জেলে বসেই হুমকি সন্তান নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন স্ত্রী

নারী লোভী প্রতারক স্বামী ও তার পরিবারের হুমকিতে তিন সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন গৃহবধূ নুসরাত জাহান। স্বামীর কবল থেকে সন্তানসহ নিজেকে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। গতকাল বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে নুসরাত জাহান এ অভিযোগ করেন। এ সময় তার তিন সন্তান উপস্থিত ছিল।

তিনি বলেন, ২০০২ সালে বাদল হাসানের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের সময় নানা কথা বলে যৌতুক হিসেবে তার বাবার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকার জমি নিজের নামে লিখে নেয়। তুবও ভালোই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু সন্তানের জন্মের পর থেকেই নুসরাত তার স্বামীর আসল রূপ ধরতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ২০০৫ সালে রিপা নামে একটি মেয়েকে গোপনে বিয়ে করে। তখনই সংসার ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নুসরাত। কিন্তু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে যেতে পারেননি। আবার স্বামী বাদলও ওই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ভালো হয়ে যাবেন বলে কথা দেন। কিন্তু হয়ে যায় উল্টো। নুসরাতের রেস্টুরেন্ট ব্যবসাও নিজের নামে করে নেয় চতুর বাদল। এরপর একে একে আরও দুটি বিয়ে করেন তিনি। এর মধ্যে নুসরাত আরও দুটি সন্তানের জননী হন।

গত মার্চ মাস থেকে নুসরাতের কাছে আরও ১০ লাখ টাক দাবি করেন বাদল। টাকা নিয়ে আমেরিকার গ্রিনকার্ডধারী এক নারীকে বিয়ে করে সেখানে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্ত সব বুঝতে পেরে নুসরাত টাকা দিতে অস্বীকার করায় সন্তানদের সামনেই তাকে বেধড়ক মারধর করে বাদল। এক পর্যায়ে তিন সন্তানসহ তাকে বাসা থেকে বের করে দেন বাদল। এই ঘটনায় নুসরাত মামলা করলে পুলিশ গ্রেফতার করে বাদলকে। বর্তমানে জেলে থেকে নুসরাতকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে বাদল। শুধু তাই নয় নিজের সন্তানদেরও ক্ষতি করার কথা বলে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।

তার সঙ্গে বাদলের পরিবারও নানাভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে বলে নুসরাত অভিযোগ করেন। এছাড়া তার ফেসবুক আইডিতে ঢুকে নানা আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। নুসরাত আরও জানান, বাদল মূলত প্রতারণার মাধ্যমে নারীদের বিয়ের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়। তার প্রতারণার শিকার অনেক ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে তিন সন্তান নিয়ে আত্মীয়ের বাসায় থাকছেন নুসরাত। অভিযোগ করে নুসরাত আরও বলেন, তার পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি এখন তার জমানো টাকা পয়সা নিয়ে মৌনতা নামের এক নারীকে নিয়ে আমেরিকা পালাতে চায়। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়া ও প্রতারক বাদল হাসানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নুসরাত জাহান।

রবিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৬ মহররম ১৪৪২, ২০ ভাদ্র ১৪২৭

জেলে বসেই হুমকি সন্তান নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন স্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

নারী লোভী প্রতারক স্বামী ও তার পরিবারের হুমকিতে তিন সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন গৃহবধূ নুসরাত জাহান। স্বামীর কবল থেকে সন্তানসহ নিজেকে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। গতকাল বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে নুসরাত জাহান এ অভিযোগ করেন। এ সময় তার তিন সন্তান উপস্থিত ছিল।

তিনি বলেন, ২০০২ সালে বাদল হাসানের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের সময় নানা কথা বলে যৌতুক হিসেবে তার বাবার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকার জমি নিজের নামে লিখে নেয়। তুবও ভালোই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু সন্তানের জন্মের পর থেকেই নুসরাত তার স্বামীর আসল রূপ ধরতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ২০০৫ সালে রিপা নামে একটি মেয়েকে গোপনে বিয়ে করে। তখনই সংসার ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নুসরাত। কিন্তু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে যেতে পারেননি। আবার স্বামী বাদলও ওই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ভালো হয়ে যাবেন বলে কথা দেন। কিন্তু হয়ে যায় উল্টো। নুসরাতের রেস্টুরেন্ট ব্যবসাও নিজের নামে করে নেয় চতুর বাদল। এরপর একে একে আরও দুটি বিয়ে করেন তিনি। এর মধ্যে নুসরাত আরও দুটি সন্তানের জননী হন।

গত মার্চ মাস থেকে নুসরাতের কাছে আরও ১০ লাখ টাক দাবি করেন বাদল। টাকা নিয়ে আমেরিকার গ্রিনকার্ডধারী এক নারীকে বিয়ে করে সেখানে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্ত সব বুঝতে পেরে নুসরাত টাকা দিতে অস্বীকার করায় সন্তানদের সামনেই তাকে বেধড়ক মারধর করে বাদল। এক পর্যায়ে তিন সন্তানসহ তাকে বাসা থেকে বের করে দেন বাদল। এই ঘটনায় নুসরাত মামলা করলে পুলিশ গ্রেফতার করে বাদলকে। বর্তমানে জেলে থেকে নুসরাতকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে বাদল। শুধু তাই নয় নিজের সন্তানদেরও ক্ষতি করার কথা বলে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।

তার সঙ্গে বাদলের পরিবারও নানাভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে বলে নুসরাত অভিযোগ করেন। এছাড়া তার ফেসবুক আইডিতে ঢুকে নানা আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। নুসরাত আরও জানান, বাদল মূলত প্রতারণার মাধ্যমে নারীদের বিয়ের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়। তার প্রতারণার শিকার অনেক ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে তিন সন্তান নিয়ে আত্মীয়ের বাসায় থাকছেন নুসরাত। অভিযোগ করে নুসরাত আরও বলেন, তার পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি এখন তার জমানো টাকা পয়সা নিয়ে মৌনতা নামের এক নারীকে নিয়ে আমেরিকা পালাতে চায়। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়া ও প্রতারক বাদল হাসানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নুসরাত জাহান।