কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের নথি তলব দুদকের

করোনা সংক্রমণকালীন কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যেসব সুরক্ষাসামগ্রী কেনা হয়েছে তার যাবতীয় নথিপত্র তলব করে পরিচালকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সোহেলী পারভীন ও ডা. মামুনুর রশীদের ব্যাক ডেটে স্বাক্ষর দেয়া বিল ভাউচারের নথিপত্রও চাওয়া হয়েছে। বিশেষ বার্তাবাহক মারফত প্রেরিত পত্রে এসব রেকর্ডপত্র আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর কাছে সরবরাহের অনুরোধ করা হয়েছে।

দুদকের পরিচালক (গণমাধ্যম) প্রণব কুমার ভট্টচার্য জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিভিন্ন হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয় ও সরবরাহ, চিকিৎসকদের হোটেলে থাকা-খাওয়ার নামে সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ অন্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগসমূহ সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। যেসব রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গত মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যেসব স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, পিপিই, স্যানিটাইজার ও অন্যান্য দ্রব্যাদি) এবং চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ক্রয় করা হয়েছে তার আইটেমভিত্তিক বিবরণ, ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা, ক্রয় কমিটির তথ্য এবং বর্ণিত স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয় সংক্রান্ত নথি ও নোটশিটের সত্যায়িত ফটোকপি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কি পরিমাণ বিল পরিশোধ করা হয়েছে তার তথ্য এবং কি পরিমাণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি বর্তমানে মজুদ রয়েছে তার তথ্য। কোভিডকালীন চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ওই হাসপাতালের (কুয়েক মৈত্রী) ডাক্তার, নার্স ও সংশ্লিষ্ট কর্মমর্তা-কর্মচারীদের হোটেলে রাখার ক্ষেত্রে হোটেলসমূহের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি, হোটেলে অবস্থানকারীদের তালিকা (হোটেল ভিত্তিক), হোটেল ভাড়া ও খাবার বাবদ পরিশোধকৃত বিলের তথ্য এবং নোটশিটসহ সংশ্লিষ্ট নথির ফটোকপি। এছাড়া ডা. সোহেলী পারভীন ও ডা. মামুনুর রশীদের কাছ থেকে যেসব বিল-ভাউচারে ৪ থেকে ৫ মাস আগের তারিখ দিয়ে অর্থাৎ ব্যাক ডেটে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে সে সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র ইত্যাদি।

সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৭ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

করোনায় সুরক্ষাসামগ্রী ক্রয়

কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের নথি তলব দুদকের

করোনা সংক্রমণকালীন কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যেসব সুরক্ষাসামগ্রী কেনা হয়েছে তার যাবতীয় নথিপত্র তলব করে পরিচালকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সোহেলী পারভীন ও ডা. মামুনুর রশীদের ব্যাক ডেটে স্বাক্ষর দেয়া বিল ভাউচারের নথিপত্রও চাওয়া হয়েছে। বিশেষ বার্তাবাহক মারফত প্রেরিত পত্রে এসব রেকর্ডপত্র আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর কাছে সরবরাহের অনুরোধ করা হয়েছে।

দুদকের পরিচালক (গণমাধ্যম) প্রণব কুমার ভট্টচার্য জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিভিন্ন হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয় ও সরবরাহ, চিকিৎসকদের হোটেলে থাকা-খাওয়ার নামে সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ অন্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগসমূহ সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। যেসব রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গত মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যেসব স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, পিপিই, স্যানিটাইজার ও অন্যান্য দ্রব্যাদি) এবং চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ক্রয় করা হয়েছে তার আইটেমভিত্তিক বিবরণ, ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা, ক্রয় কমিটির তথ্য এবং বর্ণিত স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয় সংক্রান্ত নথি ও নোটশিটের সত্যায়িত ফটোকপি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কি পরিমাণ বিল পরিশোধ করা হয়েছে তার তথ্য এবং কি পরিমাণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি বর্তমানে মজুদ রয়েছে তার তথ্য। কোভিডকালীন চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ওই হাসপাতালের (কুয়েক মৈত্রী) ডাক্তার, নার্স ও সংশ্লিষ্ট কর্মমর্তা-কর্মচারীদের হোটেলে রাখার ক্ষেত্রে হোটেলসমূহের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি, হোটেলে অবস্থানকারীদের তালিকা (হোটেল ভিত্তিক), হোটেল ভাড়া ও খাবার বাবদ পরিশোধকৃত বিলের তথ্য এবং নোটশিটসহ সংশ্লিষ্ট নথির ফটোকপি। এছাড়া ডা. সোহেলী পারভীন ও ডা. মামুনুর রশীদের কাছ থেকে যেসব বিল-ভাউচারে ৪ থেকে ৫ মাস আগের তারিখ দিয়ে অর্থাৎ ব্যাক ডেটে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে সে সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র ইত্যাদি।