ভোলায় দুই দফা জলোচ্ছ্বাসে পর্যটন কেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতি

কুইন আইল্যান্ড হিসেবে খ্যাত দ্বীপ জেলা ভোলায় দুই দফা জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেঘনা পাড়ের শাহবাজপুর পর্যটন কেন্দ্রসহ সম্ভাবনাময় কয়েকটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্পট। জেলা সদরের তুলাতুলি মেঘনা নদীর পাড় ঘেসে ৫ বছর আগে গড়ে ওঠে শাহবাজপুর পর্যটন কেন্দ্র। স্থানীয় কয়েকজন উদ্যোক্তা এটি গড়ে তোলে। বুধবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জলোচ্ছ্বাসের কারনে ধসে গেছে এর অনেকাংশ। বিধস্ত হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, টংঘর, অবকাশ স্থান, শিশু রাইডার্সসহ নানা অবকাঠামো। উদ্যোক্তা দুলাল মিয়া জানান, অনেকটা খেয়ালেরবশে এখানে বিনিয়োগ করেন। নদীর পাড়ে এসে মানুষ যেন শাহবাজপুর চ্যানেলের নানা দৃশ্য অবলোকন করতে পারে। এমন চিন্তা ধারা থেকেই রাত দিন পরিশ্রম করে এটি গড়ে তোলেন। একই কথা জানিয়ে অপর উদ্যোক্তা আবিদুল আলম জানান, গত দুই বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষও আসতে থাকে। আবার স্থানীয়রা এ স্থানটি বেছে নেয়। এমনকি শীত মৌসুমে এটি ওয়ে হয়ে পিকনিক স্পট। গত ২০ আগস্ট এর জলোচ্ছ্বাসে সব ভেঙ্গে যায়। ওই দিন শহর রক্ষাবাঁধের ওপর দিয়ে মেঘনার উত্তাল ঢেউ আচড়ে পড়ে। ৬৫ বছরের ইতিহাসে এত উচ্চতার পানির আঘাত আর দেখা যায়নি বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসান মাহমুদ। এর আগে ৫ আগস্ট ১১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। দুই দফা জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় শাহবাজপুর পর্যটন কেন্দ্রসহ বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেঁতুলিয়া পাড়ের রিভার ভিউ, চরফ্যাশন উপজেলার কুকরীমুকরী । কুকরিমুকরী’র ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম জানান, তারা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কুকুরীকে পর্যটকদের উপযোগী করে সাজিয়ে তুলছেন। কিন্তু এবারের জলোচ্ছ্বাসে কুকরি প্লাবিত হয়। নষ্ট হয় অনেক অবকাঠামো। ফলে কুকরির চারপাশে এখন টেকসই বাঁধের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এদিকে উদ্যোক্তা দুলাল ও আবিদুল আলমের মতো স্থানীয়রা জানান, জলোচ্ছ্বাস ঠেকাতে পুরাতন বাধগুলোর উচ্চতা বাড়ানো জরুরী হয়ে পড়েছে।

শুক্রবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৪ মহররম ১৪৪২, ১৮ ভাদ্র ১৪২৭

ভোলায় দুই দফা জলোচ্ছ্বাসে পর্যটন কেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতি

প্রতিনিধি, ভোলা

image

কুইন আইল্যান্ড হিসেবে খ্যাত দ্বীপ জেলা ভোলায় দুই দফা জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেঘনা পাড়ের শাহবাজপুর পর্যটন কেন্দ্রসহ সম্ভাবনাময় কয়েকটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্পট। জেলা সদরের তুলাতুলি মেঘনা নদীর পাড় ঘেসে ৫ বছর আগে গড়ে ওঠে শাহবাজপুর পর্যটন কেন্দ্র। স্থানীয় কয়েকজন উদ্যোক্তা এটি গড়ে তোলে। বুধবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জলোচ্ছ্বাসের কারনে ধসে গেছে এর অনেকাংশ। বিধস্ত হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, টংঘর, অবকাশ স্থান, শিশু রাইডার্সসহ নানা অবকাঠামো। উদ্যোক্তা দুলাল মিয়া জানান, অনেকটা খেয়ালেরবশে এখানে বিনিয়োগ করেন। নদীর পাড়ে এসে মানুষ যেন শাহবাজপুর চ্যানেলের নানা দৃশ্য অবলোকন করতে পারে। এমন চিন্তা ধারা থেকেই রাত দিন পরিশ্রম করে এটি গড়ে তোলেন। একই কথা জানিয়ে অপর উদ্যোক্তা আবিদুল আলম জানান, গত দুই বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষও আসতে থাকে। আবার স্থানীয়রা এ স্থানটি বেছে নেয়। এমনকি শীত মৌসুমে এটি ওয়ে হয়ে পিকনিক স্পট। গত ২০ আগস্ট এর জলোচ্ছ্বাসে সব ভেঙ্গে যায়। ওই দিন শহর রক্ষাবাঁধের ওপর দিয়ে মেঘনার উত্তাল ঢেউ আচড়ে পড়ে। ৬৫ বছরের ইতিহাসে এত উচ্চতার পানির আঘাত আর দেখা যায়নি বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসান মাহমুদ। এর আগে ৫ আগস্ট ১১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। দুই দফা জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় শাহবাজপুর পর্যটন কেন্দ্রসহ বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেঁতুলিয়া পাড়ের রিভার ভিউ, চরফ্যাশন উপজেলার কুকরীমুকরী । কুকরিমুকরী’র ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম জানান, তারা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কুকুরীকে পর্যটকদের উপযোগী করে সাজিয়ে তুলছেন। কিন্তু এবারের জলোচ্ছ্বাসে কুকরি প্লাবিত হয়। নষ্ট হয় অনেক অবকাঠামো। ফলে কুকরির চারপাশে এখন টেকসই বাঁধের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এদিকে উদ্যোক্তা দুলাল ও আবিদুল আলমের মতো স্থানীয়রা জানান, জলোচ্ছ্বাস ঠেকাতে পুরাতন বাধগুলোর উচ্চতা বাড়ানো জরুরী হয়ে পড়েছে।