অনাকাক্সিক্ষতভাবে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কাল তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। কমিটির চার সদস্যকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নন্দদুলাল, লিয়াকত থেকে শুরু করে ওসি প্রদীপ, ওসি সাহেবের সঙ্গে যারা ফোর্স ছিলেন, গাড়ির ড্রাইভার আমরা তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। যেটি আমাদের সরকারের তরফ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য। যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সে বিষয়ে আমরা সুপারিশ প্রণয়ন করেছি। ৭ তারিখের মধ্যে কমিটির ৪ সদস্য উপস্থিত থেকে মন্ত্রণালয়ে আমরা প্রতিবেদনটি জমা দেব।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকবে মেজর সিনহাকে হত্যার ঘটনায় অনাকাক্সিক্ষতভাবে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ, গুলি করার মতো পরিবেশ বা পরিস্থিতি সেখানে তৈরি হয়নি। ঘটনার সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্যের আচরণ ও ব্যবহার ছিল অমানবিক।

মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের কমিটির অন্য সদস্যরা হলেনÑ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল এসএম সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রতিনিধি অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক জাকির হোসেন খান ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলী।

গত ২ আগস্ট এ কমিটি গঠন করা হয় এবং কার্যক্রম শুরু করে ৩ আগস্ট। সাত কর্মদিবস অর্থাৎ ১০ আগস্ট কমিটিকে প্রতিবেদন জমাদানের সময় বেধে দেয় মন্ত্রণালয়। এরপর প্রথমবার কমিটির সময় বাড়ানো হয় ২৩ আগস্ট পর্যন্ত। পরে কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে আবারও সময় বাড়িয়ে দেয়া হয় ৩১ আগস্ট। এ সময়ের মধ্যে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বক্তব্য গ্রহণ করতে না পারায় কমিটির মেয়াদ সর্বশেষ ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ২ সেপ্টেম্বর কমিটি কক্সবাজার জেলা কারাগারে প্রদীপ কুমার দাসের বক্তব্য গ্রহণ করে।

রবিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৬ মহররম ১৪৪২, ২০ ভাদ্র ১৪২৭

সিনহা হত্যা : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন জমা কাল

অনাকাক্সিক্ষতভাবে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়

প্রতিনিধি, কক্সবাজার

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কাল তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। কমিটির চার সদস্যকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নন্দদুলাল, লিয়াকত থেকে শুরু করে ওসি প্রদীপ, ওসি সাহেবের সঙ্গে যারা ফোর্স ছিলেন, গাড়ির ড্রাইভার আমরা তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। যেটি আমাদের সরকারের তরফ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য। যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সে বিষয়ে আমরা সুপারিশ প্রণয়ন করেছি। ৭ তারিখের মধ্যে কমিটির ৪ সদস্য উপস্থিত থেকে মন্ত্রণালয়ে আমরা প্রতিবেদনটি জমা দেব।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকবে মেজর সিনহাকে হত্যার ঘটনায় অনাকাক্সিক্ষতভাবে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ, গুলি করার মতো পরিবেশ বা পরিস্থিতি সেখানে তৈরি হয়নি। ঘটনার সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্যের আচরণ ও ব্যবহার ছিল অমানবিক।

মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের কমিটির অন্য সদস্যরা হলেনÑ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল এসএম সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রতিনিধি অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক জাকির হোসেন খান ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলী।

গত ২ আগস্ট এ কমিটি গঠন করা হয় এবং কার্যক্রম শুরু করে ৩ আগস্ট। সাত কর্মদিবস অর্থাৎ ১০ আগস্ট কমিটিকে প্রতিবেদন জমাদানের সময় বেধে দেয় মন্ত্রণালয়। এরপর প্রথমবার কমিটির সময় বাড়ানো হয় ২৩ আগস্ট পর্যন্ত। পরে কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে আবারও সময় বাড়িয়ে দেয়া হয় ৩১ আগস্ট। এ সময়ের মধ্যে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বক্তব্য গ্রহণ করতে না পারায় কমিটির মেয়াদ সর্বশেষ ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ২ সেপ্টেম্বর কমিটি কক্সবাজার জেলা কারাগারে প্রদীপ কুমার দাসের বক্তব্য গ্রহণ করে।