নাটক ‘আলাল দুলালের মা’

নির্মিত হলো নাটক ‘আলাল দুলালের মা’। রুহুল আমিন পথিক’র রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন সোহাগ কাজী। ঢাকা বাহিরে বিভিন্ন লোকেশনে নাটকটি শুটিং হয়েছে। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মানসী প্রকৃতি, ডন, সুচনা শিকদার, হাসিমুন, আমিন আজাদ প্রমুখ।

রওনক হাসান বলেন, ‘গল্পের মানটা বেশ ভালো ও একসাথে কাজ করে ভালো লাগছে, নাটকের গল্পে আলাল দুলাল দুই ভাই। তাদের বাবা নেই। মায়ের খুব আদরের সন্তান ছিল তারা। বিয়ের পর ঘরে বউ আসলে তারা মাকে আর ভাত কাপড় দেয় না। মা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করে। তারা দু ভাই-ই প্রতিযোগিতামূলক বউকে ভালোবাসে। তাদের শাশুড়িরা আসলে বড় মাছ, মাংস, দুধ, কলা এনে নিজের হাতে শাশুড়ির মুখে তুলে খাওয়ায়। পক্ষান্তরে মায়ের কপালে জোটে না কাঁচা মরিচ পান্তা ভাত। আলাল দুলালের মা মনের এসব দুঃখের কথা গ্রামের মেম্বারের কাছে এসে প্রকাশ করে। এবং দুমুঠো ভাতের জন্য তার স্বামীর দেওয়া শেষ সম্ভল বালা দুটো বন্ধক রাখে। যদিও মেম্বার তাকে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে। কিন্তু তার সাহায্য-সহযোগিতায় আর কতদিন চলবে। মেম্বার এবার আলাল দুলালের বাড়িতে এসে আলাল দুলালকে কঠিনভাবে শ্বাসায়। দেখা যায় এতেও তাড়া শুধরায় না। এভাবেই নাটকের গল্পটি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’

নাটকটি প্রসঙ্গে মানসী প্রকৃতি বলেন, ‘আলাল দুলালের মা’ নাটকটির মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে একটি সামাজিক বার্তা। যে মা অনেক কষ্ট করে নিজে না খেয়ে সন্তানকে লালন-পালন করে বড় করে কিন্তু সেই সন্তানরাই মাকে এক বেলা খেতে দেয় না।

এমনই একটি গল্প নিয়ে নাটকটি। এ নাটকে দর্শক বার্তা পাবে।’ নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, নাটকটি খুব শীঘ্রই নাগরিক টিভিতে প্রচার হবে।

বৃহস্পতিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৩ মহররম ১৪৪২, ১৭ ভাদ্র ১৪২৭

নাটক ‘আলাল দুলালের মা’

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

নির্মিত হলো নাটক ‘আলাল দুলালের মা’। রুহুল আমিন পথিক’র রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন সোহাগ কাজী। ঢাকা বাহিরে বিভিন্ন লোকেশনে নাটকটি শুটিং হয়েছে। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মানসী প্রকৃতি, ডন, সুচনা শিকদার, হাসিমুন, আমিন আজাদ প্রমুখ।

রওনক হাসান বলেন, ‘গল্পের মানটা বেশ ভালো ও একসাথে কাজ করে ভালো লাগছে, নাটকের গল্পে আলাল দুলাল দুই ভাই। তাদের বাবা নেই। মায়ের খুব আদরের সন্তান ছিল তারা। বিয়ের পর ঘরে বউ আসলে তারা মাকে আর ভাত কাপড় দেয় না। মা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করে। তারা দু ভাই-ই প্রতিযোগিতামূলক বউকে ভালোবাসে। তাদের শাশুড়িরা আসলে বড় মাছ, মাংস, দুধ, কলা এনে নিজের হাতে শাশুড়ির মুখে তুলে খাওয়ায়। পক্ষান্তরে মায়ের কপালে জোটে না কাঁচা মরিচ পান্তা ভাত। আলাল দুলালের মা মনের এসব দুঃখের কথা গ্রামের মেম্বারের কাছে এসে প্রকাশ করে। এবং দুমুঠো ভাতের জন্য তার স্বামীর দেওয়া শেষ সম্ভল বালা দুটো বন্ধক রাখে। যদিও মেম্বার তাকে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে। কিন্তু তার সাহায্য-সহযোগিতায় আর কতদিন চলবে। মেম্বার এবার আলাল দুলালের বাড়িতে এসে আলাল দুলালকে কঠিনভাবে শ্বাসায়। দেখা যায় এতেও তাড়া শুধরায় না। এভাবেই নাটকের গল্পটি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’

নাটকটি প্রসঙ্গে মানসী প্রকৃতি বলেন, ‘আলাল দুলালের মা’ নাটকটির মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে একটি সামাজিক বার্তা। যে মা অনেক কষ্ট করে নিজে না খেয়ে সন্তানকে লালন-পালন করে বড় করে কিন্তু সেই সন্তানরাই মাকে এক বেলা খেতে দেয় না।

এমনই একটি গল্প নিয়ে নাটকটি। এ নাটকে দর্শক বার্তা পাবে।’ নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, নাটকটি খুব শীঘ্রই নাগরিক টিভিতে প্রচার হবে।