায় আমাদের চলতে খুব কষ্ট হয়েছে। পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ার ফলে আমাদের এতদিনের কষ্ট লাগব হবে আশা করছি।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য যানবাহন সমিতির সভাপতি চঞ্চুমনি চাকমা বলেন, দর্শনার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানসহ খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয়টি শর্ত বেঁধে দেয়া হয়েছে। এগুলো মেনে পর্যটকদের নিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু করা হয়েছে। আশা করছি, সব শর্ত মেনে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে গাড়ি চলাচল করবে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশের মতো খাগড়াছড়ির ১৮ মার্চ ঘোষণা পর ১৯ মার্চ থেকে সব পর্যটনকেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসন। একই সময় থেকে রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটনকেন্দ্রও বন্ধ ছিল। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে পাহাড়ের পর্যটকবাহী গাড়ি চালক, হোটেল-মোটেল ও মালিকরা।
এদিকে দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র রাঙ্গামাটির ‘সাজেক ভ্যালি’ ছয় মাস নিষেধাজ্ঞার পর ১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে। এতে করে কর্মস্থলে ফিরবেন শতাধিক কটেজ-রিসোর্টে কর্মরতরা। গত বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির ইউএনও আহসান হাবিব (জিতু)।
তিনি জানান, ‘সাজেক ভ্যালি’ খুলে দেয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক রিসোর্ট মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইসঙ্গে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও অনুরোধ করেন তিনি।
মঙ্গলবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১ মহররম ১৪৪২, ১৫ ভাদ্র ১৪২৭
প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার অপরূপ সৌন্দর্য্যে লীলাভুমি প্রকৃতিতে প্রাণ ফিরেছে চাঁদের গাড়ি চালকদের, চাঁদের গাড়িতে ঘুরছেন পর্যটকেরা। প্রাণ ফিরে পেয়েছে সবুজ অরণ্যেঘেরা পাহাড়ের পর্যটনকেন্দ্রগুলো। গত শুক্রবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে খাগড়াছড়ির অন্যতম স্পচ প্রধান চার পর্যটনকেন্দ্র। এতে অর্থনীতির চাকা ঘুরতে শুরু করেছে পর্যটকবাহী গাড়ি চালক, হোটেল- মোটেল ও মালিকদের।
পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার খবরে স্থানীয়দের পাশাপাশি খাগড়াছড়িতে আসতে শুরু করেছেন ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ায় পর্যটকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হয়। এতে লাভবান হচ্ছেন চাঁদের গাড়ি চালক, হোটেল-মোটেল ও মালিকেরা। চাঁদের গাড়ি চালক সজীব চাকমা বলেন, দীর্ঘ ছয় মাস পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকার কারণে আমাদের অর্থ উপার্জনের কোন উপায় ছিল না, যার ফলে অনেক কষ্টে দিন পার করতে হয়েছে। এখন পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ার কারণে আমাদের অর্থনীতির চাকা ঘুরতে শুরু করেছে।
পার্বত্য যানবাহন মালিক সমিতির গাড়ির মালিক পুলক দেওয়ান বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি বন্ধ থাকায় আমাদের চলতে খুব কষ্ট হয়েছে। পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ার ফলে আমাদের এতদিনের কষ্ট লাগব হবে আশা করছি।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য যানবাহন সমিতির সভাপতি চঞ্চুমনি চাকমা বলেন, দর্শনার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানসহ খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয়টি শর্ত বেঁধে দেয়া হয়েছে। এগুলো মেনে পর্যটকদের নিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু করা হয়েছে। আশা করছি, সব শর্ত মেনে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে গাড়ি চলাচল করবে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশের মতো খাগড়াছড়ির ১৮ মার্চ ঘোষণা পর ১৯ মার্চ থেকে সব পর্যটনকেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসন। একই সময় থেকে রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটনকেন্দ্রও বন্ধ ছিল। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে পাহাড়ের পর্যটকবাহী গাড়ি চালক, হোটেল-মোটেল ও মালিকরা।
এদিকে দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র রাঙ্গামাটির ‘সাজেক ভ্যালি’ ছয় মাস নিষেধাজ্ঞার পর ১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে। এতে করে কর্মস্থলে ফিরবেন শতাধিক কটেজ-রিসোর্টে কর্মরতরা। গত বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির ইউএনও আহসান হাবিব (জিতু)।
তিনি জানান, ‘সাজেক ভ্যালি’ খুলে দেয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক রিসোর্ট মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইসঙ্গে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও অনুরোধ করেন তিনি।