তুরস্ক-গ্রিসের নতুন উত্তেজনা

গ্রিসের সঙ্গে যুদ্ধ সময়ের ব্যাপার

পূর্ব ভূমধ্যসাগরের বিতর্কিত এলাকাকে কেন্দ্র করে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দু’পক্ষ একে অন্যের সঙ্গে এ নিয়ে বাকবিত-ায় জড়িয়ে পড়েছে। ন্যাটো মহাসচীবের হস্তক্ষেপে দু’দেশ আলোচনায় সম্মত হয়েছে। গত ১২ আগস্ট গ্রিক দ্বীপ কাস্তেলোরিজো উপকূলে তুরস্ক তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ওরাক রেইস নামে এক জাহাজ পাঠানোর পর থেকে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। জাহাজটির নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হয়েছে তুর্কি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের ছোটখাটো একটি বহর। আনাদোলু।

গত ৫ আগস্ট সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন জানিয়েছে গ্রিস ও তুর্কিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে গ্রিকদ্বীপ কাস্তেলোরিজে উপকূল অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে তুরস্ক। ফলে দু’পক্ষের মধ্যে কিছুটা সংঘর্ষ বাধলে গ্রিস এ ঘটনাকে দুর্ঘটনা বললেও তুরস্ক এটিকে উসকানি বলে দাবি করেছে। বাহচেলি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভূমধ্যসাগর এবং এজিয়ান অঞ্চলে আমাদের ঐতিহাসিক স্বার্থ থেকে আমাদের মুখ ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। গ্রিসের উদ্দেশ্য আবারও আসা এবং আমাদের জমি দখল করা। অথচ এ এলাকা থেকে ৯৮ বছর আগেই আমরা তাদের ছুড়ে ফেলে দিয়েছি। তুরস্কের ক্ষমতাসীন দলের মিত্র এ তুর্কি রাজনীতিবিদ বলেন, এখন থেকে গ্রিসের মনোভাব ও আচরণের ওপর নির্ভর করবে যে, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বাড়বে নাকি কমবে। বৃহস্পতিবার ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টোলটেনবার্গ এক ঘোষণায় বলেন, এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিরসনে গ্রিস তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে একমত প্রকাশ করেছে। তবে পরবর্তীতে গ্রিস একথা অস্বীকার করেছে।

গ্রিসের এমন আচরণের পর তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু সংবাদমাধ্যমকে জানায়, তারা (গ্রিস) প্রথমে রাজি হয়েছিল। পরে তারা আবার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রকৃতপক্ষে ন্যাটো প্রধান নন বরং গ্রিস মিথ্যা বলছে। গ্রিস আবারও প্রমাণ করেছে যে, তারা আলোচনায় আগ্রহী নয়।

সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৭ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

তুরস্ক-গ্রিসের নতুন উত্তেজনা

গ্রিসের সঙ্গে যুদ্ধ সময়ের ব্যাপার

image

গুরুচ-রেইস’ নামে তুর্কি জরিপ জাহাজটি এখনও তুরস্কের আন্তালিয়া বন্দরেই রয়েছে Ñএএফপি

পূর্ব ভূমধ্যসাগরের বিতর্কিত এলাকাকে কেন্দ্র করে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দু’পক্ষ একে অন্যের সঙ্গে এ নিয়ে বাকবিত-ায় জড়িয়ে পড়েছে। ন্যাটো মহাসচীবের হস্তক্ষেপে দু’দেশ আলোচনায় সম্মত হয়েছে। গত ১২ আগস্ট গ্রিক দ্বীপ কাস্তেলোরিজো উপকূলে তুরস্ক তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ওরাক রেইস নামে এক জাহাজ পাঠানোর পর থেকে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। জাহাজটির নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হয়েছে তুর্কি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের ছোটখাটো একটি বহর। আনাদোলু।

গত ৫ আগস্ট সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন জানিয়েছে গ্রিস ও তুর্কিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে গ্রিকদ্বীপ কাস্তেলোরিজে উপকূল অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে তুরস্ক। ফলে দু’পক্ষের মধ্যে কিছুটা সংঘর্ষ বাধলে গ্রিস এ ঘটনাকে দুর্ঘটনা বললেও তুরস্ক এটিকে উসকানি বলে দাবি করেছে। বাহচেলি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভূমধ্যসাগর এবং এজিয়ান অঞ্চলে আমাদের ঐতিহাসিক স্বার্থ থেকে আমাদের মুখ ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। গ্রিসের উদ্দেশ্য আবারও আসা এবং আমাদের জমি দখল করা। অথচ এ এলাকা থেকে ৯৮ বছর আগেই আমরা তাদের ছুড়ে ফেলে দিয়েছি। তুরস্কের ক্ষমতাসীন দলের মিত্র এ তুর্কি রাজনীতিবিদ বলেন, এখন থেকে গ্রিসের মনোভাব ও আচরণের ওপর নির্ভর করবে যে, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বাড়বে নাকি কমবে। বৃহস্পতিবার ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টোলটেনবার্গ এক ঘোষণায় বলেন, এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিরসনে গ্রিস তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে একমত প্রকাশ করেছে। তবে পরবর্তীতে গ্রিস একথা অস্বীকার করেছে।

গ্রিসের এমন আচরণের পর তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু সংবাদমাধ্যমকে জানায়, তারা (গ্রিস) প্রথমে রাজি হয়েছিল। পরে তারা আবার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রকৃতপক্ষে ন্যাটো প্রধান নন বরং গ্রিস মিথ্যা বলছে। গ্রিস আবারও প্রমাণ করেছে যে, তারা আলোচনায় আগ্রহী নয়।