যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন

বাইডেন যাচ্ছেন কেনশা সফরে

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরিক্রমায় ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী, জো বাইডেন বৃহস্পতিবার কেনশা সফরে যাচ্ছেন। গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর তথ্য মাধ্যমে জানা যায় তিনি উইসকনসিন রাজ্যের সংঘাত পীড়িত শহর, কেনশা সফর করবেন একজন কৃষ্ণাঙ্গকে শেতাঙ্গ এক পুলিশ অফিসার গুলি করার পর, তার জেরে উত্তেজনা এবং ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করতে। ট্রাম্প এখানে সফরে আসার কয়েক দিন পরেই তিনি এ শহরটি সফর করতে যাচ্ছেন। বাইডেনের নির্বাচনী দল জানায় যে তিনি এরপর সেখানে একটি কমিউনিটি আলোচনায় যোগ দেবেন। সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন জানান, আমরা একত্রিত হয়ে এর একটা সমাধান দিতে চাই, সকল জনগণকে একত্রিত করতে চাই। সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমের বিবিধ তথ্যের বরাতে আরও জানানো হয় যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে আবারও ১ কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হয়েছে। পুলিশের বর্ণবাদী আচরণের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে আরও একজন কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ পুলিশি হত্যার শিকার হয়েছেন। তথ্যমতে, নিহত ব্যক্তির নাম ডিজন কিজ্জি। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ২৯ বছর বয়সী এ তরুণ। কয়েক মাসে মার্কিন পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড থেকে শুরু করে জ্যাকব ব্লেক পর্যন্ত বেশ কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রাণহানি বা গুরুতর হয়েছেন। সিবিএস-লস অ্যাঞ্জেলস, সিএনএন।

স্থানীয় শেরিফ লেফটেন্যান্ট ব্র্যান্ডন ডিন দাবি করেছেন, ‘ভেহিকল কোড’ লঙ্ঘন করার অভিযোগে ডিজনকে থামানোর চেষ্টা করেন লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফের ডেপুটিরা। সাইকেল ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। পুলিশ তাকে পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেললে, তিনি এক ডেপুটির মুখে ঘুষি চালিয়ে দেন। কাউন্টি শেরিফ লেফটেন্যান্ট ব্র্যান্ডন ডিন জানান, ডেপুটিরা লক্ষ্য করেন, পড়ে যাওয়া কাপড়ের ভেতর একটি কালো রঙের সেমি-অটোমেটিক হ্যান্ডগান রয়েছে। এর কারণেই তখন গুলির ঘটনা ঘটে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের হাওয়ার বেগ লক্ষ্য করলে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই অ্যামেরিকায় করোনা টিকা বিতরণ প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে কোভিড প্রতিষেধক বিতরণের পরিকল্পনায় তোপের মুখ পড়ে ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক চাপের অভিযোগে অভিযুক্ত। ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার ও নিজ দেশে সে টিকা বিতরণের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়ায় অ্যামেরিকা আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে কোভিড প্রতিষেধক বিতরণের প্রস্তুতি শুরু করছে। নির্বাচনের মাত্র ২ দিন পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ টিকা নিতে পারবে। রাজ্য সরকারগুলোকে লেখা এক চিঠিতে ২০২০ সালের ১ নভেম্বরের মধ্যে টিকা বিতরণ কেন্দ্রগুলো পুরোপুরি কার্যকর করে তোলার ডাক দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মহামারী সংকটে পরিণাম হিসেবে অর্থনৈতিক বিপর্যয় সামলাতে নিজস্ব ব্যর্থতা ঢাকতেই তড়িঘড়ি করে টিকা বিতরণের ঘোষণা করছে সরকার। এভাবে শেষ মুহূর্তে ভোটারদের মন জয় করে দ্বিতীয় কার্যকালের স্বপ্ন দেখছেন ট্রাম্প।

তার মধ্যে অন্যতম পোর্টল্যান্ড, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, সিয়াটল। হোয়াইট হাউস থেকে জারি করা বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছে, আমার প্রশাসন করদাতাদের পয়সা ওই সব শহরে দেবে না, যেগুলো আইনশৃঙ্খলাহীন অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম ব্রারকেও বলা হয়েছে, যেসব শহরে সহিংসতার অনুমতি দেয়া হয়েছে, কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উদ্যোগী হোন। পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন পুলিশের সমর্থনে সোচ্চার অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার বলেছেন, যেসব শহরে সহিংসতা হয়েছে, আমি সেখানকার পুলিশ প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা একমত যে বিক্ষোভকারীরা দাঙ্গা করেছে। ওরা দেশজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা জানি, তারা কারা। ওদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। আর দেশজুড়ে একটা ধারণা তৈরি করে দেয়া হচ্ছে যে, পুলিশ বর্ণবাদী। তা আদৌ সত্যি নয়। ফ্লয়েড বা ব্লেকহোল বিরল ঘটনা। অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট মুভমেন্ট বা অ্যান্টিফা এ বিক্ষোভের পেছনে আছে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদে নিউইয়র্কের গভর্নর টুইট বার্তায় বলেছেন, ট্রাম্প নিউইয়র্ককে শাস্তি দিতে চাইছেন।

শুক্রবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৪ মহররম ১৪৪২, ১৮ ভাদ্র ১৪২৭

