সৈয়দপুর বিমানবন্দর সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ আর দখলবাজ দালালদের দখলে। ঢাকা থেকে বিমানে আসলে যাত্রীদের বেসরকারি এয়ারলাইন্স এর বাস যাত্রীদের ব্যবহার করতে দেয়া হয় না। বাধ্য হয়ে সন্ত্রাসীদের দ্বারা পরিচালিত মাইক্রেবাসে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে আসতে হয়। এতে করে এয়ারলাইন্স এর বাসগুলো যাত্রী ছাড়াই ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে এ অবৈধ কর্মকাণ্ড চললে স্থানীয় প্রশাসন সৈয়দপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলে যাত্রীদের অভিযোগ। এভাবেই প্রতিদিন ১০ ফ্লাইটের প্রায় এক হাজার যাত্রী জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
এদিকে সন্ত্রাসীরা পুরো সৈয়দপুর বিমানবন্দর তাদের দখলে নিয়ে প্রকাশ্যই দম্ভোক্তি করে ঢাকা থেকে বিমানে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নামার পর তাদের মাইক্রেবাসে করেই নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে হবে। বেসরকারি এয়ারলাইন্স এর বাসগুলো শুধু যাত্রী বিমানবন্দরে আনতে পারবে কিন্তু কোন যাত্রী নিতে পারবে না। তারা বলে বিমানবন্দরে মাইক্রেবাস সমিতির কথায় চলবে এখানে পুলিশ প্রশাসন কারও কর্তৃত্ব চলবে না। এভাবেই যাত্রীদের জিম্মি করে চলছে সন্ত্রাসীদের রমরমা ব্যবসা। বিমানবন্দর কতৃপক্ষ যাত্রী ও বেসরকারি এয়ারলাইসেন্স সূত্রে জানা গেছে, রংপুর দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও এ তিন জেলার যাত্রীরা দুটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলা ও নভোএয়ারে করে সৈয়দপুর বিমানবন্দর দিয়ে ঢাকায় যাবার সময় দুটি বেসরকারি বিমান সংস্থা তাদের নিজস্ব মাইক্রেবাস ও বাস দিয়ে যাত্রীদের রংপুর দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁ থেকে যাত্রীদের পরিবহন করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নিয়ে আসে। এজন্য রংপুরের যাত্রীদের জনপ্রতি আড়াইশ টাকা দিনাজপুরের তিশ’ ও ঠাকুরগায়ের যাত্রীদের সাড়ে ৩০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। বাস ও মাইক্রোবাসগুলো এসি শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দে বিমানবন্দরে যেতে পারে। এভাবেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর দিয়ে ৫টি ইউএস বাংলা ৪টি নভোএয়ার ও ১টি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ঢাকায় যায়। একইভাবে ১০টি ফ্লাইট থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসে।
তবে ঢাকা থেকে বেসরকারি এয়্রলাইন্স এর যে ৯টি ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসে সেই সব যাত্রীদের কাউকেই আর ওই এয়ারলাইসেন্স এর বাস ব্যবহার করতে যাত্রীদের দেয় না সন্ত্রাসী শ্রমিক নামধারীরা। তারা বিমানবন্দর এলাকাটি তাদের দখলে নিয়ে সব যাত্রীদের তাদের লক্কর ঝক্কর মার্কা মাইক্রো বাসে উঠতে বাধ্য করা হয়। যাত্রীরা অনেকেই প্রতিব্দা করেও সন্ত্রাসীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ সময় দুই বেসরকারি এয়ারলাইন্স এর বাসগুলোকে বিমানবন্দরের টার্মিনালের পেছনে অসহায়ের মতো বাস নিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। পরে যাত্রীদের নিয়ে সন্ত্রাসীদের দ্বারা চালিত মাইক্রেবাসে নিজ নিজ জেলায় চলে যাবার পর বেসরকারি এয়ারলাইন্স এর বাসগুলো যাত্রী ছাড়াই নিজ নিজ জেলায় ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
