রংপুর উপজেলা যুবদল কমিটি নিয়ে বাণিজ্য

হোটেলে বসে কমিটি

রংপুরে বিভিন্ন উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় যুবদলের এক নেতাসহ কয়েকজন যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, দলের ত্যাগী নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে মোবাইল ফোনের মেকার, রাজমিস্ত্রী, খাদ্য গুদামের লেবার, ব্যবসায়ী, দলের কোন কর্মকা-ে কখনওই জড়িত ছিল না এমন অখ্যাত ব্যক্তিদের নেতা মনোনীত করার অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে যুবদলের কেন্দ্রীয় যে নেতাদের কমিটি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা বিমানে আসা যাওয়া করেছেন। রংপুরে আলিশান হোটেলে অবস্থান করে আরাম আয়েশি সময় কাটিয়েছেন শুধুমাত্র একটি উপজেলায় কর্মী সভা করে বাকি ৭ উপজেলা ও দুই পৌরসভায় না গিয়ে হোটেলে বসে পছন্দের ব্যক্তিদের কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে।

যদিও যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আকিল আহাম্মেদ এসব অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা অভিযোগ করেন গত ২১ আগস্ট জাতীয়বাদী যুবদলের একটি বিভাগীয় টিম কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আকিল আহাম্মেদের নেতৃত্বে বিমানযোগে ঢাকা থেকে রংপুরে আসেন। তারা রংপুর নগরীর একটি থ্রি-স্টার আবাসিক হোটেল নর্থভিউতে অবস্থান করেন। তাদের সঙ্গে আরও দু’জন কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন মানিক ও ঠাকুরগাঁয়ের আবদুর নুর। এ ছাড়াও রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজুসহ জেলা যুবদলের নেতারাও ছিলেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ ঢাকা থেকে আসা কেন্দ্রীয় নেতারা রংপুর জেলা যুবদলের অধীনস্থ ৮ উপজেলা ও ৩টি পৌরসভার মধ্যে শুধু মাত্র গঙ্গাচড়া উপজেলায় কর্মী সভা করে। অথচ প্রতিটি উপজেলায় কর্মী সভা করে নেতাকর্মীদের মতামত নিয়ে কমিটি গঠন করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু নেতারা গঙ্গাচড়া ছাড়া অন্য উপজেলায় কোন কর্মী সভা না করে স্থানীয় চায়ের দোকানে বা রাস্তার পাশে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে কর্মীদের সঙ্গে কোন রকম মতবিনিময় বা কর্মী সভা না করে চলে আসেন। তারা ৪ দিন ৪ রাত রংপুরে অবস্থান করে উপজেলা বিএনপি নেতাদের কোন মতামত না নিয়ে কিংবা যুবদলের ত্যাগী নেতাদের সঙ্গে কথা না বলেই বা তাদের মতামতের কোন প্রকার মূল্যায়ন না করে হোটেল রুমেই জেলা যুবদলের নেতাদের নিয়ে উপজেলা ও পৌর যুবদলের কমিটি গঠনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ সব কমিটিতে তুলনামূলকভাবে অযোগ্য অশিক্ষিত এবং বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের মূল দায়িত্বে রাখা হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলায় মিজান নামে একজনকে আহ্বায়ক মনোনীত করা হয়েছে। সে অষ্টম শ্রেণীও পাস করেনি। স্থানীয় মোবাইল ফোনের মেকারি করে তার যুবদলের রাজনীতিতে কোন ভূমিকাই ছিল না।

একইভাবে পীরগাছা উপজেলায় আনিসুল হক ভূঁইয়াকে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়েছে। ইতিপূর্বে সে কখনও বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কোন রাজনীতির সঙ্গে কখনওই জড়িত ছিল না। যেহেতু পেশায় ব্যবসায়ী, তাই অর্থ দিয়ে এ পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে গঙ্গাচড়া উপজেলা যুবদলের স্বপন নামে যাকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের পদটি দখল করে আছে। শামীম নামে যাকে সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়েছে সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী, লেখাপড়া একেবারে জানেনা। এর আগে কোন দিন বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কোন কর্মকা-ে জড়িত ছিল না বলে অভিযোগ নেতাকর্মীদের। সে জেলা বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার লোক হওয়ায় তাকে এ পদে নেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে বদরগঞ্জ পৌর বিএনপিতে আহ্বায়ক হিসেবে যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেই আনোয়ার হোসেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে আছে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আছে। একই ভাবে জিয়ারুল নামে যাকে সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়েছে। তার কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই, সে গোডাউনের লেবার হিসেবে কাজ করে। একই ভাবে মনিরকে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব করা হয়েছে। সে বিগত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কোন নির্বাচনী কর্মকা-ে অংশ নেয়নি। বরং আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে দলবল নিয়ে অংশ নিয়েছে।

