নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে করা রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গতকাল তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি শেষে এ মামলায় মোট ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল সাংবাদিকদের জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই আরিফুজ্জামান, সুধাংশু সরকার, মো. সাইরুল সাক্ষ্য দেন আদালতে। পরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এ তিনজন সাক্ষীর মধ্যে সুধাংশু সরকার ও মো. সাইরুল ইসলামকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। তবে আরেক সাক্ষী আরিফুজ্জামানের জবানবন্দি শেষ হয়েছে তবে সময়সল্পতার কারণে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করতে পারেনি। এ কারনে আগামী ৮ সেপ্টেম্বরও নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে ২৯ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যাব। পরে বিচারের জন্য এ আদালতে মামলাটি বদলি হয় বিচারিক আদালতে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুই সহযোগীসহ পাপিয়া এবং তার স্বামীকে আটক করে র্যাব-১। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়। পরে পাপিয়ার ফার্মগেটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অস্ত্র ও একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।
সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৭ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭
আদালত প্রতিবেদক
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে করা রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গতকাল তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি শেষে এ মামলায় মোট ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল সাংবাদিকদের জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই আরিফুজ্জামান, সুধাংশু সরকার, মো. সাইরুল সাক্ষ্য দেন আদালতে। পরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এ তিনজন সাক্ষীর মধ্যে সুধাংশু সরকার ও মো. সাইরুল ইসলামকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। তবে আরেক সাক্ষী আরিফুজ্জামানের জবানবন্দি শেষ হয়েছে তবে সময়সল্পতার কারণে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করতে পারেনি। এ কারনে আগামী ৮ সেপ্টেম্বরও নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে ২৯ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যাব। পরে বিচারের জন্য এ আদালতে মামলাটি বদলি হয় বিচারিক আদালতে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুই সহযোগীসহ পাপিয়া এবং তার স্বামীকে আটক করে র্যাব-১। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়। পরে পাপিয়ার ফার্মগেটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অস্ত্র ও একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।