খাগড়াছড়িতে ধানের বাম্পার ফলন

খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলার বছরের পর বছর জুম চাষ করে জীবন জীবিকার তাগিদে পাহাড়ের পাহাড়ি বা আদিবাসীরা গড়ে উঠেছে জীবন যাপন। প্রাকৃতি অনুকূলে থাকায় এবার খাগড়াছড়ি ৯টি উপজেলাসহ পার্বত্য পর্যটন কেন্দ্র সাজেকের পাহাড়ি ঢালুতে বিন্নি ধান রোপন করে বাম্পার ফলন হয়েছে। জানা যায় ,উপজেলা সদর আলুটিলা, মাটিরাংগা হৃদয় মেম্বার পাড়া, মহালছড়ি যৌথ খামার, দীঘিনালা ভৈরফা,পানছড়ি জিরানীখোলা রাচাই কার্বারী পাড়া, রামগড় কালাডেবা, মানিকছড়ি গচ্ছাবিল, গুইমারা সিন্দুকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি বর্মাছড়ি এলাকায় প্রাকৃতিক অনুকূলে থাকায় পাহাড়ের জুম চাষের বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রত্যন্ত দুর্গম কৃষকরা খুশি মনে ধান কাটা শুরু করে দিয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী পোশাকে কাস্তে হাতে ধান কেটে পিঠে ঝুলানো হাল্লোংয়ে ধান ভরাচ্ছে পাহাড়ি তরুণীরা। এইবার সাজেকে দুর্গম পাহাড়ি ঢালুতে ৪ কেজি ধান রোপণ করে যথেষ্ট ফলন পেয়ে আনন্দিত আলোসভা চাকমা। স্বামীর জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায়, পরিবারের অভাব অনটন নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন আলোসভা চাকমা। তার পরেও বেচে থাকার কিছুটা হলেও স্বস্তি পান তিনি। ১৯৭৫/৮০ সালে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী দেখা যেত। বাচার তাগিদে জুম চাষের কারণে বছরের পর বছর বনজঙ্গল জুমের আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। সরকারি সহযোগিতা পেলে জুম চাষিদের নিরাপদ আশ্রয় বাসস্থান ও পুনর্বাসন করা গেলে পার্বত্য জেলার বনজঙ্গল রক্ষা করা সম্ভব হতো বলে জানান এলাকাবাসীরা।

শনিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৫ মহররম ১৪৪২, ১৯ ভাদ্র ১৪২৭

খাগড়াছড়িতে ধানের বাম্পার ফলন

প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলার বছরের পর বছর জুম চাষ করে জীবন জীবিকার তাগিদে পাহাড়ের পাহাড়ি বা আদিবাসীরা গড়ে উঠেছে জীবন যাপন। প্রাকৃতি অনুকূলে থাকায় এবার খাগড়াছড়ি ৯টি উপজেলাসহ পার্বত্য পর্যটন কেন্দ্র সাজেকের পাহাড়ি ঢালুতে বিন্নি ধান রোপন করে বাম্পার ফলন হয়েছে। জানা যায় ,উপজেলা সদর আলুটিলা, মাটিরাংগা হৃদয় মেম্বার পাড়া, মহালছড়ি যৌথ খামার, দীঘিনালা ভৈরফা,পানছড়ি জিরানীখোলা রাচাই কার্বারী পাড়া, রামগড় কালাডেবা, মানিকছড়ি গচ্ছাবিল, গুইমারা সিন্দুকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি বর্মাছড়ি এলাকায় প্রাকৃতিক অনুকূলে থাকায় পাহাড়ের জুম চাষের বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রত্যন্ত দুর্গম কৃষকরা খুশি মনে ধান কাটা শুরু করে দিয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী পোশাকে কাস্তে হাতে ধান কেটে পিঠে ঝুলানো হাল্লোংয়ে ধান ভরাচ্ছে পাহাড়ি তরুণীরা। এইবার সাজেকে দুর্গম পাহাড়ি ঢালুতে ৪ কেজি ধান রোপণ করে যথেষ্ট ফলন পেয়ে আনন্দিত আলোসভা চাকমা। স্বামীর জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায়, পরিবারের অভাব অনটন নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন আলোসভা চাকমা। তার পরেও বেচে থাকার কিছুটা হলেও স্বস্তি পান তিনি। ১৯৭৫/৮০ সালে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী দেখা যেত। বাচার তাগিদে জুম চাষের কারণে বছরের পর বছর বনজঙ্গল জুমের আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। সরকারি সহযোগিতা পেলে জুম চাষিদের নিরাপদ আশ্রয় বাসস্থান ও পুনর্বাসন করা গেলে পার্বত্য জেলার বনজঙ্গল রক্ষা করা সম্ভব হতো বলে জানান এলাকাবাসীরা।