আহত ছাত্রলীগ নেতা শিমুল মানবেতর জীবনে

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সভায় গ্রেনেড হামলার শিকার গুরুতর আহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া শিমুল (৪৮) দীর্ঘ ১৬ বছরেও সম্পূর্ণ সুস্থ হননি। এই দীর্ঘ সময়ে চিকিৎসা ব্যয় বাবদ তাকে ধার-দেনা করে খরচ করতে হয়েছে লাখ লাখ টাকা। এখন তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তিনি চাটখিল পৌরসভার ছয়ানী টবগা গ্রামের বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া শিমুল গত শুক্রবার বিকেলে চাটখিল প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার দিনের হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির কথা বর্ণনা করে তার গুরুতর আহত হওয়া এবং ১৬ বছর ধরে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার বিবরণ দেন। শিমুল জানান, এই সময় চিকিৎসা নিতে গিয়ে তিনি তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব থেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ধার-দেনা করে চিকিৎসা খরচ চালিয়েছেন কিন্তু এখনও সুস্থ হননি। বর্তমানে তিনি নিঃস্ব হয়ে গ্রামের বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

চিকিৎসা নেয়া তো দূরের কথা দু’বেলা খাওয়ার জোগাড় করতেও তার হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন তার দূরবস্থার কথা বর্ণনা করে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি আবেদনপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। কিন্তু অদ্যাবধি কোন প্রতিকার পাননি।

তিনি মানবিক কারণে সাংবাদিকদের মাধ্যমে তাকে আর্থিক সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

রবিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৬ মহররম ১৪৪২, ২০ ভাদ্র ১৪২৭

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা

আহত ছাত্রলীগ নেতা শিমুল মানবেতর জীবনে

প্রতিনিধি, চাটখিল (নোয়াখালী)

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সভায় গ্রেনেড হামলার শিকার গুরুতর আহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া শিমুল (৪৮) দীর্ঘ ১৬ বছরেও সম্পূর্ণ সুস্থ হননি। এই দীর্ঘ সময়ে চিকিৎসা ব্যয় বাবদ তাকে ধার-দেনা করে খরচ করতে হয়েছে লাখ লাখ টাকা। এখন তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তিনি চাটখিল পৌরসভার ছয়ানী টবগা গ্রামের বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া শিমুল গত শুক্রবার বিকেলে চাটখিল প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার দিনের হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির কথা বর্ণনা করে তার গুরুতর আহত হওয়া এবং ১৬ বছর ধরে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার বিবরণ দেন। শিমুল জানান, এই সময় চিকিৎসা নিতে গিয়ে তিনি তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব থেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ধার-দেনা করে চিকিৎসা খরচ চালিয়েছেন কিন্তু এখনও সুস্থ হননি। বর্তমানে তিনি নিঃস্ব হয়ে গ্রামের বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

চিকিৎসা নেয়া তো দূরের কথা দু’বেলা খাওয়ার জোগাড় করতেও তার হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন তার দূরবস্থার কথা বর্ণনা করে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি আবেদনপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। কিন্তু অদ্যাবধি কোন প্রতিকার পাননি।

তিনি মানবিক কারণে সাংবাদিকদের মাধ্যমে তাকে আর্থিক সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।