দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনা অপ্রত্যাশিত, অনাকাক্সিক্ষত এবং খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও ‘প্রকৃত অপরাধীদের’ খুঁজে বের করতে কাজ করে যাচ্ছে। অপরাধী যেই হোক, প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সারাদেশে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের।
গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। গত বুধবার রাতে দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলায় ইউএনওর বাসভবনে ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল ভোরে হাকিমপুর উপজেলার কালীগঞ্জ থেকে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
করোনাভাইরাসের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার গত কিছুদিনে কমে এলেও এ ভাইরাস ‘খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবে’- এমন মনে করার কোন কারণ নেই। বাংলাদেশের শহরে-বন্দরে মার্কেটে রাস্তায় কোথাও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। মনে হয় না, কেউ করোনাকে পাত্তা দিচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, আমরা নিজেরাই নিজেদের সেফটি নষ্ট করছি এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দুয়ার খুলে দিয়েছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে দেশবাসীর আস্থার ঠিকানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার দক্ষ নেতৃত্বে পরিস্থিতি এতদিন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সচেতনতার দিক থেকে গাছাড়াভাব পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে পারে। কাজেই সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
‘মানবিক দিক বিবেচনা করেই’ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাজা আবারও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, চিকিৎসার দিক বিবেচনা করে মানবিক কারণে মুক্তি দেয়া হয়েছিল ছয় মাসের জন্য। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ভালোভাবে করা যায়নি। সেটা বিবেচনা করে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এটায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি আছে। এখানে কোন রাজনৈতিক চাপের বিষয় নেই। একেবারে মানবিক কারণে এই সিদ্ধান্ত।
শনিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৫ মহররম ১৪৪২, ১৯ ভাদ্র ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনা অপ্রত্যাশিত, অনাকাক্সিক্ষত এবং খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও ‘প্রকৃত অপরাধীদের’ খুঁজে বের করতে কাজ করে যাচ্ছে। অপরাধী যেই হোক, প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সারাদেশে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের।
গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। গত বুধবার রাতে দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলায় ইউএনওর বাসভবনে ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল ভোরে হাকিমপুর উপজেলার কালীগঞ্জ থেকে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
করোনাভাইরাসের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার গত কিছুদিনে কমে এলেও এ ভাইরাস ‘খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবে’- এমন মনে করার কোন কারণ নেই। বাংলাদেশের শহরে-বন্দরে মার্কেটে রাস্তায় কোথাও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। মনে হয় না, কেউ করোনাকে পাত্তা দিচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, আমরা নিজেরাই নিজেদের সেফটি নষ্ট করছি এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দুয়ার খুলে দিয়েছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে দেশবাসীর আস্থার ঠিকানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার দক্ষ নেতৃত্বে পরিস্থিতি এতদিন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সচেতনতার দিক থেকে গাছাড়াভাব পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে পারে। কাজেই সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
‘মানবিক দিক বিবেচনা করেই’ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাজা আবারও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, চিকিৎসার দিক বিবেচনা করে মানবিক কারণে মুক্তি দেয়া হয়েছিল ছয় মাসের জন্য। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ভালোভাবে করা যায়নি। সেটা বিবেচনা করে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এটায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি আছে। এখানে কোন রাজনৈতিক চাপের বিষয় নেই। একেবারে মানবিক কারণে এই সিদ্ধান্ত।