তারাগঞ্জ উপজেলায় দেড় বছর আগে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় এর মধ্যে ১১ জন পদত্যাগ করে। তারপর সংশোধিত কমিটি গঠন করা হলেও আবারও ৭ জন পদত্যাগ করে। ওই উপজেলায় কর্মী সভা না করে একটি দোকানে বসে ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে যাদের বিএনপি বা স্থানীয় লোকজন কোনদিন বিএনপির রাজনীতি করতে দেখেনি। এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ করেছে উপজেলা পর্যায়ের যুবদলের নেতাকর্মীরা।

এ ব্যাপারে রংপুরের বেশ কয়েকটি উপজেলা বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন দলের এই ক্রান্তি লগ্নে এ রকম অসৎ ও অসাংগঠনিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার জন্য যুবদলের সভাপতি সম্পাদকের কাছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে যাদের বিরুদ্ধে অশিক্ষিত লেবার সহ বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তারা সকলেই বলেছে দল আমাদের যোগ্য বলে মূল্যায়ন করেছে ফলে যারা আমাদের বিরুদ্ধে তাদের নিজের চেহারা আয়নায় দেখা দরকার বলে জানান তারা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে ঢাকা থেকে আসা যুবদলের রংপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আকিল উদ্দিনের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে দলে সব সময় পক্ষ বিপক্ষ থাকে সারাজিবন থাকবে। ত্যাগি নেতা নিয়ে সমস্যা আছে জানিয়ে বলেন কেউ শতভাগ কেউ ৮০ ভাগ ত্যাগি। তিনি বলেন আমরা প্রত্যেকের বায়োডাটা ফরম আকারে নিয়েছি যাছাই বাছাই করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি সম্পাদকের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।

পরে জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সকলকে শতভাগ খুশি করা সম্ভব নয়। আর কারা অভিযোগ করছে তারা কে?। তিনি বলেন ছাত্রদল করতে লেখা পড়া লাগে যুবদল করতে অত লেখা পড়া লাগেনা। তিনি বলেন এখন আগের মতো দিন নেই আমরা বায়োডাটা নিয়েছি লিখিত ফরমের মাধ্যমে। সব কিছু যাচাই বাছাই করেই করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

আরও খবর
জিয়া-খালেদা-তারেক সবার হাতেই রক্তের দাগ : প্রধানমন্ত্রী
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে কারবালার বিয়োগান্তক ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে প্রধানমন্ত্রী
প্রবীণ সাংবাদিক ফেরদৌস কোরেশীর জীবনাবসান
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু
সম্রাট ও খালেদের সহযোগীরা ফের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায়
পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ৭ পদে রদবদল
টেকনাফে স্থানীয়-রোহিঙ্গাদের জন্য দুশ’ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন
দেশে পৌঁছেছে সিআর দত্তের মরদেহ
আজ খুলছে সাজেক ভ্যালি
কাদামাটিতে অর্ধেক পুঁতে রাখা শিশুর লাশ উদ্ধার
জঞ্জাল সরিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সাজানোর উদ্যোগ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
ক্যাভার্ডভ্যান চাপায় ২ সহোদরসহ ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে সপরিবারে এলাকাছাড়া

মঙ্গলবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১ মহররম ১৪৪২, ১৫ ভাদ্র ১৪২৭

রংপুর উপজেলা যুবদল কমিটি নিয়ে বাণিজ্য

হোটেলে বসে কমিটি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

রংপুরে বিভিন্ন উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় যুবদলের এক নেতাসহ কয়েকজন যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, দলের ত্যাগী নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে মোবাইল ফোনের মেকার, রাজমিস্ত্রী, খাদ্য গুদামের লেবার, ব্যবসায়ী, দলের কোন কর্মকা-ে কখনওই জড়িত ছিল না এমন অখ্যাত ব্যক্তিদের নেতা মনোনীত করার অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে যুবদলের কেন্দ্রীয় যে নেতাদের কমিটি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা বিমানে আসা যাওয়া করেছেন। রংপুরে আলিশান হোটেলে অবস্থান করে আরাম আয়েশি সময় কাটিয়েছেন শুধুমাত্র একটি উপজেলায় কর্মী সভা করে বাকি ৭ উপজেলা ও দুই পৌরসভায় না গিয়ে হোটেলে বসে পছন্দের ব্যক্তিদের কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে।

