জাপানে দলীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন

ক্ষমতাসীনদের ১৪ সেপ্টেম্বর ভোট পরিকল্পনা

সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের পদত্যাগের পর ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপি নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে ১৪ সেপ্টেম্বর ভোটের পরিকল্পনা করেছে। সোমবার দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে পার্টির নতুন প্রধানই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য রয়েছেন সম্ভাব্য ৪ প্রার্থী। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গত শুক্রবার অনেকটা হঠাৎ করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। জাপানে সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা আবে বেশ কয়েক বছর ধরে ‘আলসারেটিভ কোলাইটিস’ রোগে ভুগছিলেন। কয়েক মাসে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নিয়মিত চিকিৎসা নিতে প্রধানমন্ত্রী গুরুদায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে তিনি সরে দাঁড়ানোয় তার দল এলডিপি প্রধান এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী উভয় পদই শূন্য অবস্থায় রয়েছে। সিএনএন, কিয়েদো নিউজ।

জাপানে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এলডিপি সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে দলীয় প্রধান এমপি’দের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হবেন। নতুন যিনি ক্ষমতায় আসবেন তার সামনে থাকবে অর্থনীতি, কূটনীতি, নিরাপত্তা, করোনাভাইরাস মহামারীসহ একগাদা সংকট সামাল দেয়ার চ্যালেঞ্জ। গণমাধ্যম পরিচালিত জনমত জরিপগুলো বলছে, আবের উত্তরসূরি হিসেবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ‘শিগেরু ইশিবা।’ তবে তিনি এখনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেননি। আবার জনগণের মধ্যে জনপ্রিয় হলেও এলডিপি পার্টিতে তার সমর্থন কম। অন্যদিকে, এলডিপির নীতি বিষয়ক প্রধান ফুমিও কিশিদা জনমত জরিপগুলোতে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। উল্লেখ্য চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা জনসমর্থনের দিক থেকে আছেন দ্বিতীয় স্থানে। জরিপ বলছে, ইশিবার জনসমর্থন ৩৪ শতাংশ। আর সুগার ১৪ শতাংশ। নিক্কি টিভি টোকিওর প্রতিবেদন বলেছে, ইশিবার জনসমর্থন ২৮ শতাংশ, বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী তারো কানোর ১৫ শতাংশ আর ইয়োশিহিদে সুগার ১১ শতাংশ। জাপানের নিয়মানুসারে, জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হয় না বরং দেশটির পার্লামেন্টারি রাজনৈতিক ব্যবস্থায় আইনপ্রণেতারাই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে থাকেন।

মঙ্গলবার দলের এক বৈঠকে ১৪ সেপ্টেম্বরে ভোটের এই তারিখ চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছে সম্প্রচারমাধ্যম এফএনএন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পার্টি সদর দফতরে ভোট না করে তা করা হবে টোকিও হোটেলে।

ইয়োশিহিদে সুগাই কি হচ্ছেন আবের উত্তরসূরি? জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের পদত্যাগের পর কে হবে শিনজো আবের স্থলাভিষিক্ত?

বুধবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২ মহররম ১৪৪২, ১৬ ভাদ্র ১৪২৭

জাপানে দলীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন

ক্ষমতাসীনদের ১৪ সেপ্টেম্বর ভোট পরিকল্পনা

image

সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের পদত্যাগের পর ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপি নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে ১৪ সেপ্টেম্বর ভোটের পরিকল্পনা করেছে। সোমবার দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে পার্টির নতুন প্রধানই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য রয়েছেন সম্ভাব্য ৪ প্রার্থী। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গত শুক্রবার অনেকটা হঠাৎ করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। জাপানে সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা আবে বেশ কয়েক বছর ধরে ‘আলসারেটিভ কোলাইটিস’ রোগে ভুগছিলেন। কয়েক মাসে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নিয়মিত চিকিৎসা নিতে প্রধানমন্ত্রী গুরুদায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে তিনি সরে দাঁড়ানোয় তার দল এলডিপি প্রধান এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী উভয় পদই শূন্য অবস্থায় রয়েছে। সিএনএন, কিয়েদো নিউজ।

জাপানে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এলডিপি সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে দলীয় প্রধান এমপি’দের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হবেন। নতুন যিনি ক্ষমতায় আসবেন তার সামনে থাকবে অর্থনীতি, কূটনীতি, নিরাপত্তা, করোনাভাইরাস মহামারীসহ একগাদা সংকট সামাল দেয়ার চ্যালেঞ্জ। গণমাধ্যম পরিচালিত জনমত জরিপগুলো বলছে, আবের উত্তরসূরি হিসেবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ‘শিগেরু ইশিবা।’ তবে তিনি এখনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেননি। আবার জনগণের মধ্যে জনপ্রিয় হলেও এলডিপি পার্টিতে তার সমর্থন কম। অন্যদিকে, এলডিপির নীতি বিষয়ক প্রধান ফুমিও কিশিদা জনমত জরিপগুলোতে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। উল্লেখ্য চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা জনসমর্থনের দিক থেকে আছেন দ্বিতীয় স্থানে। জরিপ বলছে, ইশিবার জনসমর্থন ৩৪ শতাংশ। আর সুগার ১৪ শতাংশ। নিক্কি টিভি টোকিওর প্রতিবেদন বলেছে, ইশিবার জনসমর্থন ২৮ শতাংশ, বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী তারো কানোর ১৫ শতাংশ আর ইয়োশিহিদে সুগার ১১ শতাংশ। জাপানের নিয়মানুসারে, জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হয় না বরং দেশটির পার্লামেন্টারি রাজনৈতিক ব্যবস্থায় আইনপ্রণেতারাই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে থাকেন।

মঙ্গলবার দলের এক বৈঠকে ১৪ সেপ্টেম্বরে ভোটের এই তারিখ চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছে সম্প্রচারমাধ্যম এফএনএন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পার্টি সদর দফতরে ভোট না করে তা করা হবে টোকিও হোটেলে।

ইয়োশিহিদে সুগাই কি হচ্ছেন আবের উত্তরসূরি? জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের পদত্যাগের পর কে হবে শিনজো আবের স্থলাভিষিক্ত?