রংপুরে রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দ্বিধা-বিভক্ত

থানা ঘেরাও বিক্ষোভ ঘটনার দায় নেবে না ছাত্রলীগ আ’লীগ নেতাদের মুখে কুলুপ

স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। রনির সমর্থকরা শনিবার রাতে ও গতকাল দুপুরে দু’দফা মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। তবে পুলিশ তাদের বাধা না দেয়ায় দু’বারই এক দেড় ঘণ্টা অবস্থান করে নিজেরাই বিক্ষোভ বন্ধ করে চলে গেছে।

এদিকে মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রনিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে এ ব্যাপারে থানার ওসি আবদুর রশিদসহ কোন পুলিশ কর্মকর্তাই কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান কানন বলেছেন, যেহেতু সভাপতি রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে সেখানে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত যা ব্যবস্থা নেয়া হোক না কেন তাতে আমাদের বলার কিছুই নেই। তবে তার সমর্থনে থানা ঘেরাওকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ব্যাপারে তিনি বলেন ছাত্রলীগ রংপুর জেলা এর কোন দায় নেবে না। অন্যদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মাঝে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। একটি অংশ চাচ্ছে রনি অপরাধ করে থাকলে তার বিচার হোক তবে কেউ কেউ রনির পক্ষে অবস্থান নিলেও তাদের দৃশ্যমান কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু অ্যাডভোকেট যুগ্ম সম্পাদক রোজি রহমান ও মোতাহার হোসেন মওলার মোবাইল ফোনে প্রত্যেককে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তারা কেউই ফোন রিসিভ করেননি। জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে শনিবার বিকেলে ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি রনি ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতা স্কুল শিক্ষিকা। যার মামলা নম্বর ৯ তারিখ ৫.০৯.২০ইং। ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের ৭/৯ও দ-বিধি আইনের ৩২৩ ও ৩৮৬ ধারা। এ মামলা দায়ের খবরটি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদ। তিনি মামলা রেকর্ড করার পর পরেই ধর্ষিতা স্কুল শিক্ষিকাকে থানা চত্বরে অবস্থিত ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পুলিশি হেফজাতে নেন। কিন্তু মামলা দায়ের করার খবরটি জানাজানি হলে জেলা আওয়ামী লীগের ২/৩ জন নেতা থানায় আসেন। এ সময় রনির সমর্থক অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। তারা মামলাটিকে মিথ্যা দাবি করে প্রত্যাহারের দাবি জানান।

একই ভাবে রোববার দুপুর পৌনে দু’টার দিকে আবারও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক জিয়নের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী কোতোয়ালি থানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে রনির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এ ব্যাপারে বিক্ষোভে অংশ নেয়া ছাত্রলীগ নেতা জিয়ন সাংবাদিকদের জানান মেয়েঘটিত একটি ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি রনির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরাও একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম সেটা নিয়ে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আমরা বিক্ষোভ করছি।

