সেনাবাহিনীতে জনপ্রিয়তা কমছে ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সেনা সমর্থন অর্জনেও পিছিয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মাত্র ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ সক্রিয় সেনা সদস্য ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনকে সমর্থন জানিয়েছেন, অপরদিকে ৪৩ দশমিক ১ শতাংশ তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট দলের জো বাইডেনের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। মিলিটারি টাইমস ও সিরাকিজ ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট পরিচালিত নতুন জরিপের তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যম। মিলিটারি টাইমস, সিএনএন।

সম্প্রতি রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দলের কনভেনশন অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে এ জরিপ কার্য চালানো হয়। এতে অংশ নেন ১ হাজার ১৮ সেনা সদস্য। তরুণদের বদলে অভিজ্ঞ ও উচ্চপর্যায়ের সেনারা এ জরিপে অংশ নিয়েছেন। ফলে, এ জরিপে পুরো সামরিক বাহিনীর ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে বলে মিলিটারি টাইমসে উল্লেখ করা হয়েছে। ট্রাম্প সেনাবাহিনীতে তার দৃঢ় সমর্থন নিয়ে গর্ব করেছিলেন। তিনি পেন্টাগনের বাজেট বাড়িয়ে দেয়ার কথাও বলেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের নয় সপ্তার মতো বাকি এবং প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশব্যাপী জনমত জরিপে কয়েক মাস ধরেই এগিয়ে রয়েছে তবে জরিপে এ পার্থক্য কমে এসছে, বিশেষ করে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক রাজ্যগুলোতে এ পার্থক্য আরও কম।বাইডেন ৩৬ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটর এবং ৮ বছর ধরে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২০’র জনমত জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। তবে সম্প্রতি ‘এর ওয়েবসাইটের এক জরিপের হিসেবে দেখা যাচ্ছে সেই অগ্রগামিতা এখন গড়ে ৬.২ শতাংশে নেমে এসেছে।

প্রশাসনে পদ্ধতিগত বর্ণবাদের অভিযোগ অস্বীকার ট্রাম্পের : পদ্ধতিগত বর্ণবাদের অভিযোগ অস্বীকার করে ট্রাম্প বলেছেন প্রশাসনে ও যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রয়োগকারী বাহিনীর মধ্যে পদ্ধতিগত বর্ণবাদের কোনও চিহ্ন নেই। এমন দাবি করে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার বিক্ষোভে উত্তপ্ত কেনোশা সফরে গিয়ে সেখানকার সাম্প্রতিক সহিংসতাকে ‘অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস’ বলেও মন্তব্য করেছেন।

স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ট্রাম্প আবারও সহিংসতা উসকে দেয়ার জন্য ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেন এবং শহরটিতে মার্কিন ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের কৃতিত্ব দাবি করেন। যদিও সহিংসতা রোধে উইসকনসিনের গভর্নর কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগেই স্থানীয় নিরাপত্তা সদস্যদের মাঠে নামান এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্যগুলোর সহযোগিতা চান। এ সময় ট্রাম্প আরও বলেন, এগুলো শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ নয়, অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস। বেপরোয়া বাম রাজনীতিবিদরা আমাদের জাতি ও আইন প্রয়োগকারীদের নিপীড়ক বা বর্ণবাদী হিসেবে প্রচারের ধ্বংসাত্মক বার্তা ছড়িয়ে চলেছে। গত মে মাসে মিনেসোটায় পুলিশি নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়লে এতে সমর্থন জানান সারা বিশ্বের মানুষ।

বৃহস্পতিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৩ মহররম ১৪৪২, ১৭ ভাদ্র ১৪২৭

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন জরিপ

সেনাবাহিনীতে জনপ্রিয়তা কমছে ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সেনা সমর্থন অর্জনেও পিছিয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মাত্র ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ সক্রিয় সেনা সদস্য ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনকে সমর্থন জানিয়েছেন, অপরদিকে ৪৩ দশমিক ১ শতাংশ তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট দলের জো বাইডেনের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। মিলিটারি টাইমস ও সিরাকিজ ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট পরিচালিত নতুন জরিপের তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যম। মিলিটারি টাইমস, সিএনএন।

সম্প্রতি রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দলের কনভেনশন অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে এ জরিপ কার্য চালানো হয়। এতে অংশ নেন ১ হাজার ১৮ সেনা সদস্য। তরুণদের বদলে অভিজ্ঞ ও উচ্চপর্যায়ের সেনারা এ জরিপে অংশ নিয়েছেন। ফলে, এ জরিপে পুরো সামরিক বাহিনীর ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে বলে মিলিটারি টাইমসে উল্লেখ করা হয়েছে। ট্রাম্প সেনাবাহিনীতে তার দৃঢ় সমর্থন নিয়ে গর্ব করেছিলেন। তিনি পেন্টাগনের বাজেট বাড়িয়ে দেয়ার কথাও বলেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের নয় সপ্তার মতো বাকি এবং প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশব্যাপী জনমত জরিপে কয়েক মাস ধরেই এগিয়ে রয়েছে তবে জরিপে এ পার্থক্য কমে এসছে, বিশেষ করে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক রাজ্যগুলোতে এ পার্থক্য আরও কম।বাইডেন ৩৬ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটর এবং ৮ বছর ধরে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২০’র জনমত জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। তবে সম্প্রতি ‘এর ওয়েবসাইটের এক জরিপের হিসেবে দেখা যাচ্ছে সেই অগ্রগামিতা এখন গড়ে ৬.২ শতাংশে নেমে এসেছে।

প্রশাসনে পদ্ধতিগত বর্ণবাদের অভিযোগ অস্বীকার ট্রাম্পের : পদ্ধতিগত বর্ণবাদের অভিযোগ অস্বীকার করে ট্রাম্প বলেছেন প্রশাসনে ও যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রয়োগকারী বাহিনীর মধ্যে পদ্ধতিগত বর্ণবাদের কোনও চিহ্ন নেই। এমন দাবি করে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার বিক্ষোভে উত্তপ্ত কেনোশা সফরে গিয়ে সেখানকার সাম্প্রতিক সহিংসতাকে ‘অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস’ বলেও মন্তব্য করেছেন।

স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ট্রাম্প আবারও সহিংসতা উসকে দেয়ার জন্য ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেন এবং শহরটিতে মার্কিন ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের কৃতিত্ব দাবি করেন। যদিও সহিংসতা রোধে উইসকনসিনের গভর্নর কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগেই স্থানীয় নিরাপত্তা সদস্যদের মাঠে নামান এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্যগুলোর সহযোগিতা চান। এ সময় ট্রাম্প আরও বলেন, এগুলো শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ নয়, অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস। বেপরোয়া বাম রাজনীতিবিদরা আমাদের জাতি ও আইন প্রয়োগকারীদের নিপীড়ক বা বর্ণবাদী হিসেবে প্রচারের ধ্বংসাত্মক বার্তা ছড়িয়ে চলেছে। গত মে মাসে মিনেসোটায় পুলিশি নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়লে এতে সমর্থন জানান সারা বিশ্বের মানুষ।