ছেলে চলে গেছে স্বামীকেও হারানোর আতঙ্কে রহিমা

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে সাত বছর বয়সী ছেলে জুবায়ের না ফেরার দেশে চলে গেছে। একই ঘটনায় দগ্ধ হন জুবায়েরের বাবা জুলহাস। তিনি বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ছেলের মতো না জানি স্বামীকেও হারাতে হয়। তাই ইনস্টিটিউটের গেটে বসে আহাজারি করছেন জুলহাসের স্ত্রী রাহিমা। কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুকিয়ে গেছে তার। আত্মীয়স্বজনের কোন সান্ত্বনাই কাজে আসছে না। বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন আর বলছেন, আমার ছেলে আর স্বামীকে ফিরিয়ে দেও। আমি তাদের ছাড়া বাঁচব না।

গতকাল দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের গেটে গিয়ে এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা যায়। শুধু রাহিমাই নয়, তার মতো কেউ হারিয়েছেন ছেলেকে, কেউ হারিয়েছেন স্বামীকে আবার কেউবা বাবাকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছেন। জুবায়েরের চাচা ফারুক বলেন, জুলহাস ও রাহিমা তাদের এক সন্তান জুবায়েরকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পশ্চিম তল্লা এলাকায় থাকতেন। তারা দুইজন গার্মেন্টে চাকরি করতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরপর জুবায়ের টিভিতে কার্টুন দেখছিল। এ সময় জুলহাস বলে, বাবা চলো, নামাজ পড়ে আসি। কার্টুন পড়ে দেইখো। জুবায়ের তার মাকে টিভি বন্ধ না করতে বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়।

ছেলে তার বাবার সঙ্গে নামাজ আদায় করে ফিরে এসে আবার টিভির সামনে বসবে। তাই টিভি বন্ধ করেননি মা। মিনিট বিশেক পরই মা জানতে পারেন সেই হৃদয়বিদারী খবর, তার নাড়িছেঁড়া বুকের মানিক আর টিভি দেখতে আসবে না। একমাত্র সন্তান কখনই আর ফিরবে না বাসায়। বিস্ফোরণের পর জুবায়েরের মা রাহিমা খাতুন জানতে পারেন, তার ছেলে যে মসজিদে নামাজ আদায় করতে গেছে, সেখানে আগুন লেগেছে। পাগলের মতো মসজিদের দিকে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন, মসজিদ বিধ্বস্ত। সেখানে লুটিয়ে পড়েছে তার স্বপ্নসাধ।

ঘটনাস্থলে গিয়ে মা রাহিমা জানতে পারেন, তার ছেলে আর স্বামীকে নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, সেখান থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকায়। ভর্তি করা হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। রাত ১০টার পর রাহিমা আসেন ঢাকায়। তখন আগুনে পুড়ে যাওয়া আদরের সন্তান জুবায়ের আর স্বামীকে দেখতে পান। ছেলে জুবায়েরের সঙ্গে কথা বলেন মা। মায়ের দেয়া এক ঢোক পানি পান করে জুবায়ের। এরপর রাত একটার দিকে মারা যায়। জুবায়েরের বাবা জুলহাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

রাহিমা বলেন, আমার বুকের ধন আমাকে ছেড়ে কোথায় চলে গেল? আমার সোনার সংসার তছনছ হয়ে গেল। স্বামীও যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। আমি স্বামী-সন্তান ছাড়া বাঁচব কি করে? স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীতে পড়ত মাইনুদ্দিন (১২)। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল। বাবা মহসিন আরও আগে মারা গেছেন। মা মর্জিনা বেগমের সঙ্গে থাকতো মসজিদসংলগ্ন এলাকায়। মর্জিনা গার্মেন্টে চাকরি করেন। তার নয় হাজার টাকা বেতনে ঘর ভাড়া, সন্তানদের লেখাপড়া করাতেন। মাইনুদ্দিন নিয়মিত নামাজ পড়ত। গত শুক্রবারও এশারের নামাজ আদায় করতে বায়তুস সালাত জামে মসজিদে যায়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। মসজিদের এসি বিস্ফোরণে মাইনুদ্দিনও দগ্ধ হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমায়।

মাইনুদ্দিনের মা মর্জিনা হাসপাতালে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, এসি বিস্ফোরণের খবরে মসজিদে ছুটে যান তিনি। গিয়ে ছেলেকে কোন অবস্থাতেই দেখতে না পেয়ে লোকদের ধরে ধরে ছেলের সন্ধান চান। বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর ছেলে অন্য একজনের মোবাইল দিয়ে কল করে বলে- মা, আমি আগুনে পুড়ে গেছি। আমারে ঢাকায় নিয়া আইছে। অহন হাসপাতালে আছি। তোমরা তাড়াতাড়ি আও। মর্জিনা বলেন, আমি রাতেই হাসপাতালে যাইতে চাইছিলাম। কিন্তু আমারে ওরা (স্বজনরা) আইতে দেয় নাই। তারা আইসা মাইনুদ্দিনকে হাসপাতালে দগ্ধ অবস্থায় পায়। গতকাল সকালে আসলেও আমারে ঢুকতে দেয়নি। অনেক কান্নাকাটি আর চিৎকার করায় ঢুকতে দেয়। কিন্তু ভেতরে গিয়া কোথাও আমার ছেলেকে দেখতে পাই নাই। পরে গ্রাউন্ড ফ্লোরে রাখা লাশের মধ্যে পোলার পোড়া লাশটা পাই!