এদিকে সন্ত্রাসীরা বুধবার থেকে আবারও ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে সৈয়দপুর থেকে রংপুর সাড়ে ৩০০ টাকা ঠাকুরগাঁও ৫শ’ টাকা এবং দিনাজপুর সাড়ে ৪শ’ টাকা। তারা নিজেরাও এই টাকা ভাড়া নিচ্ছে আর বেসরকারি এয়ারলাইন্স এর বাস গুলোকেও তাদের নির্ধারিত ভাড়া নিতে বাধ্য করেছে।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কয়েকজন বেসরাকারি এয়ারলাইন্স এর ড্রাইভার হেলপার জানায় আমরা বিমানে চাকরি করি আমরা যাত্রী নিয়ে সৈয়পুর বিমানবন্দরে যেতে পারব কিন্তু ঢাকা থেকে আসা বিমানের যাত্রীদের আমরা বহন করতে পারব না। প্রতিবাদ করলেই চলে অমানুষিক নির্যাতন। তারা আরও জানায় বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় সৈয়পুর বিমানবন্দর এখন সন্ত্রাসীদের দখলে।
এ ব্যাপারে শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসীরা বলে তাদের নেতা মানিকের কথা মতো সৈয়দপুর বিমানবন্দর চলবে আমরা আর কারও কথা শুনি না। তারা বলে আমাদের সাফ কথা বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রী নিয়ে বিমানবন্দরে আসতে পারবে কিন্তু ঢাকা থেকে যে ১০টি ফ্লাইটে যাত্রী আসে তাদের তারা বহন করতে পারবে না আমরাই বহন করব।
এ ব্যাপারে ইউএস বাংলার সৈয়দপুর বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, আমরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অনেকবার বলেছি কাজ হয় না একই কথা জানান, নভোএয়ারের কর্মকর্তা তারা নিজেদের নাম পর্যন্ত বলতে রাজি হননি। তারা জানান আমরা নাম বলে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হবো বিচার কে করবে?
সার্বিক বিষয়ে জানতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের স্টেশন অফিসারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বৃহস্পতিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৩ মহররম ১৪৪২, ১৭ ভাদ্র ১৪২৭
লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর
সৈয়দপুর বিমানবন্দর সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ আর দখলবাজ দালালদের দখলে। ঢাকা থেকে বিমানে আসলে যাত্রীদের বেসরকারি এয়ারলাইন্স এর বাস যাত্রীদের ব্যবহার করতে দেয়া হয় না। বাধ্য হয়ে সন্ত্রাসীদের দ্বারা পরিচালিত মাইক্রেবাসে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে আসতে হয়। এতে করে এয়ারলাইন্স এর বাসগুলো যাত্রী ছাড়াই ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে এ অবৈধ কর্মকাণ্ড চললে স্থানীয় প্রশাসন সৈয়দপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলে যাত্রীদের অভিযোগ। এভাবেই প্রতিদিন ১০ ফ্লাইটের প্রায় এক হাজার যাত্রী জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
এদিকে সন্ত্রাসীরা পুরো সৈয়দপুর বিমানবন্দর তাদের দখলে নিয়ে প্রকাশ্যই দম্ভোক্তি করে ঢাকা থেকে বিমানে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নামার পর তাদের মাইক্রেবাসে করেই নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে হবে। বেসরকারি এয়ারলাইন্স এর বাসগুলো শুধু যাত্রী বিমানবন্দরে আনতে পারবে কিন্তু কোন যাত্রী নিতে পারবে না। তারা বলে বিমানবন্দরে মাইক্রেবাস সমিতির কথায় চলবে এখানে পুলিশ প্রশাসন কারও কর্তৃত্ব চলবে না। এভাবেই যাত্রীদের জিম্মি করে চলছে সন্ত্রাসীদের রমরমা ব্যবসা। বিমানবন্দর কতৃপক্ষ যাত্রী ও বেসরকারি এয়ারলাইসেন্স সূত্রে জানা গেছে, রংপুর দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও এ তিন জেলার যাত্রীরা দুটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলা ও নভোএয়ারে করে সৈয়দপুর বিমানবন্দর দিয়ে ঢাকায় যাবার সময় দুটি বেসরকারি বিমান সংস্থা তাদের নিজস্ব মাইক্রেবাস ও বাস দিয়ে যাত্রীদের রংপুর দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁ থেকে যাত্রীদের পরিবহন করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নিয়ে আসে। এজন্য রংপুরের যাত্রীদের জনপ্রতি আড়াইশ টাকা দিনাজপুরের তিশ’ ও ঠাকুরগায়ের যাত্রীদের সাড়ে ৩০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। বাস ও মাইক্রোবাসগুলো এসি শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দে বিমানবন্দরে যেতে পারে। এভাবেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর দিয়ে ৫টি ইউএস বাংলা ৪টি নভোএয়ার ও ১টি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ঢাকায় যায়। একইভাবে ১০টি ফ্লাইট থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসে।
তবে ঢাকা থেকে বেসরকারি এয়্রলাইন্স এর যে ৯টি ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসে সেই সব যাত্রীদের কাউকেই আর ওই এয়ারলাইসেন্স এর বাস ব্যবহার করতে যাত্রীদের দেয় না সন্ত্রাসী শ্রমিক নামধারীরা। তারা বিমানবন্দর এলাকাটি তাদের দখলে নিয়ে সব যাত্রীদের তাদের লক্কর ঝক্কর মার্কা মাইক্রো বাসে উঠতে বাধ্য করা হয়। যাত্রীরা অনেকেই প্রতিব্দা করেও সন্ত্রাসীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ সময় দুই বেসরকারি এয়ারলাইন্স এর বাসগুলোকে বিমানবন্দরের টার্মিনালের পেছনে অসহায়ের মতো বাস নিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। পরে যাত্রীদের নিয়ে সন্ত্রাসীদের দ্বারা চালিত মাইক্রেবাসে নিজ নিজ জেলায় চলে যাবার পর বেসরকারি এয়ারলাইন্স এর বাসগুলো যাত্রী ছাড়াই নিজ নিজ জেলায় ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
এদিকে সন্ত্রাসীরা বুধবার থেকে আবারও ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে সৈয়দপুর থেকে রংপুর সাড়ে ৩০০ টাকা ঠাকুরগাঁও ৫শ’ টাকা এবং দিনাজপুর সাড়ে ৪শ’ টাকা। তারা নিজেরাও এই টাকা ভাড়া নিচ্ছে আর বেসরকারি এয়ারলাইন্স এর বাস গুলোকেও তাদের নির্ধারিত ভাড়া নিতে বাধ্য করেছে।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কয়েকজন বেসরাকারি এয়ারলাইন্স এর ড্রাইভার হেলপার জানায় আমরা বিমানে চাকরি করি আমরা যাত্রী নিয়ে সৈয়পুর বিমানবন্দরে যেতে পারব কিন্তু ঢাকা থেকে আসা বিমানের যাত্রীদের আমরা বহন করতে পারব না। প্রতিবাদ করলেই চলে অমানুষিক নির্যাতন। তারা আরও জানায় বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় সৈয়পুর বিমানবন্দর এখন সন্ত্রাসীদের দখলে।
এ ব্যাপারে শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসীরা বলে তাদের নেতা মানিকের কথা মতো সৈয়দপুর বিমানবন্দর চলবে আমরা আর কারও কথা শুনি না। তারা বলে আমাদের সাফ কথা বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রী নিয়ে বিমানবন্দরে আসতে পারবে কিন্তু ঢাকা থেকে যে ১০টি ফ্লাইটে যাত্রী আসে তাদের তারা বহন করতে পারবে না আমরাই বহন করব।
এ ব্যাপারে ইউএস বাংলার সৈয়দপুর বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, আমরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অনেকবার বলেছি কাজ হয় না একই কথা জানান, নভোএয়ারের কর্মকর্তা তারা নিজেদের নাম পর্যন্ত বলতে রাজি হননি। তারা জানান আমরা নাম বলে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হবো বিচার কে করবে?
সার্বিক বিষয়ে জানতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের স্টেশন অফিসারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।