বালি নয়, মাটি দিয়ে হচ্ছে সড়ক!

মগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদর থেকে হরেকৃষ্ণপুর বাজার পর্যন্ত সড়ক ও জনপথের (সওজ) প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে বালুর বদলে মাটি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীদের অভিযোগ, বালুর বদলে মাটির সঙ্গে খোয়া মিশিয়ে এখানে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের প্রতিবাদের পরও সড়ক ও জনপথের (সওজ) পরিদর্শকের উপস্থিতিতে ঠিকাদারের খেয়ালখুশি মতো কাজ এগিয়ে চলছে। উপজেলা বাইজানি গ্রামের বাসিন্দা আরজ আলী অভিযোগ করে বলেন, মাটি আর খোয়া দিয়ে যে কাজ হচ্ছে। এমনিই ভাঙে যাচ্ছে। এ জায়গার কাজ ভালো হচ্ছে না। সদরের কলেজ পাড়ার বাসিন্দা বাবলু কাজে বাধা দিয়ে বলেন, সরকার কি কম দিচ্ছে, আপনারা একটু লাভ কম করেন। সওজর নীতিমালায় রাস্তা নির্মাণে ৩টি লেয়ারের প্রথম লেয়ারে বালি, পরের লেয়ারে বালি-খোয়া এবং তৃতীয় লেয়ারে পাথর ও বালি দেওয়ার কথা আছে বলে সড়ক ও জনপথ অফিসের একটি সূত্র জানায়।

সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর মুহম্মদপুর বাজার থেকে ডাঙ্গাপাড়া বাজার পর্যন্ত দুই পয়েন্টে ৭ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। এ কাজ করছে মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি।

মাগুরা সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মতিউর রহমান জানান, রাস্তায় যে বালু এবং খোয়া ছিল সেটা সরকারের কাছ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কিনে নেওয়া।

ওই বালিটা এলাকার লোকাল বালি। দীর্ঘদিন রাস্তায় ছিল। বৃষ্টি কাদায় কিছুটা নষ্ট হয়েছে এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে নতুন কিছু খোয়া দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান।

মোজাহার এন্টারপ্রাইজের সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক সোহেল মিয়া জানান, রাস্তায় পুরাতন বালু ও খোয়া ছিল ৪ ইঞ্চি, কিন্তু সরকারের কাছ থেকে কিনতে হয়েছে ৮ ইঞ্চি। তাও বেশি দাবে। ওইসব বালু ও খোয়া রাস্তায় দেওয়া হয়েছে।

বুধবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২ মহররম ১৪৪২, ১৬ ভাদ্র ১৪২৭

বালি নয়, মাটি দিয়ে হচ্ছে সড়ক!

প্রতিনিধি, মাগুরা

image

মগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদর থেকে হরেকৃষ্ণপুর বাজার পর্যন্ত সড়ক ও জনপথের (সওজ) প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে বালুর বদলে মাটি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীদের অভিযোগ, বালুর বদলে মাটির সঙ্গে খোয়া মিশিয়ে এখানে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের প্রতিবাদের পরও সড়ক ও জনপথের (সওজ) পরিদর্শকের উপস্থিতিতে ঠিকাদারের খেয়ালখুশি মতো কাজ এগিয়ে চলছে। উপজেলা বাইজানি গ্রামের বাসিন্দা আরজ আলী অভিযোগ করে বলেন, মাটি আর খোয়া দিয়ে যে কাজ হচ্ছে। এমনিই ভাঙে যাচ্ছে। এ জায়গার কাজ ভালো হচ্ছে না। সদরের কলেজ পাড়ার বাসিন্দা বাবলু কাজে বাধা দিয়ে বলেন, সরকার কি কম দিচ্ছে, আপনারা একটু লাভ কম করেন। সওজর নীতিমালায় রাস্তা নির্মাণে ৩টি লেয়ারের প্রথম লেয়ারে বালি, পরের লেয়ারে বালি-খোয়া এবং তৃতীয় লেয়ারে পাথর ও বালি দেওয়ার কথা আছে বলে সড়ক ও জনপথ অফিসের একটি সূত্র জানায়।

সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর মুহম্মদপুর বাজার থেকে ডাঙ্গাপাড়া বাজার পর্যন্ত দুই পয়েন্টে ৭ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। এ কাজ করছে মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি।

মাগুরা সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মতিউর রহমান জানান, রাস্তায় যে বালু এবং খোয়া ছিল সেটা সরকারের কাছ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কিনে নেওয়া।

ওই বালিটা এলাকার লোকাল বালি। দীর্ঘদিন রাস্তায় ছিল। বৃষ্টি কাদায় কিছুটা নষ্ট হয়েছে এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে নতুন কিছু খোয়া দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান।

মোজাহার এন্টারপ্রাইজের সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক সোহেল মিয়া জানান, রাস্তায় পুরাতন বালু ও খোয়া ছিল ৪ ইঞ্চি, কিন্তু সরকারের কাছ থেকে কিনতে হয়েছে ৮ ইঞ্চি। তাও বেশি দাবে। ওইসব বালু ও খোয়া রাস্তায় দেওয়া হয়েছে।