গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি ও ভাড়া দুটোই মনিটর করুন

বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার হলেও গণপরিবহনে পূর্বের ভাড়া নেয়ার প্রতিশ্রুতি ও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করোনার সংক্রমণের মধ্যে জীবিকার তাগিদ ও প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে সাধারণ মানুষ। কোন কোন বাসে আগের মতোই বর্ধিত ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, যেসব শর্ত দিয়ে গণপরিবহনকে আগের ভাড়ায় ফেরানো হয়েছে, সেসব কোন শর্তই মানা হচ্ছে না। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি একাধিক বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত বুধবার গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গত মার্চে করোনা মহামারি চিহ্নিত হওয়ার পর দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ রাখা হয় গণপরিবহন। গত ১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বাস চলাচল শুরু হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে বাস চলায় মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়। ভাড়া বাড়ালেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস না চলায় তা প্রত্যাহারের দাবি উঠে। গত ১৯ আগস্ট কর্তৃপক্ষের বৈঠকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে আগের ভাড়ায় বাস চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।

সব জায়গায় সব ক্ষেত্রে বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধির যে অবস্থা, গণপরিবহনেও একই অবস্থা। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি এবং ভাড়া আদৌ মানা হবে কিনা এ নিয়ে সংশয় ছিল। অতীতেও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা সরকারের আদেশ-নিষেধ মেনে চলেনি এবং যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে গণপরিবহন করোনার সংক্রমণের উৎসে পরিণত হবে। বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের পর গণপরিবহনে যে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে না, সেটাও সবারই জানা। বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং ভাড়া নিয়ে যে নৈরাজ্য চলছে- তাতে মনে হয় না যে দেশে গণপরিবহন সম্পর্কে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগ আছে। পরিবহন মালিকদের যাত্রীদের পকেটের দিকে নজর রয়েছে ঠিকই কিন্তু স্বাস্থ্যের দিকে নেই।

সরকার বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে আগের ভাড়া বহাল রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যানবাহন চলাচলের ঘোষণা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে। সরকারের নির্দেশনা আদৌ কার্যকর হচ্ছে কিনা, সেটাও তদারকির দরকার মনে করছে না। মালিক-চালক কিংবা যাত্রী কেউই এই ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠেননি। এই অবস্থায় পরিবহন খাতে সরকারের প্রদত্ত নির্দেশনাবলী কার্যকর করতে হবে, যেভাবেই হোক। যেসব পরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মানছে না এবং বর্ধিত ভাড়া নিচ্ছে সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে চালক, হেলপার এবং যাত্রী সাধারণকে। সরকারকে এ বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে।

শনিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৫ মহররম ১৪৪২, ১৯ ভাদ্র ১৪২৭

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি ও ভাড়া দুটোই মনিটর করুন

বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার হলেও গণপরিবহনে পূর্বের ভাড়া নেয়ার প্রতিশ্রুতি ও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করোনার সংক্রমণের মধ্যে জীবিকার তাগিদ ও প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে সাধারণ মানুষ। কোন কোন বাসে আগের মতোই বর্ধিত ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, যেসব শর্ত দিয়ে গণপরিবহনকে আগের ভাড়ায় ফেরানো হয়েছে, সেসব কোন শর্তই মানা হচ্ছে না। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি একাধিক বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত বুধবার গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গত মার্চে করোনা মহামারি চিহ্নিত হওয়ার পর দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ রাখা হয় গণপরিবহন। গত ১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বাস চলাচল শুরু হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে বাস চলায় মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়। ভাড়া বাড়ালেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস না চলায় তা প্রত্যাহারের দাবি উঠে। গত ১৯ আগস্ট কর্তৃপক্ষের বৈঠকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে আগের ভাড়ায় বাস চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।

সব জায়গায় সব ক্ষেত্রে বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধির যে অবস্থা, গণপরিবহনেও একই অবস্থা। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি এবং ভাড়া আদৌ মানা হবে কিনা এ নিয়ে সংশয় ছিল। অতীতেও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা সরকারের আদেশ-নিষেধ মেনে চলেনি এবং যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে গণপরিবহন করোনার সংক্রমণের উৎসে পরিণত হবে। বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের পর গণপরিবহনে যে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে না, সেটাও সবারই জানা। বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং ভাড়া নিয়ে যে নৈরাজ্য চলছে- তাতে মনে হয় না যে দেশে গণপরিবহন সম্পর্কে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগ আছে। পরিবহন মালিকদের যাত্রীদের পকেটের দিকে নজর রয়েছে ঠিকই কিন্তু স্বাস্থ্যের দিকে নেই।

সরকার বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে আগের ভাড়া বহাল রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যানবাহন চলাচলের ঘোষণা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে। সরকারের নির্দেশনা আদৌ কার্যকর হচ্ছে কিনা, সেটাও তদারকির দরকার মনে করছে না। মালিক-চালক কিংবা যাত্রী কেউই এই ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠেননি। এই অবস্থায় পরিবহন খাতে সরকারের প্রদত্ত নির্দেশনাবলী কার্যকর করতে হবে, যেভাবেই হোক। যেসব পরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মানছে না এবং বর্ধিত ভাড়া নিচ্ছে সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে চালক, হেলপার এবং যাত্রী সাধারণকে। সরকারকে এ বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে।