বেপরোয়াভাবে সহিংসতায় উসকানি দিয়েছেন ট্রাম্প : বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ডের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রকাশ্যেই অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শনিবার পোর্টল্যান্ডে ট্রাম্প সমর্থকদের সঙ্গে বর্ণবাদবিরোধী ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনকারীদের ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ট্রাম্পের দাবি, সেদিন তার সমর্থকদের কার্যকলাপ ছিল রক্ষণাত্মক বা আত্মরক্ষামূলক। গত সোমবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে নিজের এ মনোভাবের কথা জানান বর্তমান প্রেসিডেন্ট। নিউইয়র্ক পোস্ট।

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মেয়র ও গভর্নর রয়েছে এমন অঞ্চলগুলোতে সহিংসতার জন্য আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ও তার মিত্রদের দায়ী করেন ট্রাম্প। সিএনএন-র এক প্রশ্নোত্তরে ট্রাম্প জানান, পোর্টল্যান্ডের ওই সহিংসতায় যুক্ত নিজের সমর্থকদের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাবেন কিনা?- ঠিক আছে, আমি বুঝতে পারছি সেখানে আমার বিপুল সংখ্যক সমর্থক ছিল, তবে এটি ছিল শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। এ সময় কৃষ্ণাঙ্গদের সহিংসতার ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সংবাদ মাধ্যমগুলোর সমালোচনা করেন ট্রাম্প।

ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাইডেন বলেছেন, বরাবর বেপরোয়াভাবে সহিংসতায় উসকানি দিয়েছেন ট্রাম্প। শনিবার ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারস আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ট্রাম্পপন্থিদের মিছিলের সংঘর্ষে গুলিতে একজন নিহত হলে এরপর নিজ সমর্থকদের পক্ষ নিয়ে বামপন্থি ও ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করতে শুরু করেন ট্রাম্প। পুলিশের গুলিতে আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লুয়েডের মৃত্যুর পর পুলিশের নিষ্ঠুরতা ও বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে পোর্টল্যান্ড। মিনিয়াপোলিসে গত ২৫ জর্জ ফ্লুয়েড নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশে বিদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক লেখালেখির পর শহরে পাল্টা জমায়েত করতে না আসার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন মেয়র হোয়েলার। এক টুইট বার্তায় তিনি জানান, ‘আপনারা যারা আজ সকালে টুইটে লিখেছেন, আপনারা প্রতিশোধ নিতে পোর্টল্যান্ড আসবেন, আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছিÑ অবশ্যই দূরে থাকুন।’ ট্রাম্পের সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়ে তিনি বলছেন, প্রেসিডেন্টই বরং বিদ্বেষ আর বিভেদ তৈরি করছেন। গত সোমবার বেশ কয়েকটি টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, একজন বোকা মেয়রকে নিয়ে পোর্টল্যান্ড কখনোই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে না। তিনি শহরে ফেডারেল ফোর্স পাঠানোরও পরামর্শ দিয়েছেন। বাইডেনকে পাল্টাপাল্টি অভিযুক্ত করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নেতৃত্ব দিতে অনাগ্রহী। পরে এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘ট্রাম্প হয়তো মনে করেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে টুইট করলে তার অবস্থান শক্ত হবে। সংঘাত থেকে সমর্থকদের বিরত রাখতে তার ব্যর্থতাই বলে দেয় যে, তিনি আসলে কতটা দুর্বল।

নির্বাচক বিশ্লেষকদের সঙ্গে একমত পোষণ করে ডেমোক্র্যাটরা বলছে, নির্বাচন পূর্বাপর সংঘাত ও প্রাণহাণির ঘটনায় একদিকে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির আওতায় সহিংসতা ঘটছে বারংবার অন্যদিকে নিজের উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি পরিস্থিতিকে ক্রমশ জটিল করে তুলছেন।

বুধবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২ মহররম ১৪৪২, ১৬ ভাদ্র ১৪২৭

