বাংলাদেশে এশিয়ার সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ করতে চায় জাপান

ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি জানিয়েছেন, জাপান বাংলাদেশে অটোমোবাইল কারখানা স্থাপনের চিন্তাভাবনা করছে। বাংলাদেশের আড়াইহাজার স্পেশাল ইকোনমিক জোনে জাপান বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে। এ বিনিয়োগ হবে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়। গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি তার সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীকে এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের বড় অংশীদার। জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে আরও বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। এরপর পাঁচ বছর চলমান বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলোতে জাপান বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। এখানে বিনিয়োগে বাংলাদেশ আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। জাপানের তৈরি গাড়ির বড় বাজার বাংলাদেশ। জাপান বাংলাদেশে গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপন করলে তা লাভজনক হবে।

এ সময় ঢাকায় নিয্ক্তু জাপানের রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য মন্ত্রীকে জানান, জাপান বাংলাদেশে অটোমোবাইল কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছে। বাংলাদেশের আড়াইহাজার স্পেশাল ইকোনমিক জোনে জাপান বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে। এ বিনিয়োগ হবে এশিয়ার মধ্যে বৃহৎ। জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরও জাপান বাংলাদেশকে দেয়া বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার চিন্তা করছে। এ জন্য এফটিএ অথবা পিটিএ করা যেতে পারে। জাপানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয়দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যেতে পারে। জাপানে দক্ষ শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা আছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনের অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলি বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাপানে ১৩৬৫.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১২০০.৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একইভাবে বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাপান থেকে ১৮৫২.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে ১২৯৪.৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।

আরও খবর
নৌপ্রধান শাহীন ইকবালের এডমিরাল পদে পদোন্নতি
দুই নতুন বিচারপতির শপথগ্রহণ
সংসদ এলাকায় মিছিল-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা
ব্র্যান্ডের মোড়কে ভেজাল পণ্য
ফেরি চলাচল বন্ধ, কখন চলবে কর্মকর্তারা জানেন না
পুলিশের ওপর হামলা, আ’লীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৩
পুণ্য করতে গিয়ে বিসর্জন নয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপন করতে হবে চসিক প্রশাসক
আনিসুল হকসহ ৫ জনের জামিন
বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু ডিপো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ
ফখরুলের বিরুদ্ধে দুই মামলার কার্যক্রম স্থগিত
সিএনজি ও অটোরিকশা চলাচল চাঁদাবাজ লাঠিয়াল বাহিনীর হাতে জিম্মি
পাবনায় তিন মুক্তিযোদ্ধার নামে তিন সড়কের নামকরণ

শুক্রবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৪ মহররম ১৪৪২, ১৮ ভাদ্র ১৪২৭

বাংলাদেশে এশিয়ার সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ করতে চায় জাপান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি জানিয়েছেন, জাপান বাংলাদেশে অটোমোবাইল কারখানা স্থাপনের চিন্তাভাবনা করছে। বাংলাদেশের আড়াইহাজার স্পেশাল ইকোনমিক জোনে জাপান বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে। এ বিনিয়োগ হবে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়। গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি তার সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীকে এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের বড় অংশীদার। জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে আরও বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। এরপর পাঁচ বছর চলমান বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলোতে জাপান বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। এখানে বিনিয়োগে বাংলাদেশ আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। জাপানের তৈরি গাড়ির বড় বাজার বাংলাদেশ। জাপান বাংলাদেশে গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপন করলে তা লাভজনক হবে।

এ সময় ঢাকায় নিয্ক্তু জাপানের রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য মন্ত্রীকে জানান, জাপান বাংলাদেশে অটোমোবাইল কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছে। বাংলাদেশের আড়াইহাজার স্পেশাল ইকোনমিক জোনে জাপান বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে। এ বিনিয়োগ হবে এশিয়ার মধ্যে বৃহৎ। জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরও জাপান বাংলাদেশকে দেয়া বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার চিন্তা করছে। এ জন্য এফটিএ অথবা পিটিএ করা যেতে পারে। জাপানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয়দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যেতে পারে। জাপানে দক্ষ শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা আছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনের অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলি বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাপানে ১৩৬৫.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১২০০.৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একইভাবে বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাপান থেকে ১৮৫২.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে ১২৯৪.৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।