দেশে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ পরীক্ষা কমার পাশাপাশি রোগী শনাক্তের হার কমলেও মৃত্যুর হার তেমন কমেনি। দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও ৩২ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন ও নারী ৭ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো চার হাজার ৪৭৯ জনে। করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২টি করোনা শনাক্তকরণ আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১১ হাজার ২২৪টি নমুনা সংগ্রহ ও ১১ হাজার ৩৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৫৯২ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় তিন লাখ ২৫ হাজার ১৫৭ জনে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৩১২ জনে।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও তিন হাজার ৪২৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় দুই লাখ ২১ হাজার ২৭৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৬৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণকারী চার হাজার ৪৭৯ জনের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৫০৪ (৭৮ দশমিক ২৩ শতাংশ) এবং নারী ৯৭৫ জন (২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ)। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩২ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব নয়জন, ষাটোর্ধ্ব ১৭ জন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে চারজন, রাজশাহী বিভাগে দুইজন, খুলনা বিভাগে চারজন, বরিশাল বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে তিনজন ও রংপুর বিভাগে একজন রয়েছেন।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির এক দল গবেষক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, দেশে করোনাভাইরাস দ্রুতগতিতে রূপ পরিবর্তন করছে। বিসিএসআইআর বলছে, বিশ্বে করোনাভাইরাসের রূপান্তরের হার ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ, বাংলাদেশে এই ভাইরাসের রূপান্তরের হার ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ। দেশে করোনাভাইরাস অনেক দ্রুতগতিতে রূপ পরিবর্তন করছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, ২৬ অগাস্ট তা তিন লাখ পেরিয়ে যায়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৫ আগস্ট সেই সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৬ হাজার ৩৩৮ জন পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ লাখ ৮০ হাজার ৮ জনে। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৩ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম স্থানে। তার মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।
সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৭ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭
দেশে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ পরীক্ষা কমার পাশাপাশি রোগী শনাক্তের হার কমলেও মৃত্যুর হার তেমন কমেনি। দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও ৩২ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন ও নারী ৭ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো চার হাজার ৪৭৯ জনে। করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২টি করোনা শনাক্তকরণ আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১১ হাজার ২২৪টি নমুনা সংগ্রহ ও ১১ হাজার ৩৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৫৯২ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় তিন লাখ ২৫ হাজার ১৫৭ জনে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৩১২ জনে।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও তিন হাজার ৪২৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় দুই লাখ ২১ হাজার ২৭৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৬৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণকারী চার হাজার ৪৭৯ জনের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৫০৪ (৭৮ দশমিক ২৩ শতাংশ) এবং নারী ৯৭৫ জন (২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ)। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩২ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব নয়জন, ষাটোর্ধ্ব ১৭ জন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে চারজন, রাজশাহী বিভাগে দুইজন, খুলনা বিভাগে চারজন, বরিশাল বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে তিনজন ও রংপুর বিভাগে একজন রয়েছেন।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির এক দল গবেষক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, দেশে করোনাভাইরাস দ্রুতগতিতে রূপ পরিবর্তন করছে। বিসিএসআইআর বলছে, বিশ্বে করোনাভাইরাসের রূপান্তরের হার ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ, বাংলাদেশে এই ভাইরাসের রূপান্তরের হার ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ। দেশে করোনাভাইরাস অনেক দ্রুতগতিতে রূপ পরিবর্তন করছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, ২৬ অগাস্ট তা তিন লাখ পেরিয়ে যায়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৫ আগস্ট সেই সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৬ হাজার ৩৩৮ জন পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ লাখ ৮০ হাজার ৮ জনে। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৩ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম স্থানে। তার মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।