পটুয়াখালীর দমমিনা উপজেলায় স্কুল আছে, শিক্ষক আছে, নেই কোন শিক্ষার্থী এমনই এক স্কুলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চল ১৪৫ নং চরবাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর পূর্ব পাশে বিচ্ছিন্ন চরবাঁশবাড়িয়ায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের ১৫০০ বিদ্যালয়ের আওতায় দশমিনায় ২০১১ সালে চরবোরহান, চরশাহজালাল, চরহাদী ও চর বাঁশবাড়িয়ায় মোট ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১২ সালে চরবাঁশবাড়িয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ বীজ বর্ধন খামার প্রতিষ্ঠিত হয়। বীজ বর্ধন খামারের জন্য তৎকালীন সময়ে চরের সকল জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমি অধিগ্রহণের কারণে চর বাঁশবাড়ীয়া জনবসতি শূন্য হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীর অভাবে ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চর বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৮ সালে উপজেলার ঢনঢনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে একজন শিক্ষককে মৌখিক সংযুক্তি প্রদান করে ওই বিদ্যালয়টির কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হয়। নতুন নিয়োগের মাধ্যমে বিদ্যালয়টিতে আরও ৩ জন শিক্ষককে পদায়ন করা হয়। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা ৪ জন। স্কুল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে খাতা কলমে ওই বিদ্যালয়ে মোট ২০ জন শিক্ষার্থীর পাঠদানের কার্যক্রম দেখিয়ে আসছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, নদীপথে যাতায়াত ব্যবস্থার কোন মাধ্যম না থাকায় বিদ্যালয়টিতে কোন শিক্ষার্থী নেই।
দশমিনা উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আল মামুন জানান, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী না থাকার কথা শুনেছি। আমরা বিদ্যালয়টি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে সুপারিশ পাঠিয়েছি।
শনিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৫ মহররম ১৪৪২, ১৯ ভাদ্র ১৪২৭
প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর দমমিনা উপজেলায় স্কুল আছে, শিক্ষক আছে, নেই কোন শিক্ষার্থী এমনই এক স্কুলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চল ১৪৫ নং চরবাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর পূর্ব পাশে বিচ্ছিন্ন চরবাঁশবাড়িয়ায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের ১৫০০ বিদ্যালয়ের আওতায় দশমিনায় ২০১১ সালে চরবোরহান, চরশাহজালাল, চরহাদী ও চর বাঁশবাড়িয়ায় মোট ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১২ সালে চরবাঁশবাড়িয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ বীজ বর্ধন খামার প্রতিষ্ঠিত হয়। বীজ বর্ধন খামারের জন্য তৎকালীন সময়ে চরের সকল জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমি অধিগ্রহণের কারণে চর বাঁশবাড়ীয়া জনবসতি শূন্য হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীর অভাবে ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চর বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৮ সালে উপজেলার ঢনঢনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে একজন শিক্ষককে মৌখিক সংযুক্তি প্রদান করে ওই বিদ্যালয়টির কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হয়। নতুন নিয়োগের মাধ্যমে বিদ্যালয়টিতে আরও ৩ জন শিক্ষককে পদায়ন করা হয়। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা ৪ জন। স্কুল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে খাতা কলমে ওই বিদ্যালয়ে মোট ২০ জন শিক্ষার্থীর পাঠদানের কার্যক্রম দেখিয়ে আসছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, নদীপথে যাতায়াত ব্যবস্থার কোন মাধ্যম না থাকায় বিদ্যালয়টিতে কোন শিক্ষার্থী নেই।
দশমিনা উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আল মামুন জানান, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী না থাকার কথা শুনেছি। আমরা বিদ্যালয়টি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে সুপারিশ পাঠিয়েছি।