স্টেজ শোতে মুখরিত হওয়ার অপেক্ষায় তারা

করোনার কারণে গেলো মার্চ মাস থেকে সবধরনের স্টেজ শো আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে খুব সচেতনভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আশপাশে কিছু জায়গায় স্বল্পপরিসরে স্টেজ শোতে এরই মধ্যে কয়েক জন সঙ্গীতশিল্পী অংশ নিয়েছেন নিজ দায়িত্বে। তবে সেটা খুবই সামান্য। এখনো করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশে কন্ট্রোলে নয়। প্রতিদিনিই করোনায় হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার প্রতিদিনই ত্রিশ-চল্লিশজন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। যে কারণে করোনার কারণে স্টেজ শো বন্ধই রয়েছে বলা চলে। তাই মূলত যেসব শিল্পী স্টেজ শোর ওপরই অনেকটাই নির্ভরশীল তাদের জন্য জীবনটা যেন অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠিক তেমনি চারজন শিল্পী হলেন- অনুপমা মুক্তি, চম্পা বণিক, হৈমন্তী রক্ষিত ও কাজী সোমা। তারা চারজনই স্টেজ শোতে গান গেয়ে শ্রোতা-দর্শককে মুগ্ধ করার অপেক্ষায়, স্টেজের চারপাশ গানে গানে মুখরিত করার অপেক্ষায় তারা। কণ্ঠশিল্পী অনুপমা মুক্তি বলেন, স্টেজ শোর মৌসুম শুরু হবে আর কিছুদিন পরই। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি এমন থাকলে স্টেজ শো করা কোনভাবেই সম্ভব নয়।

আল্লাহ যেন দ্রুত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেন। আমরাও যেন সবাই স্টেজ শোতে ফিরতে পারি। কাজী সোমা বলেন, সত্যি বলতে কী স্টেজ শোটাই আমাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্যতম মাধ্যম। সেই মার্চ মাস থেকে স্টেজ শো ছাড়া বসে আছি। কীভাবে জীবন কাটাচ্ছি সেটা আসলে কাউকে বুঝানো সম্ভব নয়। খুব কঠিন সময়ের মধ্যদিয়েই যাচ্ছি আমরা। এই অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন না হলে আগামী দিনগুলো যে কীভাবে কাটবে তা একমাত্র আল্লাহই জানেন। চম্পা বণিক বলেন, করোনার কারণে বিগত দিনগুলো যেভাবে কেটেছে সেই সময়টার কতো আসলে ভাবতে চাই না। আগামীদিনগুলো যেন ভালোভাবে কেটে যায় তাই কামনা করছি। ঈশ^রের কাছে প্রার্থনা করছি দ্রুত করোনা পরিস্থিতি যেন আমাদের দেশে স্বাভাবিক হয়ে যায়।’ হৈমন্তী রক্ষিত বলেন, সবাই যদি যার যার অবস্থানে থেকে অধিক সচেতন থাকেন তাহলে করোনায় আক্রান্ত যেমন কমে যাবে ঠিক তেমনি মৃত্যুর হারও কমে যাবে। হয়তো পরিস্থিতিও কন্ট্রোলে আসবে। কিন্তু পরিস্থিতি কন্ট্রোলে না আসলে স্টেজ শোর কথা ভাবা যাচ্ছে না। ঈশ^রের কাছে প্রার্থনা করছি পরিস্থিতি যেন দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায়। এই চারজন শিল্পীর দাবিই আসলে সঙ্গীত পরিবারের সবারই দাবি। এ মৌসুমটার ওপরই নির্ভর করে সঙ্গীতশিল্পীদের পুরো বছর কীভাবে চলবেন তার পরিকল্পনা।

বৃহস্পতিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৩ মহররম ১৪৪২, ১৭ ভাদ্র ১৪২৭

স্টেজ শোতে মুখরিত হওয়ার অপেক্ষায় তারা

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

করোনার কারণে গেলো মার্চ মাস থেকে সবধরনের স্টেজ শো আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে খুব সচেতনভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আশপাশে কিছু জায়গায় স্বল্পপরিসরে স্টেজ শোতে এরই মধ্যে কয়েক জন সঙ্গীতশিল্পী অংশ নিয়েছেন নিজ দায়িত্বে। তবে সেটা খুবই সামান্য। এখনো করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশে কন্ট্রোলে নয়। প্রতিদিনিই করোনায় হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার প্রতিদিনই ত্রিশ-চল্লিশজন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। যে কারণে করোনার কারণে স্টেজ শো বন্ধই রয়েছে বলা চলে। তাই মূলত যেসব শিল্পী স্টেজ শোর ওপরই অনেকটাই নির্ভরশীল তাদের জন্য জীবনটা যেন অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠিক তেমনি চারজন শিল্পী হলেন- অনুপমা মুক্তি, চম্পা বণিক, হৈমন্তী রক্ষিত ও কাজী সোমা। তারা চারজনই স্টেজ শোতে গান গেয়ে শ্রোতা-দর্শককে মুগ্ধ করার অপেক্ষায়, স্টেজের চারপাশ গানে গানে মুখরিত করার অপেক্ষায় তারা। কণ্ঠশিল্পী অনুপমা মুক্তি বলেন, স্টেজ শোর মৌসুম শুরু হবে আর কিছুদিন পরই। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি এমন থাকলে স্টেজ শো করা কোনভাবেই সম্ভব নয়।

আল্লাহ যেন দ্রুত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেন। আমরাও যেন সবাই স্টেজ শোতে ফিরতে পারি। কাজী সোমা বলেন, সত্যি বলতে কী স্টেজ শোটাই আমাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্যতম মাধ্যম। সেই মার্চ মাস থেকে স্টেজ শো ছাড়া বসে আছি। কীভাবে জীবন কাটাচ্ছি সেটা আসলে কাউকে বুঝানো সম্ভব নয়। খুব কঠিন সময়ের মধ্যদিয়েই যাচ্ছি আমরা। এই অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন না হলে আগামী দিনগুলো যে কীভাবে কাটবে তা একমাত্র আল্লাহই জানেন। চম্পা বণিক বলেন, করোনার কারণে বিগত দিনগুলো যেভাবে কেটেছে সেই সময়টার কতো আসলে ভাবতে চাই না। আগামীদিনগুলো যেন ভালোভাবে কেটে যায় তাই কামনা করছি। ঈশ^রের কাছে প্রার্থনা করছি দ্রুত করোনা পরিস্থিতি যেন আমাদের দেশে স্বাভাবিক হয়ে যায়।’ হৈমন্তী রক্ষিত বলেন, সবাই যদি যার যার অবস্থানে থেকে অধিক সচেতন থাকেন তাহলে করোনায় আক্রান্ত যেমন কমে যাবে ঠিক তেমনি মৃত্যুর হারও কমে যাবে। হয়তো পরিস্থিতিও কন্ট্রোলে আসবে। কিন্তু পরিস্থিতি কন্ট্রোলে না আসলে স্টেজ শোর কথা ভাবা যাচ্ছে না। ঈশ^রের কাছে প্রার্থনা করছি পরিস্থিতি যেন দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায়। এই চারজন শিল্পীর দাবিই আসলে সঙ্গীত পরিবারের সবারই দাবি। এ মৌসুমটার ওপরই নির্ভর করে সঙ্গীতশিল্পীদের পুরো বছর কীভাবে চলবেন তার পরিকল্পনা।