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন

বাইডেন যাচ্ছেন কেনশা সফরে

image

কেনশা সফরের উদ্দেশে গাড়িবহর নিয়ে বাইডেনের যাত্রা - সিএনএন

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরিক্রমায় ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী, জো বাইডেন বৃহস্পতিবার কেনশা সফরে যাচ্ছেন। গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর তথ্য মাধ্যমে জানা যায় তিনি উইসকনসিন রাজ্যের সংঘাত পীড়িত শহর, কেনশা সফর করবেন একজন কৃষ্ণাঙ্গকে শেতাঙ্গ এক পুলিশ অফিসার গুলি করার পর, তার জেরে উত্তেজনা এবং ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করতে। ট্রাম্প এখানে সফরে আসার কয়েক দিন পরেই তিনি এ শহরটি সফর করতে যাচ্ছেন। বাইডেনের নির্বাচনী দল জানায় যে তিনি এরপর সেখানে একটি কমিউনিটি আলোচনায় যোগ দেবেন। সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন জানান, আমরা একত্রিত হয়ে এর একটা সমাধান দিতে চাই, সকল জনগণকে একত্রিত করতে চাই। সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমের বিবিধ তথ্যের বরাতে আরও জানানো হয় যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে আবারও ১ কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হয়েছে। পুলিশের বর্ণবাদী আচরণের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে আরও একজন কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ পুলিশি হত্যার শিকার হয়েছেন। তথ্যমতে, নিহত ব্যক্তির নাম ডিজন কিজ্জি। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ২৯ বছর বয়সী এ তরুণ। কয়েক মাসে মার্কিন পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড থেকে শুরু করে জ্যাকব ব্লেক পর্যন্ত বেশ কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রাণহানি বা গুরুতর হয়েছেন। সিবিএস-লস অ্যাঞ্জেলস, সিএনএন।

স্থানীয় শেরিফ লেফটেন্যান্ট ব্র্যান্ডন ডিন দাবি করেছেন, ‘ভেহিকল কোড’ লঙ্ঘন করার অভিযোগে ডিজনকে থামানোর চেষ্টা করেন লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফের ডেপুটিরা। সাইকেল ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। পুলিশ তাকে পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেললে, তিনি এক ডেপুটির মুখে ঘুষি চালিয়ে দেন। কাউন্টি শেরিফ লেফটেন্যান্ট ব্র্যান্ডন ডিন জানান, ডেপুটিরা লক্ষ্য করেন, পড়ে যাওয়া কাপড়ের ভেতর একটি কালো রঙের সেমি-অটোমেটিক হ্যান্ডগান রয়েছে। এর কারণেই তখন গুলির ঘটনা ঘটে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের হাওয়ার বেগ লক্ষ্য করলে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই অ্যামেরিকায় করোনা টিকা বিতরণ প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে কোভিড প্রতিষেধক বিতরণের পরিকল্পনায় তোপের মুখ পড়ে ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক চাপের অভিযোগে অভিযুক্ত। ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার ও নিজ দেশে সে টিকা বিতরণের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়ায় অ্যামেরিকা আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে কোভিড প্রতিষেধক বিতরণের প্রস্তুতি শুরু করছে। নির্বাচনের মাত্র ২ দিন পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ টিকা নিতে পারবে। রাজ্য সরকারগুলোকে লেখা এক চিঠিতে ২০২০ সালের ১ নভেম্বরের মধ্যে টিকা বিতরণ কেন্দ্রগুলো পুরোপুরি কার্যকর করে তোলার ডাক দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মহামারী সংকটে পরিণাম হিসেবে অর্থনৈতিক বিপর্যয় সামলাতে নিজস্ব ব্যর্থতা ঢাকতেই তড়িঘড়ি করে টিকা বিতরণের ঘোষণা করছে সরকার। এভাবে শেষ মুহূর্তে ভোটারদের মন জয় করে দ্বিতীয় কার্যকালের স্বপ্ন দেখছেন ট্রাম্প।

তার মধ্যে অন্যতম পোর্টল্যান্ড, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, সিয়াটল। হোয়াইট হাউস থেকে জারি করা বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছে, আমার প্রশাসন করদাতাদের পয়সা ওই সব শহরে দেবে না, যেগুলো আইনশৃঙ্খলাহীন অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম ব্রারকেও বলা হয়েছে, যেসব শহরে সহিংসতার অনুমতি দেয়া হয়েছে, কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উদ্যোগী হোন। পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন পুলিশের সমর্থনে সোচ্চার অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার বলেছেন, যেসব শহরে সহিংসতা হয়েছে, আমি সেখানকার পুলিশ প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা একমত যে বিক্ষোভকারীরা দাঙ্গা করেছে। ওরা দেশজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা জানি, তারা কারা। ওদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। আর দেশজুড়ে একটা ধারণা তৈরি করে দেয়া হচ্ছে যে, পুলিশ বর্ণবাদী। তা আদৌ সত্যি নয়। ফ্লয়েড বা ব্লেকহোল বিরল ঘটনা। অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট মুভমেন্ট বা অ্যান্টিফা এ বিক্ষোভের পেছনে আছে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদে নিউইয়র্কের গভর্নর টুইট বার্তায় বলেছেন, ট্রাম্প নিউইয়র্ককে শাস্তি দিতে চাইছেন।