সাক্ষাৎকার

নারীরা অনেকটাই এগিয়েছে -শারমিন অনন্যা

নৃত্যশিল্পী শাহনাজ শারমিন অনন্যা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত একজন সিনিয়র নৃত্যশিল্পী। করোনা পরিস্থিতির এ সময়ে তার শিল্পচর্চা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কথা বলেছেন  আল-সামাদ রুবেল

নৃত্যশিল্পী হয়ে উঠার গল্পটা জানতে চাই

ছোটবেলায় পরিবারের উৎসাহেই নাচ ও গানের তালিম নেয়া শুরু করি। বাবা চাইতেন গান করি আর মা চাইতেন নাচ করি। কিন্তু বরাবরই আমার নাচের প্রতি আগ্রহটা বেশি ছিলো। তাই নাচটাই শেষ অবদি ধরে রাখি। যদিও মায়ের ইচ্ছেতেই নাচ শুরু করি কিন্তু পরবর্তিতে বাবাসহ পরিবারের সবার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।

আপনার নাচের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পর্কে বলুন

আমার নাচের শুরুটা ছিলো দনিয়া সবুজ কুঁড়ি কচিকাচার মেলায়। সেখানে আমার নাচের প্রশিক্ষক ছিলেন শ্রদ্ধেয় তাহমিনা সেলিম আপু এবং ফারজানা নাসরিন লিজা আপু। আপুদের হাতেই আমার নাচের হাতেখড়ি পরবর্তিতে জাগো আর্ট সেন্টার থেকে নয় বছর মেয়াদি নাচের কোর্স সম্পন্ন করি এবং শ্রদ্ধেয় বেলায়েত হোসেন খান স্যারের কাছ থেকে ভরতনাট্যমের তালিম নেই।

নৃত্যশিল্পী বলে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়?

আমাদের সমাজ এখন নারীরা অনেকটাই এগিয়েছে। নারীরা এখন সব সেক্টরেই পুরুদের সমানতালে কাজ করছে। দিন দিন নারীরা আরো অগ্রসর হচ্ছে। তারপর ও যতটুকু প্রতিবন্ধকতা আছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেটাও কাটিয়ে উঠতে পারবো বলে আশা করি।

কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে কিভাবে সময় কাটছে?

এখনত আস্তে আস্তে সব কিছুই আবার চালু হচ্ছে। মাঝের সময়টাতে যেহেতু একদম ঘরে ছিলাম তাই অধিকাংশ সময়ই কাটিয়েছি নাচ নিয়েই। দেশ বিদেশের নানা ধরনের ড্যান্স ফর্ম দেখেছি, নতুন নতুন নাচ কম্পোজ করার চেষ্টা করেছি সেগুলো ফেসবুকের মাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমাদের দেশে নাচ নিয়ে এখন অনেক ভালো ভালো কাজ হচ্ছে, সেগুলো দেখেছি। আর আমি রান্না করতে ভালবাসি, নানা ধরনের রান্না করে টেবিল সাজানো আমার সখ। আমার রেসিপিগুলো মোটামুটি সবাই খুব পছন্দ করে তাই বন্ধুদের অনুরোধে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি; যেখানে আমার রান্নার রেসিপিগুলো সবার সঙ্গে শেয়ার করি।

নৃত্যশিল্পী হিসেবে আপনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে কর্মরত আছেন, তরুণ প্রজন্মের নৃত্যশিল্পীদের জন্য কিছু বলুন

আসলে আমি নিজেই এখনও তরুণ নৃত্যশিল্পী। সে জায়গা থেকে আমি অনেক আশাবাদী। এখন অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। এখন আমরা নাচ নিয়ে পড়াশোনা করার সাহস পাই এবং নাচটাকে প্রফেশন হিসেবে নিচ্ছি এটা আমাদের অনেক বড় প্রাপ্তির জায়গা। এভাবে অগ্রসর হতে থাকলে আমরা খুব দ্রুত অনেক ভালো একটি জায়গায় পৌঁছে যাবো বলে আমি মনে করি।

আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাই

যেহেতু আমি একজন নৃত্যশিল্পী নাচের সঙ্গেই আমার বসবাস। তাই পরিকল্পনা ও সব নাচকে কেন্দ্র করে। আমি শিখতে চাই। এখনো শেখার অনেক বাকি। আমাদের দেশের নৃত্য শিল্পকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে আমাদের অবদান রাখতেই হবে। সেজন্য সঠিক দিকনির্দেশনার সঙ্গে প্রয়োজন প্রচুর অনুশীলন। আপাতত সেটারই চেষ্টা করছি।

রবিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৬ মহররম ১৪৪২, ২০ ভাদ্র ১৪২৭

