সিঙ্গেল ডিজিট সুদহার বাস্তবায়নে আরও কঠোর হলো বাংলাদেশ ব্যাংক

সিঙ্গেল ডিজিট (৯ শতাংশ) সুদহার বাস্তবায়নে আরও কঠোর হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই ৯ শতাংশ সুদহার সংশ্লিষ্ট আগের একটি প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। গত সোমবার এ বিষয়ে নতুন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নতুন প্রজ্ঞাপন জারির মধ্য দিয়ে ব্যাংকগুলোকে সব ধরনের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ বাস্তবায়নের জন্য ‘কড়া বার্তা’ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।

গতকাল তিনি বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ১ এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যতীত অন্য যে কোন ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু ২০১৮ সালের ৩০ মের একটি প্রজ্ঞাপনের ব্যাখ্যা দিয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ সুদহার বাস্তবায়নে গড়িমসি করছিল কিছু ব্যাংক। সে কারণেই ২০১৮ সালের ৩০ মের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করা হয়েছে। যে কোন মূল্যে ঋণের সুদহার এক অংকে (১০ শতাংশের নিচে) নামিয়ে আনতেই এটা করা হয়েছে।

আগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ‘বিদ্যমান ঋণ হিসাবগুলোর সুদ হারের আকস্মিক ঊর্ধ্বমুখী পরিবর্তনের প্রবণতা পরিহার’ শীর্ষক বাতিল করা সার্কুলারে বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় আর্থিক বাজার সুদহারে সাম্প্রতিক বৃদ্ধির সূত্রে নতুন ঋণ মঞ্জুরি ছাড়াও বিদ্যমান ব্যাংক ঋণ হিসাবগুলোতেও আকস্মিক অযৌক্তিক মাত্রায় উচ্চতর সুদহার নির্ধারণের কিছু কিছু দৃষ্টান্ত সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা ঋণগ্রহীতাদের পরিশোধ সামর্থ্যরে ও আর্থিক সঙ্গতির উপর অনভিপ্রেত চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি বিনিয়োগ ও উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং নতুনভাবে খেলাপি ঋণ সৃষ্টির ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে সব ব্যাংকের জন্য নিচের নির্দেশনাগুলো কার্যকর হবে : কোন ঋণের মঞ্জুরিপত্রে সুদহার অপরিবর্তনশীল (ভরীবফ ৎধঃব) উল্লেখ থাকলে ওই ঋণের সুদহারে সংশ্লিষ্ট ঋণের মেয়াদকালে ঊর্ধ্বমুখী কোন পরিবর্তন করা যাবে না। শুধুমাত্র ঋণের মঞ্জুরিপত্রে সুদহার পরিবর্তনশীল উল্লেখ থাকলেই ওই ঋণের সুদহারে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রয়োজনে ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন আনা যাবে। ঋণের সুদহার বছরে এক বারের বেশি বৃদ্ধি করা যাবে না। ঋণের সুদ হারের কোন বৃদ্ধির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে কমপক্ষে ৩ মাস আগে নোটিশ প্রদান করতে হবে। গ্রাহককে অবহিত না করে কোন ঋণের সুদহার বৃদ্ধি করা যাবে না। ঋণের সুদ হারের ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন মেয়াদি ঋণের বেলায় প্রতিবার অনধিক দশমিক ৫০ শতাংশ এবং চলতি মূলধন ও অন্যান্য ঋণের বেলায় প্রতিবার অনধিক ১ শতাংশ মাত্রায় পরিমিত রাখতে হবে।

নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো কর্তৃক নতুন ঋণ মঞ্জুরি ছাড়াও বিদ্যমান ঋণ হিসাবগুলোতেও অযৌক্তিক মাত্রায় উচ্চতর সুদহার নির্ধারণ রোধ, ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং নতুনভাবে খেলাপি ঋণ সৃষ্টির ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ৩০ মে’র প্রজ্ঞাপনে কতিপয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল। এক্ষণে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞানের মাধ্যমে ১ এপ্রিল হতে ক্রেডিট কার্ড ব্যতীত অন্যান্য সব অশ্রেণীকৃত ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রেক্ষাপটে ২০১৮ সালের ওই প্রজ্ঞাপনে সব নির্দেশনা রহিত করা হলো।

বুধবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২ মহররম ১৪৪২, ১৬ ভাদ্র ১৪২৭

সিঙ্গেল ডিজিট সুদহার বাস্তবায়নে আরও কঠোর হলো বাংলাদেশ ব্যাংক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

সিঙ্গেল ডিজিট (৯ শতাংশ) সুদহার বাস্তবায়নে আরও কঠোর হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই ৯ শতাংশ সুদহার সংশ্লিষ্ট আগের একটি প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। গত সোমবার এ বিষয়ে নতুন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নতুন প্রজ্ঞাপন জারির মধ্য দিয়ে ব্যাংকগুলোকে সব ধরনের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ বাস্তবায়নের জন্য ‘কড়া বার্তা’ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।

গতকাল তিনি বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ১ এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যতীত অন্য যে কোন ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু ২০১৮ সালের ৩০ মের একটি প্রজ্ঞাপনের ব্যাখ্যা দিয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ সুদহার বাস্তবায়নে গড়িমসি করছিল কিছু ব্যাংক। সে কারণেই ২০১৮ সালের ৩০ মের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করা হয়েছে। যে কোন মূল্যে ঋণের সুদহার এক অংকে (১০ শতাংশের নিচে) নামিয়ে আনতেই এটা করা হয়েছে।

আগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ‘বিদ্যমান ঋণ হিসাবগুলোর সুদ হারের আকস্মিক ঊর্ধ্বমুখী পরিবর্তনের প্রবণতা পরিহার’ শীর্ষক বাতিল করা সার্কুলারে বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় আর্থিক বাজার সুদহারে সাম্প্রতিক বৃদ্ধির সূত্রে নতুন ঋণ মঞ্জুরি ছাড়াও বিদ্যমান ব্যাংক ঋণ হিসাবগুলোতেও আকস্মিক অযৌক্তিক মাত্রায় উচ্চতর সুদহার নির্ধারণের কিছু কিছু দৃষ্টান্ত সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা ঋণগ্রহীতাদের পরিশোধ সামর্থ্যরে ও আর্থিক সঙ্গতির উপর অনভিপ্রেত চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি বিনিয়োগ ও উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং নতুনভাবে খেলাপি ঋণ সৃষ্টির ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে সব ব্যাংকের জন্য নিচের নির্দেশনাগুলো কার্যকর হবে : কোন ঋণের মঞ্জুরিপত্রে সুদহার অপরিবর্তনশীল (ভরীবফ ৎধঃব) উল্লেখ থাকলে ওই ঋণের সুদহারে সংশ্লিষ্ট ঋণের মেয়াদকালে ঊর্ধ্বমুখী কোন পরিবর্তন করা যাবে না। শুধুমাত্র ঋণের মঞ্জুরিপত্রে সুদহার পরিবর্তনশীল উল্লেখ থাকলেই ওই ঋণের সুদহারে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রয়োজনে ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন আনা যাবে। ঋণের সুদহার বছরে এক বারের বেশি বৃদ্ধি করা যাবে না। ঋণের সুদ হারের কোন বৃদ্ধির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে কমপক্ষে ৩ মাস আগে নোটিশ প্রদান করতে হবে। গ্রাহককে অবহিত না করে কোন ঋণের সুদহার বৃদ্ধি করা যাবে না। ঋণের সুদ হারের ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন মেয়াদি ঋণের বেলায় প্রতিবার অনধিক দশমিক ৫০ শতাংশ এবং চলতি মূলধন ও অন্যান্য ঋণের বেলায় প্রতিবার অনধিক ১ শতাংশ মাত্রায় পরিমিত রাখতে হবে।

নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো কর্তৃক নতুন ঋণ মঞ্জুরি ছাড়াও বিদ্যমান ঋণ হিসাবগুলোতেও অযৌক্তিক মাত্রায় উচ্চতর সুদহার নির্ধারণ রোধ, ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং নতুনভাবে খেলাপি ঋণ সৃষ্টির ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ৩০ মে’র প্রজ্ঞাপনে কতিপয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল। এক্ষণে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞানের মাধ্যমে ১ এপ্রিল হতে ক্রেডিট কার্ড ব্যতীত অন্যান্য সব অশ্রেণীকৃত ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রেক্ষাপটে ২০১৮ সালের ওই প্রজ্ঞাপনে সব নির্দেশনা রহিত করা হলো।