মধুখালীতে খড়ের দাম চড়া বিপাকে গরু খামারিরা

মধুখালী উপজেলায় গোখাদ্য খড়ের (ধানের বিচলী) সঙ্কট দেখা দিয়েছে। দামও হঠাৎ করে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিমণ ধানের চেয়ে প্রতি মণ খড়ের দাম এখান বাজারে বেশি। মধুখালী উপজেলায় আউশের তেমন একটা আবাদ হয় না। সাধারণত উপজেলার খড় বিক্রেতারা বাইরে জেলা থেকে খড় সংগ্রহ করে সারাবছর বিক্রি করে থাকেন। এলাকার সাধারণ কৃষক গরু পালন ও গরু খামারিরা তিনগুণ দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। যেখানে আগে এক আটি খড়ের দাম ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হতো। এখন সেই খড়ের দাম প্রতি আটি ৭০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় আনেক বিক্রেতা খড় বেশি পরিমাণ আনছেন না। গবাদি পালন ও গরু পালন খামারী ওমর ফারুক, আব্দুল হাই বাশী মিয়া জানান, গো-খাদ্য হিসেবে খড় বেশি ব্যবহার করে থাকি। আমাদের জীবন দশায় কখনো খড়ের আটি ২৫ টাকার উর্ধে হয়নি। সেখানে বর্তমানে প্রতি আটি খড় ৭০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। তারা জানান, এখন মানুষের চাইতে গরুর খাদ্য বেশি খরচ হচ্ছে। তারা আরও বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে বোরো ধানের খড় নষ্ট হওয়ার এ ধরনের সঙ্কট দেখা যাচ্ছে। আমরা এখন খুব চিন্তিত কিভাবে গরু পালন করব! মূলত এখন ধানের চেয়ে খড়ের দামই বেশি। মধুখালী বাজারের খড় ব্যবসায়ী জাকির বিশ^াস, জিতেন, কোবাদ মিয়া জানান, অতিবৃষ্টির ফলে বোরো ধানের খড় নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের। বাজারে চাহিদা মতো খড় আমদানি করতে না পারায় কিছু পুরনো খড় বেশি দামে সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন।

শনিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৫ মহররম ১৪৪২, ১৯ ভাদ্র ১৪২৭

মধুখালীতে খড়ের দাম চড়া বিপাকে গরু খামারিরা

প্রতিনিধি, মধুখালী (ফরিদপুর)

মধুখালী উপজেলায় গোখাদ্য খড়ের (ধানের বিচলী) সঙ্কট দেখা দিয়েছে। দামও হঠাৎ করে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিমণ ধানের চেয়ে প্রতি মণ খড়ের দাম এখান বাজারে বেশি। মধুখালী উপজেলায় আউশের তেমন একটা আবাদ হয় না। সাধারণত উপজেলার খড় বিক্রেতারা বাইরে জেলা থেকে খড় সংগ্রহ করে সারাবছর বিক্রি করে থাকেন। এলাকার সাধারণ কৃষক গরু পালন ও গরু খামারিরা তিনগুণ দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। যেখানে আগে এক আটি খড়ের দাম ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হতো। এখন সেই খড়ের দাম প্রতি আটি ৭০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় আনেক বিক্রেতা খড় বেশি পরিমাণ আনছেন না। গবাদি পালন ও গরু পালন খামারী ওমর ফারুক, আব্দুল হাই বাশী মিয়া জানান, গো-খাদ্য হিসেবে খড় বেশি ব্যবহার করে থাকি। আমাদের জীবন দশায় কখনো খড়ের আটি ২৫ টাকার উর্ধে হয়নি। সেখানে বর্তমানে প্রতি আটি খড় ৭০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। তারা জানান, এখন মানুষের চাইতে গরুর খাদ্য বেশি খরচ হচ্ছে। তারা আরও বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে বোরো ধানের খড় নষ্ট হওয়ার এ ধরনের সঙ্কট দেখা যাচ্ছে। আমরা এখন খুব চিন্তিত কিভাবে গরু পালন করব! মূলত এখন ধানের চেয়ে খড়ের দামই বেশি। মধুখালী বাজারের খড় ব্যবসায়ী জাকির বিশ^াস, জিতেন, কোবাদ মিয়া জানান, অতিবৃষ্টির ফলে বোরো ধানের খড় নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের। বাজারে চাহিদা মতো খড় আমদানি করতে না পারায় কিছু পুরনো খড় বেশি দামে সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন।