শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে উন্নত ও টেকসই সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে গ্রামীণ, ইউনিয়ন, উপজেলা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার সড়ক নির্মাণের জন্য ডিজাইন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই গ্রামীণ রাস্তা ১০ ফুট, ইউনিয়ন পর্যায়ে ১২ ফিট, উপজেলা পর্যায়ে ১৮ থেকে ২০ ফিট এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার জন্য ১৮ থেকে ৩৬ ফিট করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
গতকাল সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক সমন্বয় সভায় এই প্রস্তাব দেয়া হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন, এলজিইডি এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রতিনিধির সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) শামীমা নার্গিস, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশে এক সময় রাস্তা-ব্রিজ লো কস্টে নির্মাণ করা হতো। যার ফলে এ সব রাস্তা-ব্রিজ টেকসই হতো না। তাই স্থানীয় পর্যায়ে সহ সব সড়ক টেকসইভাবে নির্মাণের জন্য সঠিক প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এ সময়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) দিয়ে গ্রামীণ সড়কের ডিজাইন সংশ্লিষ্ট সমীক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে গ্রামীণ রাস্তা ১০ ফিট, ইউনিয়ন পর্যায়ে ১২ ফিট, উপজেলা পর্যায়ে ১৮ থেকে ২০ ফিট এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার জন্য ১৮ থেকে ৩৬ ফিট করার প্রস্তাব করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশের সব রাস্তা-ব্রিজ নির্মাণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দেশের উন্নয়নে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ক্রমবর্ধমান গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখতে দেশের প্রতিটি গ্রাম পর্যন্ত উন্নত সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের বিকল্প নেই। নিম্নমানের কাজ করলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেমন শাস্তি দেয়া হবে। তেমনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দিগুণ জরিমানার আওতায় আনা হবে। অনেক কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভালো কাজ করছে। কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের জন্য পুরো প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের চলমান প্রকল্পসমূহ বর্তমান সরকারের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ যে বিশেষ অঙ্গীকার, দেশের প্রতিটি গ্রাম পর্যন্ত উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা সে অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৩ মহররম ১৪৪২, ১৭ ভাদ্র ১৪২৭
শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে উন্নত ও টেকসই সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে গ্রামীণ, ইউনিয়ন, উপজেলা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার সড়ক নির্মাণের জন্য ডিজাইন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই গ্রামীণ রাস্তা ১০ ফুট, ইউনিয়ন পর্যায়ে ১২ ফিট, উপজেলা পর্যায়ে ১৮ থেকে ২০ ফিট এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার জন্য ১৮ থেকে ৩৬ ফিট করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
গতকাল সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক সমন্বয় সভায় এই প্রস্তাব দেয়া হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন, এলজিইডি এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রতিনিধির সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) শামীমা নার্গিস, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশে এক সময় রাস্তা-ব্রিজ লো কস্টে নির্মাণ করা হতো। যার ফলে এ সব রাস্তা-ব্রিজ টেকসই হতো না। তাই স্থানীয় পর্যায়ে সহ সব সড়ক টেকসইভাবে নির্মাণের জন্য সঠিক প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এ সময়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) দিয়ে গ্রামীণ সড়কের ডিজাইন সংশ্লিষ্ট সমীক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে গ্রামীণ রাস্তা ১০ ফিট, ইউনিয়ন পর্যায়ে ১২ ফিট, উপজেলা পর্যায়ে ১৮ থেকে ২০ ফিট এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার জন্য ১৮ থেকে ৩৬ ফিট করার প্রস্তাব করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশের সব রাস্তা-ব্রিজ নির্মাণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দেশের উন্নয়নে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ক্রমবর্ধমান গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখতে দেশের প্রতিটি গ্রাম পর্যন্ত উন্নত সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের বিকল্প নেই। নিম্নমানের কাজ করলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেমন শাস্তি দেয়া হবে। তেমনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দিগুণ জরিমানার আওতায় আনা হবে। অনেক কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভালো কাজ করছে। কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের জন্য পুরো প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের চলমান প্রকল্পসমূহ বর্তমান সরকারের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ যে বিশেষ অঙ্গীকার, দেশের প্রতিটি গ্রাম পর্যন্ত উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা সে অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।