এদিকে ছাত্রলীগের রনি সমর্থকদের কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করার বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, রংপুর নগরীর কেরানীপাড়া মহল্লার মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমানের মেয়ে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি করেন। তিনি শনিবার কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগে জানান ২০১৭ সালে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। রনির বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাজিতপুর ফতেহপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আবু বক্কর। পরিচয়ের পর থেকে তাদের মাঝে ভালো বাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েটি জানায় রনি তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকা কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে কাজের কথা বলে ১৮ লাখ টাকা নিয়েছে বলে ধর্ষিতা মেয়েটি অভিযোগ করে। এর পরেও বিয়ে করার কথা বললে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। পরে তার বন্ধু বান্ধব ও স্বজনদের চাপে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল তারিখে মেয়েটিকে নীলফামারীতে বিয়ে করার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজল কুমারের বাসায় নিয়ে গিয়ে ভুয়া কাজী এনে আমাকে বিয়ে করা দেখানো হয়। এরপর ওই রাতে বাসর রাত বানিয়ে আমাকে উপুর্যুপরি ধর্ষণ করে রনি। ধর্ষিতা মেয়েটি অভিযোগ করে বিয়ের পর তাকে রনির বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বললে নানা টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। এরমধ্যে রনি ছাত্রলীগের সভাপতি ৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করায় আর ছাত্রলীগ করা হয়ত সম্ভব হবে না। সে কারণে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে ২০ লাখ টাকা দরকার। সেই টাকা তাকে জোগাড় করে দেয়ার জন্য চাপ দিলে টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি প্রদান করে। এদিকে ধর্ষিতা মেয়েটি রনিকে বিয়ে করার জন্য আবারও চাপ সৃষ্টি করলে চলতি বছরের ৫ জুন তারিখে তাদের কেরানী পাড়ার বাসায় আসে সেখানে রাত্রিযাপন করে এবং তাকে ধর্ষণ করে। কথা দেয় তাকে স্ত্রীর অধিকার ফিরিয়ে দেবে বাসায় নিয়ে যাবে। এত কিছুর পরেও রনির সঙ্গে সংসার করার জন্য কাকুতি মিনতি করে ধর্ষিতা মেয়েটি। গত ১২ জুলাই তারিখে রংপুর নগরীর গনেশপুর ক্লাব মোড় এলাকায় রনির ফুফুর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বলে তার সঙ্গে কোন বিয়ে হয়নি রেজিস্ট্রি হয়নি। কোন কাবিননামাও সম্পাদিত হয়নি। এরপর তার সহযোগীদের দিয়ে তাকে তার ফুপুর বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

image

রংপুর : স্কুল শিক্ষিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রনির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রনি সমর্থকদের কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ -সংবাদ

আরও খবর
তীব্র স্রোত ও নদীভাঙনে বছর বছর নাব্যতা সংকট
সংসদে প্রণব মুখার্জি ও দুই এমপির মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত
সাক্ষরতার হার ৭৪.৭ শতাংশ
কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের নথি তলব দুদকের
নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ ডা. জাফরুল্লাহর
সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
বেগুন ক্ষেত কেটে দিল দুর্বৃত্তরা
এনজিও কর্মীকে গলা কেটে হত্যা
তদন্ত প্রতিবেদন ২০ অক্টোবর দাখিলের নির্দেশ
পাপিয়া দম্পতির অস্ত্র মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
২ কোটি টাকার অবৈধ পলিথিন জব্দ

সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৭ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

রংপুরে রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দ্বিধা-বিভক্ত

থানা ঘেরাও বিক্ষোভ ঘটনার দায় নেবে না ছাত্রলীগ আ’লীগ নেতাদের মুখে কুলুপ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

image

রংপুর : স্কুল শিক্ষিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রনির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রনি সমর্থকদের কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ -সংবাদ

স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। রনির সমর্থকরা শনিবার রাতে ও গতকাল দুপুরে দু’দফা মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। তবে পুলিশ তাদের বাধা না দেয়ায় দু’বারই এক দেড় ঘণ্টা অবস্থান করে নিজেরাই বিক্ষোভ বন্ধ করে চলে গেছে।

এদিকে মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রনিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে এ ব্যাপারে থানার ওসি আবদুর রশিদসহ কোন পুলিশ কর্মকর্তাই কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান কানন বলেছেন, যেহেতু সভাপতি রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে সেখানে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত যা ব্যবস্থা নেয়া হোক না কেন তাতে আমাদের বলার কিছুই নেই। তবে তার সমর্থনে থানা ঘেরাওকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ব্যাপারে তিনি বলেন ছাত্রলীগ রংপুর জেলা এর কোন দায় নেবে না। অন্যদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মাঝে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। একটি অংশ চাচ্ছে রনি অপরাধ করে থাকলে তার বিচার হোক তবে কেউ কেউ রনির পক্ষে অবস্থান নিলেও তাদের দৃশ্যমান কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু অ্যাডভোকেট যুগ্ম সম্পাদক রোজি রহমান ও মোতাহার হোসেন মওলার মোবাইল ফোনে প্রত্যেককে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তারা কেউই ফোন রিসিভ করেননি। জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে শনিবার বিকেলে ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি রনি ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতা স্কুল শিক্ষিকা। যার মামলা নম্বর ৯ তারিখ ৫.০৯.২০ইং। ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের ৭/৯ও দ-বিধি আইনের ৩২৩ ও ৩৮৬ ধারা। এ মামলা দায়ের খবরটি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদ। তিনি মামলা রেকর্ড করার পর পরেই ধর্ষিতা স্কুল শিক্ষিকাকে থানা চত্বরে অবস্থিত ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পুলিশি হেফজাতে নেন। কিন্তু মামলা দায়ের করার খবরটি জানাজানি হলে জেলা আওয়ামী লীগের ২/৩ জন নেতা থানায় আসেন। এ সময় রনির সমর্থক অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। তারা মামলাটিকে মিথ্যা দাবি করে প্রত্যাহারের দাবি জানান।

