দীর্ঘমেয়াদি বন্যা ও বৃষ্টির কারণে দেশজুড়ে বিপুল পরিমাণ সবজি নষ্ট হওয়ায় বাজারে নিত্যপণ্যের দামের যে ঊর্ধ্বগতি তা আর কমেনি। বিশেষ করে সবজির দাম আকাশছোঁয়া। দীর্ঘমেয়াদে সব ধরনের সবজির উচ্চমূল্য ভোক্তা সাধারণকে ভীষণ বিপাকে ফেলেছে। গত দুই মাস ধরে বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকার ওপরে। কোন-কোনটির দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা। ভোক্তারা বলছেন, সরকারের বাজার মনিটরিং না থাকায় এ অবস্থা দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে গত শনিবার গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অতি মুনাফালোভী পাইকারি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভোক্তাদের জিম্মি করে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। চালের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও রয়েছে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। সরকার দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিকেট ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও তা নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্রয়ক্ষমতা না বাড়ায় সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে করোনা মহামারীর কারণে দেশের অধিকাংশ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় এবং আয় কমে যাওয়ায় আরও বিপাকে পড়েছেন। আগে শুধু রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলেও এখন সারাবছরই নিত্যপণ্যের দাম চড়া থাকে। আর এ বছর করোনা ও বন্যার অজুহাতে দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। পরিতাপের বিষয় হলো, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন উচ্চবাচ্য হয় না বললেই চলে। বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারের শক্ত কোন ভূমিকা নেই- এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
আমরা দেখেছি, অতীতে বহুবার সময় ও সুযোগের সদ্ব্যবহার করে নিত্যপণ্যসহ অন্যান্য পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে এবং এখনও তা হচ্ছে। যোগসাজশের মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থার স্বাভাবিক গতি যদি বাধাগ্রস্ত করা হয়, তাহলে একদিকে যেমন ভোক্তাস্বার্থের হানি ঘটে, অন্যদিকে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পড়ে এর বিরূপ প্রভাব। ব্যবসায় মুনাফা অর্জন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে মুনাফা অর্জনের নামে নীতিজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড সমর্থনযোগ্য নয়।
আমরা চাই, নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল থাকুক। এজন্য বাজার ব্যবস্থাকে সিন্ডিকেটমুক্ত করতে হবে সরকারকে। এ পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদ ও বাজার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের পরামর্শও সরকারকে আমলে নিতে হবে।
সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৭ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭
দীর্ঘমেয়াদি বন্যা ও বৃষ্টির কারণে দেশজুড়ে বিপুল পরিমাণ সবজি নষ্ট হওয়ায় বাজারে নিত্যপণ্যের দামের যে ঊর্ধ্বগতি তা আর কমেনি। বিশেষ করে সবজির দাম আকাশছোঁয়া। দীর্ঘমেয়াদে সব ধরনের সবজির উচ্চমূল্য ভোক্তা সাধারণকে ভীষণ বিপাকে ফেলেছে। গত দুই মাস ধরে বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকার ওপরে। কোন-কোনটির দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা। ভোক্তারা বলছেন, সরকারের বাজার মনিটরিং না থাকায় এ অবস্থা দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে গত শনিবার গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অতি মুনাফালোভী পাইকারি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভোক্তাদের জিম্মি করে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। চালের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও রয়েছে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। সরকার দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিকেট ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও তা নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্রয়ক্ষমতা না বাড়ায় সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে করোনা মহামারীর কারণে দেশের অধিকাংশ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় এবং আয় কমে যাওয়ায় আরও বিপাকে পড়েছেন। আগে শুধু রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলেও এখন সারাবছরই নিত্যপণ্যের দাম চড়া থাকে। আর এ বছর করোনা ও বন্যার অজুহাতে দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। পরিতাপের বিষয় হলো, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন উচ্চবাচ্য হয় না বললেই চলে। বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারের শক্ত কোন ভূমিকা নেই- এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
আমরা দেখেছি, অতীতে বহুবার সময় ও সুযোগের সদ্ব্যবহার করে নিত্যপণ্যসহ অন্যান্য পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে এবং এখনও তা হচ্ছে। যোগসাজশের মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থার স্বাভাবিক গতি যদি বাধাগ্রস্ত করা হয়, তাহলে একদিকে যেমন ভোক্তাস্বার্থের হানি ঘটে, অন্যদিকে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পড়ে এর বিরূপ প্রভাব। ব্যবসায় মুনাফা অর্জন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে মুনাফা অর্জনের নামে নীতিজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড সমর্থনযোগ্য নয়।
আমরা চাই, নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল থাকুক। এজন্য বাজার ব্যবস্থাকে সিন্ডিকেটমুক্ত করতে হবে সরকারকে। এ পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদ ও বাজার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের পরামর্শও সরকারকে আমলে নিতে হবে।