লাদাখ সীমান্তে গত জুনের প্রাণঘাতী সংঘাতের পর চীন ও ভারতের মধ্যে যে সীমান্ত বিরোধ সংকট নিরসনে সাহায্যের বার্তা প্রদান করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আলোচনাতে চীন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমন সম্ভব বলে জানান ভারতীয় সেনাপ্রধান হোয়াইট হাউজে শুক্রবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে। প্রসঙ্গত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, সেখানে পরিস্থিতি বেশ খারাপ। উভয় দেশই সেখানে অনেক বেশি শক্তি প্রদর্শন করছে। এমনকি অনেকে সেটা বুঝতেও পারছেন না। সম্মেলনে অংশ নিতে বর্তমানে রাশিয়ার মস্কোতে আছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই ফ্যাং। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন এ সম্মেলনের ফাঁকে শুক্রবার দুই নেতা মুখোমুখি বৈঠক করেছেন বলে জানায় উভয় দেশের সংবাদমাধ্যম। রয়টার্স।
গত ৪ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানায় সংঘাতের পর উভয় দেশ বর্ডার অব কন্ট্রোল-এলএসি জুড়ে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে। লাদাখ সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গত বৃহস্পতিবার সেখানে যান ভারতের সেনাপ্রধান। চীনের সরকার সমর্থিত বার্তা সংস্থা জানায়, বৈঠকে উই ফ্যাং ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথকে বলেছেন, সীমান্তে বর্তমানে যে উত্তেজনা চলছে তার পুরো দায় দিল্লির। পূর্বেও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একাধিকবার মধ্যস্থতার বার্তা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে নয়াদিল্লি জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর ভারতের অংশ। তাই এ এলাকা নিয়ে কোন সমস্যা হলে সেখানে তৃতীয় পক্ষের উপস্থিত থাকার দরকার নেই।
চীনের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগ, সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে শান্তি বজায় রাখার যে আলোচনা হয়েছিল, তার মর্যাদা ভেঙেছে চীন। নতুন করে আগ্রাসনের চেষ্টা করেছে তারা। যার কারণে লাদাখ সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলএসিতে কীভাবে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে মুখোমুখি বৈঠকে বসেন রাজনাথ সিং ও চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যার সূত্রপাতের পর থেকেই উত্তাপ নিরসনের চেষ্টা করে যাচ্ছে রাশিয়াও। এর মধ্যেই এবার মধ্যস্থতার বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র।
রবিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৬ মহররম ১৪৪২, ২০ ভাদ্র ১৪২৭
বিনোদন প্রতিবেদক |
লাদাখ সীমান্তে গত জুনের প্রাণঘাতী সংঘাতের পর চীন ও ভারতের মধ্যে যে সীমান্ত বিরোধ সংকট নিরসনে সাহায্যের বার্তা প্রদান করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আলোচনাতে চীন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমন সম্ভব বলে জানান ভারতীয় সেনাপ্রধান হোয়াইট হাউজে শুক্রবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে। প্রসঙ্গত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, সেখানে পরিস্থিতি বেশ খারাপ। উভয় দেশই সেখানে অনেক বেশি শক্তি প্রদর্শন করছে। এমনকি অনেকে সেটা বুঝতেও পারছেন না। সম্মেলনে অংশ নিতে বর্তমানে রাশিয়ার মস্কোতে আছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই ফ্যাং। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন এ সম্মেলনের ফাঁকে শুক্রবার দুই নেতা মুখোমুখি বৈঠক করেছেন বলে জানায় উভয় দেশের সংবাদমাধ্যম। রয়টার্স।
গত ৪ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানায় সংঘাতের পর উভয় দেশ বর্ডার অব কন্ট্রোল-এলএসি জুড়ে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে। লাদাখ সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গত বৃহস্পতিবার সেখানে যান ভারতের সেনাপ্রধান। চীনের সরকার সমর্থিত বার্তা সংস্থা জানায়, বৈঠকে উই ফ্যাং ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথকে বলেছেন, সীমান্তে বর্তমানে যে উত্তেজনা চলছে তার পুরো দায় দিল্লির। পূর্বেও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একাধিকবার মধ্যস্থতার বার্তা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে নয়াদিল্লি জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর ভারতের অংশ। তাই এ এলাকা নিয়ে কোন সমস্যা হলে সেখানে তৃতীয় পক্ষের উপস্থিত থাকার দরকার নেই।
চীনের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগ, সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে শান্তি বজায় রাখার যে আলোচনা হয়েছিল, তার মর্যাদা ভেঙেছে চীন। নতুন করে আগ্রাসনের চেষ্টা করেছে তারা। যার কারণে লাদাখ সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলএসিতে কীভাবে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে মুখোমুখি বৈঠকে বসেন রাজনাথ সিং ও চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যার সূত্রপাতের পর থেকেই উত্তাপ নিরসনের চেষ্টা করে যাচ্ছে রাশিয়াও। এর মধ্যেই এবার মধ্যস্থতার বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র।