স্নাতক পাস মোস্তফা কামালের বয়স ৩৪ বছর। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। ১৫ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ আসেন। সেখানে টিউশনি করতেন। চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু চাকরি পাননি মোস্তফা কামাল। বছর দেড়েক আগে তিনি বিয়ে করেন। স্ত্রী চাঁদপুরে শ্বশুরবাড়ি থাকতেন। বৃদ্ধ বাবা করিম মিঝিকে কথা দিয়ে এসেছিলেন, চাকরি হলে স্ত্রীকে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে আসবেন। কিন্তু মোস্তফা কামাল বিস্ফোরণের ঘটনায় পুড়ে মারা গেছেন। ছেলের এমন মৃত্যুর খবর পেয়ে বাবা করিম মিঝি ঢাকায় এসেছেন। হাসপাতালের নিচতলায় চেয়ারে চুপচাপ বসে আছেন।

করিম মিঝি বলেন, আমার ছেলে লকডাউনে চার মাস বাড়িতে ছিল। ১৫ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ এসেছে। মেসে থেকে ছেলেপেলে পড়াত। অনেক দিন ধরে চাকরির চেষ্টা করে যাচ্ছিল। কিন্তু চাকরি আমার ছেলে পায়নি। হাউমাউ করে কেঁদে উঠে বাবা করিম মিঝি বলেন, আমার ছেলে আর চাকরি পেল না। আর চাকরির জন্য চেষ্টা করবে না আমার ছেলে। কেবল মোস্তফা, জুবায়ের, মাইনুদ্দিন নন, নারায়ণগঞ্জ মসজিদ বিস্ফোরণের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৭ জন মারা গেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে কেবলই স্বজনের আহাজারি আর কান্নার শব্দ। এক এক করে ঝড়ে যাচ্ছে এক একটি প্রাণ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন ২২ জনের অবস্থাও শঙ্কটাপন্ন। তাদের নিয়ে চিন্তিত তারা। তবুও তাদের সারিয়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন সেখানকার চিকিৎসকরা।

রবিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৬ মহররম ১৪৪২, ২০ ভাদ্র ১৪২৭

বার্ন ইউনিটে

ছেলে চলে গেছে স্বামীকেও হারানোর আতঙ্কে রহিমা

মাসুদ রানা

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে সাত বছর বয়সী ছেলে জুবায়ের না ফেরার দেশে চলে গেছে। একই ঘটনায় দগ্ধ হন জুবায়েরের বাবা জুলহাস। তিনি বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ছেলের মতো না জানি স্বামীকেও হারাতে হয়। তাই ইনস্টিটিউটের গেটে বসে আহাজারি করছেন জুলহাসের স্ত্রী রাহিমা। কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুকিয়ে গেছে তার। আত্মীয়স্বজনের কোন সান্ত্বনাই কাজে আসছে না। বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন আর বলছেন, আমার ছেলে আর স্বামীকে ফিরিয়ে দেও। আমি তাদের ছাড়া বাঁচব না।

গতকাল দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের গেটে গিয়ে এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা যায়। শুধু রাহিমাই নয়, তার মতো কেউ হারিয়েছেন ছেলেকে, কেউ হারিয়েছেন স্বামীকে আবার কেউবা বাবাকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছেন। জুবায়েরের চাচা ফারুক বলেন, জুলহাস ও রাহিমা তাদের এক সন্তান জুবায়েরকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পশ্চিম তল্লা এলাকায় থাকতেন। তারা দুইজন গার্মেন্টে চাকরি করতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরপর জুবায়ের টিভিতে কার্টুন দেখছিল। এ সময় জুলহাস বলে, বাবা চলো, নামাজ পড়ে আসি। কার্টুন পড়ে দেইখো। জুবায়ের তার মাকে টিভি বন্ধ না করতে বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়।

ছেলে তার বাবার সঙ্গে নামাজ আদায় করে ফিরে এসে আবার টিভির সামনে বসবে। তাই টিভি বন্ধ করেননি মা। মিনিট বিশেক পরই মা জানতে পারেন সেই হৃদয়বিদারী খবর, তার নাড়িছেঁড়া বুকের মানিক আর টিভি দেখতে আসবে না। একমাত্র সন্তান কখনই আর ফিরবে না বাসায়। বিস্ফোরণের পর জুবায়েরের মা রাহিমা খাতুন জানতে পারেন, তার ছেলে যে মসজিদে নামাজ আদায় করতে গেছে, সেখানে আগুন লেগেছে। পাগলের মতো মসজিদের দিকে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন, মসজিদ বিধ্বস্ত। সেখানে লুটিয়ে পড়েছে তার স্বপ্নসাধ।