যদিও যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আকিল আহাম্মেদ এসব অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা অভিযোগ করেন গত ২১ আগস্ট জাতীয়বাদী যুবদলের একটি বিভাগীয় টিম কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আকিল আহাম্মেদের নেতৃত্বে বিমানযোগে ঢাকা থেকে রংপুরে আসেন। তারা রংপুর নগরীর একটি থ্রি-স্টার আবাসিক হোটেল নর্থভিউতে অবস্থান করেন। তাদের সঙ্গে আরও দু’জন কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন মানিক ও ঠাকুরগাঁয়ের আবদুর নুর। এ ছাড়াও রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজুসহ জেলা যুবদলের নেতারাও ছিলেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ ঢাকা থেকে আসা কেন্দ্রীয় নেতারা রংপুর জেলা যুবদলের অধীনস্থ ৮ উপজেলা ও ৩টি পৌরসভার মধ্যে শুধু মাত্র গঙ্গাচড়া উপজেলায় কর্মী সভা করে। অথচ প্রতিটি উপজেলায় কর্মী সভা করে নেতাকর্মীদের মতামত নিয়ে কমিটি গঠন করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু নেতারা গঙ্গাচড়া ছাড়া অন্য উপজেলায় কোন কর্মী সভা না করে স্থানীয় চায়ের দোকানে বা রাস্তার পাশে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে কর্মীদের সঙ্গে কোন রকম মতবিনিময় বা কর্মী সভা না করে চলে আসেন। তারা ৪ দিন ৪ রাত রংপুরে অবস্থান করে উপজেলা বিএনপি নেতাদের কোন মতামত না নিয়ে কিংবা যুবদলের ত্যাগী নেতাদের সঙ্গে কথা না বলেই বা তাদের মতামতের কোন প্রকার মূল্যায়ন না করে হোটেল রুমেই জেলা যুবদলের নেতাদের নিয়ে উপজেলা ও পৌর যুবদলের কমিটি গঠনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ সব কমিটিতে তুলনামূলকভাবে অযোগ্য অশিক্ষিত এবং বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের মূল দায়িত্বে রাখা হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলায় মিজান নামে একজনকে আহ্বায়ক মনোনীত করা হয়েছে। সে অষ্টম শ্রেণীও পাস করেনি। স্থানীয় মোবাইল ফোনের মেকারি করে তার যুবদলের রাজনীতিতে কোন ভূমিকাই ছিল না।

একইভাবে পীরগাছা উপজেলায় আনিসুল হক ভূঁইয়াকে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়েছে। ইতিপূর্বে সে কখনও বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কোন রাজনীতির সঙ্গে কখনওই জড়িত ছিল না। যেহেতু পেশায় ব্যবসায়ী, তাই অর্থ দিয়ে এ পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে গঙ্গাচড়া উপজেলা যুবদলের স্বপন নামে যাকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের পদটি দখল করে আছে। শামীম নামে যাকে সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়েছে সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী, লেখাপড়া একেবারে জানেনা। এর আগে কোন দিন বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কোন কর্মকা-ে জড়িত ছিল না বলে অভিযোগ নেতাকর্মীদের। সে জেলা বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার লোক হওয়ায় তাকে এ পদে নেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে বদরগঞ্জ পৌর বিএনপিতে আহ্বায়ক হিসেবে যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেই আনোয়ার হোসেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে আছে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আছে। একই ভাবে জিয়ারুল নামে যাকে সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়েছে। তার কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই, সে গোডাউনের লেবার হিসেবে কাজ করে। একই ভাবে মনিরকে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব করা হয়েছে। সে বিগত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কোন নির্বাচনী কর্মকা-ে অংশ নেয়নি। বরং আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে দলবল নিয়ে অংশ নিয়েছে।

তারাগঞ্জ উপজেলায় দেড় বছর আগে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় এর মধ্যে ১১ জন পদত্যাগ করে। তারপর সংশোধিত কমিটি গঠন করা হলেও আবারও ৭ জন পদত্যাগ করে। ওই উপজেলায় কর্মী সভা না করে একটি দোকানে বসে ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে যাদের বিএনপি বা স্থানীয় লোকজন কোনদিন বিএনপির রাজনীতি করতে দেখেনি। এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ করেছে উপজেলা পর্যায়ের যুবদলের নেতাকর্মীরা।

এ ব্যাপারে রংপুরের বেশ কয়েকটি উপজেলা বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন দলের এই ক্রান্তি লগ্নে এ রকম অসৎ ও অসাংগঠনিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার জন্য যুবদলের সভাপতি সম্পাদকের কাছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে যাদের বিরুদ্ধে অশিক্ষিত লেবার সহ বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তারা সকলেই বলেছে দল আমাদের যোগ্য বলে মূল্যায়ন করেছে ফলে যারা আমাদের বিরুদ্ধে তাদের নিজের চেহারা আয়নায় দেখা দরকার বলে জানান তারা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে ঢাকা থেকে আসা যুবদলের রংপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আকিল উদ্দিনের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে দলে সব সময় পক্ষ বিপক্ষ থাকে সারাজিবন থাকবে। ত্যাগি নেতা নিয়ে সমস্যা আছে জানিয়ে বলেন কেউ শতভাগ কেউ ৮০ ভাগ ত্যাগি। তিনি বলেন আমরা প্রত্যেকের বায়োডাটা ফরম আকারে নিয়েছি যাছাই বাছাই করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি সম্পাদকের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।

পরে জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সকলকে শতভাগ খুশি করা সম্ভব নয়। আর কারা অভিযোগ করছে তারা কে?। তিনি বলেন ছাত্রদল করতে লেখা পড়া লাগে যুবদল করতে অত লেখা পড়া লাগেনা। তিনি বলেন এখন আগের মতো দিন নেই আমরা বায়োডাটা নিয়েছি লিখিত ফরমের মাধ্যমে। সব কিছু যাচাই বাছাই করেই করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।