পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ভাঙ্গুড়া থানার ওসি (তদন্ত)সহ চার পুলিশ সদস্য হামলার শিকার হন। গতকাল সকালে এসআই ইব্রাহিম খলিল বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। গ্রেপ্তারকৃত জয়নাল আবেদীন উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামের মৃত হারুনার রশিদ সরকারের ছেলে। অপর দু’জন হলো পার্শ্ববর্তী ফরিদুপর উপজেলার বৃলাহিড়িবাড়ী গ্রামের ওয়াজেদ আলী ও সাইদুর রহমান। পুলিশ ও জানায়, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বুধবার সকাল বিকেলের দিকে ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান দক্ষিণপাড়ার আবদুল হান্নান ও তার ছেলে স¤্রাটের নেতৃত্বে দলবেধে মাইকে ঘোষণা দিয়ে লাঠি-সোটা এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হলে পুলিশ তা প্রতিহত করে। এ সময় জয়নাল আবেদীন ও অন্য ব্যক্তিরা পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করে। এমনকি তারা ওসি তদন্ত নাজমুল হকের শরীরে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এছাড়া এসআই ইব্রাহিম খলিল ও এসআই সাজেদুর রহমানের উপরও তারা হামলা করে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। তখন একটি পক্ষের লোকজন বিএলবাড়ি মার্কেটে কয়েকটি দোকান ঘর ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ওই ঘটনার সময় দুই গ্রামের লোকজনের সংঘর্ষ ঠেকাতে আমি পুলিশকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছি। তারপরও আমি বৃহস্পতিবার ভাঙ্গুড়া বাজারে এলে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে।’ বিষয়টি রহস্যজনক বলে তিনি দাবি করেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. নাজমুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের জন্য বৃহস্পতিবার জয়নাল আবেদীনসহ তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পাবনা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার সময় শত শত বিশৃঙ্খল লোকের মধ্যেও পুলিশ জানমালের কোন ক্ষতি হতে দেয়নি। কিন্তু আটক ব্যক্তিরা পুলিশের উপর চরাও হয়ে হামলা করে। এ ব্যাপারে এসআই ইব্রাহিম খলিল বাদী হয়ে গতকাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
শুক্রবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৪ মহররম ১৪৪২, ১৮ ভাদ্র ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পাবনা
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ভাঙ্গুড়া থানার ওসি (তদন্ত)সহ চার পুলিশ সদস্য হামলার শিকার হন। গতকাল সকালে এসআই ইব্রাহিম খলিল বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। গ্রেপ্তারকৃত জয়নাল আবেদীন উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামের মৃত হারুনার রশিদ সরকারের ছেলে। অপর দু’জন হলো পার্শ্ববর্তী ফরিদুপর উপজেলার বৃলাহিড়িবাড়ী গ্রামের ওয়াজেদ আলী ও সাইদুর রহমান। পুলিশ ও জানায়, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বুধবার সকাল বিকেলের দিকে ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান দক্ষিণপাড়ার আবদুল হান্নান ও তার ছেলে স¤্রাটের নেতৃত্বে দলবেধে মাইকে ঘোষণা দিয়ে লাঠি-সোটা এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হলে পুলিশ তা প্রতিহত করে। এ সময় জয়নাল আবেদীন ও অন্য ব্যক্তিরা পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করে। এমনকি তারা ওসি তদন্ত নাজমুল হকের শরীরে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এছাড়া এসআই ইব্রাহিম খলিল ও এসআই সাজেদুর রহমানের উপরও তারা হামলা করে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। তখন একটি পক্ষের লোকজন বিএলবাড়ি মার্কেটে কয়েকটি দোকান ঘর ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ওই ঘটনার সময় দুই গ্রামের লোকজনের সংঘর্ষ ঠেকাতে আমি পুলিশকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছি। তারপরও আমি বৃহস্পতিবার ভাঙ্গুড়া বাজারে এলে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে।’ বিষয়টি রহস্যজনক বলে তিনি দাবি করেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. নাজমুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের জন্য বৃহস্পতিবার জয়নাল আবেদীনসহ তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পাবনা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার সময় শত শত বিশৃঙ্খল লোকের মধ্যেও পুলিশ জানমালের কোন ক্ষতি হতে দেয়নি। কিন্তু আটক ব্যক্তিরা পুলিশের উপর চরাও হয়ে হামলা করে। এ ব্যাপারে এসআই ইব্রাহিম খলিল বাদী হয়ে গতকাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।