ঘটনাস্থলে গিয়ে মা রাহিমা জানতে পারেন, তার ছেলে আর স্বামীকে নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, সেখান থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকায়। ভর্তি করা হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। রাত ১০টার পর রাহিমা আসেন ঢাকায়। তখন আগুনে পুড়ে যাওয়া আদরের সন্তান জুবায়ের আর স্বামীকে দেখতে পান। ছেলে জুবায়েরের সঙ্গে কথা বলেন মা। মায়ের দেয়া এক ঢোক পানি পান করে জুবায়ের। এরপর রাত একটার দিকে মারা যায়। জুবায়েরের বাবা জুলহাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

রাহিমা বলেন, আমার বুকের ধন আমাকে ছেড়ে কোথায় চলে গেল? আমার সোনার সংসার তছনছ হয়ে গেল। স্বামীও যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। আমি স্বামী-সন্তান ছাড়া বাঁচব কি করে? স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীতে পড়ত মাইনুদ্দিন (১২)। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল। বাবা মহসিন আরও আগে মারা গেছেন। মা মর্জিনা বেগমের সঙ্গে থাকতো মসজিদসংলগ্ন এলাকায়। মর্জিনা গার্মেন্টে চাকরি করেন। তার নয় হাজার টাকা বেতনে ঘর ভাড়া, সন্তানদের লেখাপড়া করাতেন। মাইনুদ্দিন নিয়মিত নামাজ পড়ত। গত শুক্রবারও এশারের নামাজ আদায় করতে বায়তুস সালাত জামে মসজিদে যায়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। মসজিদের এসি বিস্ফোরণে মাইনুদ্দিনও দগ্ধ হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমায়।

মাইনুদ্দিনের মা মর্জিনা হাসপাতালে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, এসি বিস্ফোরণের খবরে মসজিদে ছুটে যান তিনি। গিয়ে ছেলেকে কোন অবস্থাতেই দেখতে না পেয়ে লোকদের ধরে ধরে ছেলের সন্ধান চান। বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর ছেলে অন্য একজনের মোবাইল দিয়ে কল করে বলে- মা, আমি আগুনে পুড়ে গেছি। আমারে ঢাকায় নিয়া আইছে। অহন হাসপাতালে আছি। তোমরা তাড়াতাড়ি আও। মর্জিনা বলেন, আমি রাতেই হাসপাতালে যাইতে চাইছিলাম। কিন্তু আমারে ওরা (স্বজনরা) আইতে দেয় নাই। তারা আইসা মাইনুদ্দিনকে হাসপাতালে দগ্ধ অবস্থায় পায়। গতকাল সকালে আসলেও আমারে ঢুকতে দেয়নি। অনেক কান্নাকাটি আর চিৎকার করায় ঢুকতে দেয়। কিন্তু ভেতরে গিয়া কোথাও আমার ছেলেকে দেখতে পাই নাই। পরে গ্রাউন্ড ফ্লোরে রাখা লাশের মধ্যে পোলার পোড়া লাশটা পাই!

স্নাতক পাস মোস্তফা কামালের বয়স ৩৪ বছর। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। ১৫ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ আসেন। সেখানে টিউশনি করতেন। চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু চাকরি পাননি মোস্তফা কামাল। বছর দেড়েক আগে তিনি বিয়ে করেন। স্ত্রী চাঁদপুরে শ্বশুরবাড়ি থাকতেন। বৃদ্ধ বাবা করিম মিঝিকে কথা দিয়ে এসেছিলেন, চাকরি হলে স্ত্রীকে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে আসবেন। কিন্তু মোস্তফা কামাল বিস্ফোরণের ঘটনায় পুড়ে মারা গেছেন। ছেলের এমন মৃত্যুর খবর পেয়ে বাবা করিম মিঝি ঢাকায় এসেছেন। হাসপাতালের নিচতলায় চেয়ারে চুপচাপ বসে আছেন।

করিম মিঝি বলেন, আমার ছেলে লকডাউনে চার মাস বাড়িতে ছিল। ১৫ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ এসেছে। মেসে থেকে ছেলেপেলে পড়াত। অনেক দিন ধরে চাকরির চেষ্টা করে যাচ্ছিল। কিন্তু চাকরি আমার ছেলে পায়নি। হাউমাউ করে কেঁদে উঠে বাবা করিম মিঝি বলেন, আমার ছেলে আর চাকরি পেল না। আর চাকরির জন্য চেষ্টা করবে না আমার ছেলে। কেবল মোস্তফা, জুবায়ের, মাইনুদ্দিন নন, নারায়ণগঞ্জ মসজিদ বিস্ফোরণের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৭ জন মারা গেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে কেবলই স্বজনের আহাজারি আর কান্নার শব্দ। এক এক করে ঝড়ে যাচ্ছে এক একটি প্রাণ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন ২২ জনের অবস্থাও শঙ্কটাপন্ন। তাদের নিয়ে চিন্তিত তারা। তবুও তাদের সারিয়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন সেখানকার চিকিৎসকরা।