বাবা ওমর শেখের কোমরের নিচ থেকে সম্পূর্ণ প্যারালাইজড

সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের বাবা ওমর আলী শেখের (৭০) কোমর থেকে নিচের অংশ প্যারালাইজড হয়ে পড়েছে। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ড থেকে এখন ভিআইপি কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম ও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুরন্নবী লাইজু। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে গত ২ সেপ্টেম্বর কন্যা ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানমের সঙ্গে তাকেও কুপিয়ে আহত করেছিল সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃহস্পতিবার অবস্থার অবনতি ঘটলে নিউরোসার্জারি ওয়ার্ড থেকে তাকে ভিআইপি কেবিনে নেয়া হয়। তিনি কথা বলতে ও খেতে পারলেও চলাচল করতে পারছেন না। আপাতত অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন না হলেও পুরোপুরি সেরে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

এ ব্যাপারে রংপুর মেডেকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. তোফায়েল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের আগে থেকে ডায়াবেটিস ছিল। ঘটনার রাতে তিনি সন্ত্রাসীদের দ্বারা ঘাড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এতে তার স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি হয়। সাধারণত এধরনের জটিলতায় চার হাত-পা অবশ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তার দুই হাত কিছুটা সচল থাকলেও নাভির নিচ থেকে পুরো নিচের অংশ অবশ হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, সাধারণত এ ধরনের সমস্যা সেরে উঠতে দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগে। আপাতত তার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন না হলেও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। তিনি জানান তার চিকিৎসায় একটি টিম গঠন করা হয়েছে এই টিমের মাধ্যমে তার চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে তার স্বজনরা ঢাকায় নিয়ে যেতে চাইলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিষয়টি রংপুর জেলা প্রশাসককে অবগত করা হয়েছে। আপাতত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। এখানকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট ঢাকায় পাঠানো হবে। সেখানকার চিকিৎসকরা রিপোর্ট দেখে ঢাকায় নিয়ে যেতে বললে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ওমর আলী শেখের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত এবং রংপুর মেডেকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনরা যদি ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রবিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৬ মহররম ১৪৪২, ২০ ভাদ্র ১৪২৭

ইউএনও ওয়াহিদার বাড়িতে হামলা

বাবা ওমর শেখের কোমরের নিচ থেকে সম্পূর্ণ প্যারালাইজড

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের বাবা ওমর আলী শেখের (৭০) কোমর থেকে নিচের অংশ প্যারালাইজড হয়ে পড়েছে। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ড থেকে এখন ভিআইপি কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম ও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুরন্নবী লাইজু। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে গত ২ সেপ্টেম্বর কন্যা ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানমের সঙ্গে তাকেও কুপিয়ে আহত করেছিল সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃহস্পতিবার অবস্থার অবনতি ঘটলে নিউরোসার্জারি ওয়ার্ড থেকে তাকে ভিআইপি কেবিনে নেয়া হয়। তিনি কথা বলতে ও খেতে পারলেও চলাচল করতে পারছেন না। আপাতত অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন না হলেও পুরোপুরি সেরে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

এ ব্যাপারে রংপুর মেডেকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. তোফায়েল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের আগে থেকে ডায়াবেটিস ছিল। ঘটনার রাতে তিনি সন্ত্রাসীদের দ্বারা ঘাড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এতে তার স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি হয়। সাধারণত এধরনের জটিলতায় চার হাত-পা অবশ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তার দুই হাত কিছুটা সচল থাকলেও নাভির নিচ থেকে পুরো নিচের অংশ অবশ হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, সাধারণত এ ধরনের সমস্যা সেরে উঠতে দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগে। আপাতত তার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন না হলেও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। তিনি জানান তার চিকিৎসায় একটি টিম গঠন করা হয়েছে এই টিমের মাধ্যমে তার চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে তার স্বজনরা ঢাকায় নিয়ে যেতে চাইলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিষয়টি রংপুর জেলা প্রশাসককে অবগত করা হয়েছে। আপাতত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। এখানকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট ঢাকায় পাঠানো হবে। সেখানকার চিকিৎসকরা রিপোর্ট দেখে ঢাকায় নিয়ে যেতে বললে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ওমর আলী শেখের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত এবং রংপুর মেডেকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনরা যদি ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।