সাক্ষাৎকার

নারীরা অনেকটাই এগিয়েছে -শারমিন অনন্যা

image

নৃত্যশিল্পী শাহনাজ শারমিন অনন্যা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত একজন সিনিয়র নৃত্যশিল্পী। করোনা পরিস্থিতির এ সময়ে তার শিল্পচর্চা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কথা বলেছেন  আল-সামাদ রুবেল

নৃত্যশিল্পী হয়ে উঠার গল্পটা জানতে চাই

ছোটবেলায় পরিবারের উৎসাহেই নাচ ও গানের তালিম নেয়া শুরু করি। বাবা চাইতেন গান করি আর মা চাইতেন নাচ করি। কিন্তু বরাবরই আমার নাচের প্রতি আগ্রহটা বেশি ছিলো। তাই নাচটাই শেষ অবদি ধরে রাখি। যদিও মায়ের ইচ্ছেতেই নাচ শুরু করি কিন্তু পরবর্তিতে বাবাসহ পরিবারের সবার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।

আপনার নাচের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পর্কে বলুন

আমার নাচের শুরুটা ছিলো দনিয়া সবুজ কুঁড়ি কচিকাচার মেলায়। সেখানে আমার নাচের প্রশিক্ষক ছিলেন শ্রদ্ধেয় তাহমিনা সেলিম আপু এবং ফারজানা নাসরিন লিজা আপু। আপুদের হাতেই আমার নাচের হাতেখড়ি পরবর্তিতে জাগো আর্ট সেন্টার থেকে নয় বছর মেয়াদি নাচের কোর্স সম্পন্ন করি এবং শ্রদ্ধেয় বেলায়েত হোসেন খান স্যারের কাছ থেকে ভরতনাট্যমের তালিম নেই।

নৃত্যশিল্পী বলে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়?

আমাদের সমাজ এখন নারীরা অনেকটাই এগিয়েছে। নারীরা এখন সব সেক্টরেই পুরুদের সমানতালে কাজ করছে। দিন দিন নারীরা আরো অগ্রসর হচ্ছে। তারপর ও যতটুকু প্রতিবন্ধকতা আছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেটাও কাটিয়ে উঠতে পারবো বলে আশা করি।

কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে কিভাবে সময় কাটছে?

এখনত আস্তে আস্তে সব কিছুই আবার চালু হচ্ছে। মাঝের সময়টাতে যেহেতু একদম ঘরে ছিলাম তাই অধিকাংশ সময়ই কাটিয়েছি নাচ নিয়েই। দেশ বিদেশের নানা ধরনের ড্যান্স ফর্ম দেখেছি, নতুন নতুন নাচ কম্পোজ করার চেষ্টা করেছি সেগুলো ফেসবুকের মাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমাদের দেশে নাচ নিয়ে এখন অনেক ভালো ভালো কাজ হচ্ছে, সেগুলো দেখেছি। আর আমি রান্না করতে ভালবাসি, নানা ধরনের রান্না করে টেবিল সাজানো আমার সখ। আমার রেসিপিগুলো মোটামুটি সবাই খুব পছন্দ করে তাই বন্ধুদের অনুরোধে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি; যেখানে আমার রান্নার রেসিপিগুলো সবার সঙ্গে শেয়ার করি।

নৃত্যশিল্পী হিসেবে আপনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে কর্মরত আছেন, তরুণ প্রজন্মের নৃত্যশিল্পীদের জন্য কিছু বলুন

আসলে আমি নিজেই এখনও তরুণ নৃত্যশিল্পী। সে জায়গা থেকে আমি অনেক আশাবাদী। এখন অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। এখন আমরা নাচ নিয়ে পড়াশোনা করার সাহস পাই এবং নাচটাকে প্রফেশন হিসেবে নিচ্ছি এটা আমাদের অনেক বড় প্রাপ্তির জায়গা। এভাবে অগ্রসর হতে থাকলে আমরা খুব দ্রুত অনেক ভালো একটি জায়গায় পৌঁছে যাবো বলে আমি মনে করি।

আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাই

যেহেতু আমি একজন নৃত্যশিল্পী নাচের সঙ্গেই আমার বসবাস। তাই পরিকল্পনা ও সব নাচকে কেন্দ্র করে। আমি শিখতে চাই। এখনো শেখার অনেক বাকি। আমাদের দেশের নৃত্য শিল্পকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে আমাদের অবদান রাখতেই হবে। সেজন্য সঠিক দিকনির্দেশনার সঙ্গে প্রয়োজন প্রচুর অনুশীলন। আপাতত সেটারই চেষ্টা করছি।