করোনা শনাক্ত ও হাসপাতাল কমলেও মৃত্যু কমেনি

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩২, নতুন শনাক্ত ২১৫৮

করোনা শনাক্তের সংখ্যা ও করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সংখ্যা কমলেও মৃত্যুর হার কমেনি। গত কয়েক মাস ধরে দৈনিক কমবেশি ৩০ জন মানুষ করোনা আক্রান্তে মারা যাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে মাসে ৯০০ জন এবং বছর শেষে কমবেশি ১১ হাজার মানুষ করোনায় মারা যাবে।

দেশে মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছেই। দীর্ঘ হচ্ছে এ ভাইরাসে মৃত্যুর মিছিলও। গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তে মারা গেছেন আরও ৩২ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ হাজার ৩৮৩ জনে। করোনায় আক্রান্ত হিসেবে গত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৫৮ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর দাঁড়াল ৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮৬ জনে। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৬৪ জন। মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৮০। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৯২টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১৪ হাজার ৬১৩টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৪ হাজার ৪২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯২ হাজার ৩৮টি।

চব্বিশ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন, নারী ৮ জন। ৩১ জন হাসপাতালে এবং ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ১২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।

১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন সিলেট বিভাগের, ৬ জন রংপুর বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪ হাজার ৩৮৩ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৪৩২ জনই পুরুষ এবং ৯৫১ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ১৭৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ২০১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫৮২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৬৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১০৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩৬ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এরমধ্যে ২ হাজার ১২০ জন ঢাকা বিভাগের, ৯৫০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২৯১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩৬৩ জন খুলনা বিভাগের, ১৬৯ জন বরিশাল বিভাগের, ১৯৭ জন সিলেট বিভাগের, ২০০ জন রংপুর বিভাগের এবং ৯৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, ২৬ আগস্ট তা তিন লাখ পেরিয়ে যায়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৫ আগস্ট সেই সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ২ কোটি ৬০ লাখ পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ লাখ ৬৩ হাজারে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম স্থানে। তার মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সারাদেশে ১২টি কোভিড হাসপাতাল নন-কোভিড করতে আগামী রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিবেন। হাসপাতালে ৫০ শতাংশ শয্যা খালি রয়েছে। করোনা আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের শয্যা ফাঁকা পড়ে থাকছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা আক্রান্তের শনাক্তের হার বিপদসীমার অনেক উপরে। এখন মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা কমে এসেছে। করোনার নমুনা সংগ্রহ পরীক্ষা কম হচ্ছে। মানুষ করোনা পরীক্ষা করাতে আসছে না। তাই শনাক্ত কমছে। করোনা নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে মানুষের মাঝে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। রোগী শনাক্ত করে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দিতে হবে। রোগীর স্বজনদের কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগে. জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন সংবাদকে বলেন, কোভিড হাসপাতাল নন-কোভিড ঘোষণা না দিয়ে বরঞ্চ হাসপাতালগুলের কোভিড চিকিৎসা স্থগিত করা দরকার। কোরবানি ঈদের পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীর ভর্তির চাপ বাড়ছে। এভাবে রোগীর চাপ বাড়তে থাকলে নন-কোভিড হাসপাতালের স্থগিত আদর্শে স্বাস্থ্যবিভাগ তুলে নিতে পারে। কোভিড হাসপাতাল নন-কোভিড ঘোষণা দিয়ে ফের কোভিড হাসপাতাল করতে গেলে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এখনই কোভিড ডেডিকেটেড শয্যা কমানো যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ রোগীর সংখ্যা কম বলা হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। এখনও প্রতি পাঁচজনে একজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। তবে নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ায় রোগী কমছে। কিন্তু সংক্রমণের হার কমেনি। বরং তা আগের মতোই আছে। এ অবস্থায় শয্যা কমিয়ে দিলে ঝুঁকি বাড়তে পারে।

শুক্রবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৪ মহররম ১৪৪২, ১৮ ভাদ্র ১৪২৭

করোনা শনাক্ত ও হাসপাতাল কমলেও মৃত্যু কমেনি

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩২, নতুন শনাক্ত ২১৫৮

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

করোনা শনাক্তের সংখ্যা ও করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সংখ্যা কমলেও মৃত্যুর হার কমেনি। গত কয়েক মাস ধরে দৈনিক কমবেশি ৩০ জন মানুষ করোনা আক্রান্তে মারা যাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে মাসে ৯০০ জন এবং বছর শেষে কমবেশি ১১ হাজার মানুষ করোনায় মারা যাবে।

দেশে মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছেই। দীর্ঘ হচ্ছে এ ভাইরাসে মৃত্যুর মিছিলও। গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তে মারা গেছেন আরও ৩২ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ হাজার ৩৮৩ জনে। করোনায় আক্রান্ত হিসেবে গত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৫৮ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর দাঁড়াল ৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮৬ জনে। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৬৪ জন। মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৮০। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৯২টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১৪ হাজার ৬১৩টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৪ হাজার ৪২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯২ হাজার ৩৮টি।

চব্বিশ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন, নারী ৮ জন। ৩১ জন হাসপাতালে এবং ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ১২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।

১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন সিলেট বিভাগের, ৬ জন রংপুর বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪ হাজার ৩৮৩ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৪৩২ জনই পুরুষ এবং ৯৫১ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ১৭৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ২০১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫৮২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৬৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১০৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩৬ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এরমধ্যে ২ হাজার ১২০ জন ঢাকা বিভাগের, ৯৫০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২৯১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩৬৩ জন খুলনা বিভাগের, ১৬৯ জন বরিশাল বিভাগের, ১৯৭ জন সিলেট বিভাগের, ২০০ জন রংপুর বিভাগের এবং ৯৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, ২৬ আগস্ট তা তিন লাখ পেরিয়ে যায়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৫ আগস্ট সেই সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ২ কোটি ৬০ লাখ পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ লাখ ৬৩ হাজারে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম স্থানে। তার মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সারাদেশে ১২টি কোভিড হাসপাতাল নন-কোভিড করতে আগামী রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিবেন। হাসপাতালে ৫০ শতাংশ শয্যা খালি রয়েছে। করোনা আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের শয্যা ফাঁকা পড়ে থাকছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা আক্রান্তের শনাক্তের হার বিপদসীমার অনেক উপরে। এখন মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা কমে এসেছে। করোনার নমুনা সংগ্রহ পরীক্ষা কম হচ্ছে। মানুষ করোনা পরীক্ষা করাতে আসছে না। তাই শনাক্ত কমছে। করোনা নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে মানুষের মাঝে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। রোগী শনাক্ত করে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দিতে হবে। রোগীর স্বজনদের কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগে. জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন সংবাদকে বলেন, কোভিড হাসপাতাল নন-কোভিড ঘোষণা না দিয়ে বরঞ্চ হাসপাতালগুলের কোভিড চিকিৎসা স্থগিত করা দরকার। কোরবানি ঈদের পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীর ভর্তির চাপ বাড়ছে। এভাবে রোগীর চাপ বাড়তে থাকলে নন-কোভিড হাসপাতালের স্থগিত আদর্শে স্বাস্থ্যবিভাগ তুলে নিতে পারে। কোভিড হাসপাতাল নন-কোভিড ঘোষণা দিয়ে ফের কোভিড হাসপাতাল করতে গেলে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এখনই কোভিড ডেডিকেটেড শয্যা কমানো যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ রোগীর সংখ্যা কম বলা হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। এখনও প্রতি পাঁচজনে একজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। তবে নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ায় রোগী কমছে। কিন্তু সংক্রমণের হার কমেনি। বরং তা আগের মতোই আছে। এ অবস্থায় শয্যা কমিয়ে দিলে ঝুঁকি বাড়তে পারে।