রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র নিউজ-২১ টিভি, এবি চ্যানেল নামে অনুমোদনহীন সংবাদ মাধ্যম পরিচালনা ও এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। এ চক্র চাকরি দেয়ার লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সিল সই ব্যবহারে জালিয়াতি করে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা। অবশেষে গতকাল র্যাবের হাতে ধরা পড়ল চক্রটি।
র্যাব জানায়, রাজধানীর পুরানা পল্টন থেকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের নাম এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সিল ব্যবহার করে বাংলাদেশ আনসার, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশসহ ১০টি সরকারি এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এ চক্র।
র্যাব-৩ কর্মকর্তা ও সদস্যরা গোয়েন্দা তথ্যেরভিত্তিতে জানতে পারে যে, ৫০/১, পুরানা পল্টন হাবীব টাওয়ারে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ অনুমোদনহীন নিউজ ২১ টিভি, এবি চ্যানেল (News-21 TV, AB Channel) সময়ের অপরাধ চক্র নামে এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সিল ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জনগণের কাছ হতে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। তথ্যেরভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল বিকেল ৪টার দিকে হাবীব টাওয়ার, ৫০/১, পুরানা পল্টন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিউজ ২১ টিভির এমডি শহিদুল ইসলাম (৫৪), ও নিউজ-২১ চেয়ারম্যান ও সময়ের অপরাধ চক্র নামীয় সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা আমেনা খাতুন (৪০), হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অভিযুক্তদের অফিস তল্লাশি করে বিভিন্ন নামের উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিবসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জাল সিল, জাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ৮২টি, চাকরির ভুয়া বিজ্ঞাপন এবং বিভিন্ন ভুয়া নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, পল্টন হাবীব টাওয়ারে সময়ের অপরাধ চক্র নামক একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা অফিস স্থাপন করে ওই আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ আনসার, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশসহ সরকারি এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার নাম করে এক হাজার জনের কাছ হতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এছাড়াও অভিযুক্ত আসামিরা সময়ের অপরাধ চক্র নামক সাপ্তাহিক পত্রিকার বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন পদে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৫৭০ জনের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা আদায় করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ে এই পত্রিকার কোন পদের অস্তিত্ব নেই। এভাবে দীর্ঘদিন যাবত এ চক্রটি সরকার এবং সাধারণ জনগণকে প্রতারণা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বুধবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২ মহররম ১৪৪২, ১৬ ভাদ্র ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র নিউজ-২১ টিভি, এবি চ্যানেল নামে অনুমোদনহীন সংবাদ মাধ্যম পরিচালনা ও এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। এ চক্র চাকরি দেয়ার লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সিল সই ব্যবহারে জালিয়াতি করে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা। অবশেষে গতকাল র্যাবের হাতে ধরা পড়ল চক্রটি।
র্যাব জানায়, রাজধানীর পুরানা পল্টন থেকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের নাম এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সিল ব্যবহার করে বাংলাদেশ আনসার, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশসহ ১০টি সরকারি এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এ চক্র।
র্যাব-৩ কর্মকর্তা ও সদস্যরা গোয়েন্দা তথ্যেরভিত্তিতে জানতে পারে যে, ৫০/১, পুরানা পল্টন হাবীব টাওয়ারে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ অনুমোদনহীন নিউজ ২১ টিভি, এবি চ্যানেল (News-21 TV, AB Channel) সময়ের অপরাধ চক্র নামে এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সিল ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জনগণের কাছ হতে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। তথ্যেরভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল বিকেল ৪টার দিকে হাবীব টাওয়ার, ৫০/১, পুরানা পল্টন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিউজ ২১ টিভির এমডি শহিদুল ইসলাম (৫৪), ও নিউজ-২১ চেয়ারম্যান ও সময়ের অপরাধ চক্র নামীয় সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা আমেনা খাতুন (৪০), হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অভিযুক্তদের অফিস তল্লাশি করে বিভিন্ন নামের উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিবসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জাল সিল, জাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ৮২টি, চাকরির ভুয়া বিজ্ঞাপন এবং বিভিন্ন ভুয়া নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, পল্টন হাবীব টাওয়ারে সময়ের অপরাধ চক্র নামক একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা অফিস স্থাপন করে ওই আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ আনসার, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশসহ সরকারি এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার নাম করে এক হাজার জনের কাছ হতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এছাড়াও অভিযুক্ত আসামিরা সময়ের অপরাধ চক্র নামক সাপ্তাহিক পত্রিকার বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন পদে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৫৭০ জনের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা আদায় করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ে এই পত্রিকার কোন পদের অস্তিত্ব নেই। এভাবে দীর্ঘদিন যাবত এ চক্রটি সরকার এবং সাধারণ জনগণকে প্রতারণা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।