একই ভাবে রোববার দুপুর পৌনে দু’টার দিকে আবারও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক জিয়নের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী কোতোয়ালি থানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে রনির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এ ব্যাপারে বিক্ষোভে অংশ নেয়া ছাত্রলীগ নেতা জিয়ন সাংবাদিকদের জানান মেয়েঘটিত একটি ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি রনির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরাও একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম সেটা নিয়ে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আমরা বিক্ষোভ করছি।

এদিকে ছাত্রলীগের রনি সমর্থকদের কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করার বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, রংপুর নগরীর কেরানীপাড়া মহল্লার মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমানের মেয়ে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি করেন। তিনি শনিবার কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগে জানান ২০১৭ সালে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। রনির বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাজিতপুর ফতেহপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আবু বক্কর। পরিচয়ের পর থেকে তাদের মাঝে ভালো বাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েটি জানায় রনি তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকা কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে কাজের কথা বলে ১৮ লাখ টাকা নিয়েছে বলে ধর্ষিতা মেয়েটি অভিযোগ করে। এর পরেও বিয়ে করার কথা বললে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। পরে তার বন্ধু বান্ধব ও স্বজনদের চাপে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল তারিখে মেয়েটিকে নীলফামারীতে বিয়ে করার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজল কুমারের বাসায় নিয়ে গিয়ে ভুয়া কাজী এনে আমাকে বিয়ে করা দেখানো হয়। এরপর ওই রাতে বাসর রাত বানিয়ে আমাকে উপুর্যুপরি ধর্ষণ করে রনি। ধর্ষিতা মেয়েটি অভিযোগ করে বিয়ের পর তাকে রনির বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বললে নানা টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। এরমধ্যে রনি ছাত্রলীগের সভাপতি ৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করায় আর ছাত্রলীগ করা হয়ত সম্ভব হবে না। সে কারণে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে ২০ লাখ টাকা দরকার। সেই টাকা তাকে জোগাড় করে দেয়ার জন্য চাপ দিলে টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি প্রদান করে। এদিকে ধর্ষিতা মেয়েটি রনিকে বিয়ে করার জন্য আবারও চাপ সৃষ্টি করলে চলতি বছরের ৫ জুন তারিখে তাদের কেরানী পাড়ার বাসায় আসে সেখানে রাত্রিযাপন করে এবং তাকে ধর্ষণ করে। কথা দেয় তাকে স্ত্রীর অধিকার ফিরিয়ে দেবে বাসায় নিয়ে যাবে। এত কিছুর পরেও রনির সঙ্গে সংসার করার জন্য কাকুতি মিনতি করে ধর্ষিতা মেয়েটি। গত ১২ জুলাই তারিখে রংপুর নগরীর গনেশপুর ক্লাব মোড় এলাকায় রনির ফুফুর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বলে তার সঙ্গে কোন বিয়ে হয়নি রেজিস্ট্রি হয়নি। কোন কাবিননামাও সম্পাদিত হয়নি। এরপর তার সহযোগীদের দিয়ে তাকে তার ফুপুর বাড়ি থেকে বের করে দেয়।