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন

বেপরোয়াভাবে সহিংসতায় উসকানি দিয়েছেন ট্রাম্প : বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ডের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রকাশ্যেই অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শনিবার পোর্টল্যান্ডে ট্রাম্প সমর্থকদের সঙ্গে বর্ণবাদবিরোধী ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনকারীদের ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ট্রাম্পের দাবি, সেদিন তার সমর্থকদের কার্যকলাপ ছিল রক্ষণাত্মক বা আত্মরক্ষামূলক। গত সোমবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে নিজের এ মনোভাবের কথা জানান বর্তমান প্রেসিডেন্ট। নিউইয়র্ক পোস্ট।

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মেয়র ও গভর্নর রয়েছে এমন অঞ্চলগুলোতে সহিংসতার জন্য আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ও তার মিত্রদের দায়ী করেন ট্রাম্প। সিএনএন-র এক প্রশ্নোত্তরে ট্রাম্প জানান, পোর্টল্যান্ডের ওই সহিংসতায় যুক্ত নিজের সমর্থকদের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাবেন কিনা?- ঠিক আছে, আমি বুঝতে পারছি সেখানে আমার বিপুল সংখ্যক সমর্থক ছিল, তবে এটি ছিল শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। এ সময় কৃষ্ণাঙ্গদের সহিংসতার ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সংবাদ মাধ্যমগুলোর সমালোচনা করেন ট্রাম্প।

ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাইডেন বলেছেন, বরাবর বেপরোয়াভাবে সহিংসতায় উসকানি দিয়েছেন ট্রাম্প। শনিবার ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারস আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ট্রাম্পপন্থিদের মিছিলের সংঘর্ষে গুলিতে একজন নিহত হলে এরপর নিজ সমর্থকদের পক্ষ নিয়ে বামপন্থি ও ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করতে শুরু করেন ট্রাম্প। পুলিশের গুলিতে আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লুয়েডের মৃত্যুর পর পুলিশের নিষ্ঠুরতা ও বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে পোর্টল্যান্ড। মিনিয়াপোলিসে গত ২৫ জর্জ ফ্লুয়েড নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশে বিদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক লেখালেখির পর শহরে পাল্টা জমায়েত করতে না আসার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন মেয়র হোয়েলার। এক টুইট বার্তায় তিনি জানান, ‘আপনারা যারা আজ সকালে টুইটে লিখেছেন, আপনারা প্রতিশোধ নিতে পোর্টল্যান্ড আসবেন, আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছিÑ অবশ্যই দূরে থাকুন।’ ট্রাম্পের সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়ে তিনি বলছেন, প্রেসিডেন্টই বরং বিদ্বেষ আর বিভেদ তৈরি করছেন। গত সোমবার বেশ কয়েকটি টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, একজন বোকা মেয়রকে নিয়ে পোর্টল্যান্ড কখনোই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে না। তিনি শহরে ফেডারেল ফোর্স পাঠানোরও পরামর্শ দিয়েছেন। বাইডেনকে পাল্টাপাল্টি অভিযুক্ত করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নেতৃত্ব দিতে অনাগ্রহী। পরে এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘ট্রাম্প হয়তো মনে করেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে টুইট করলে তার অবস্থান শক্ত হবে। সংঘাত থেকে সমর্থকদের বিরত রাখতে তার ব্যর্থতাই বলে দেয় যে, তিনি আসলে কতটা দুর্বল।

নির্বাচক বিশ্লেষকদের সঙ্গে একমত পোষণ করে ডেমোক্র্যাটরা বলছে, নির্বাচন পূর্বাপর সংঘাত ও প্রাণহাণির ঘটনায় একদিকে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির আওতায় সহিংসতা ঘটছে বারংবার অন্যদিকে নিজের উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি পরিস্থিতিকে ক্রমশ জটিল করে তুলছেন।