শিল্প-কারখানায় জিরো এক্সিডেন্ট ও জিরো পল্যুশন নীতি : শিল্পমন্ত্রী

টেকসই উন্নয়ন অভিস্ট (এসডিজি) অর্জনে বর্তমান সরকার শিল্প-কারখানায় জিরো এক্সিডেন্ট ও জিরো পল্যুশন নীতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সরকার বয়লারের নিরাপদ ব্যবহার ও সংরক্ষণের মাধ্যমে শিল্প দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশে ক্রমবর্ধমান শিল্পায়নের প্রেক্ষাপটে ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গতকাল প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত ‘বয়লার ব্যবহার ও পরিদর্শন সহায়িকা’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

শিল্পসচিব কেএম আলী আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন এনডিসি। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান এবং প্রধান বয়লার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন। শিল্প দুর্ঘটনা প্রতিরোধে গ্রন্থটির গুরুত্ব তুলে ধরে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুস্তিকাটিতে বয়লার পরিচালনা ও পরিদর্শন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য অত্যন্ত সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এটি বয়লার সংরক্ষণে কার্যকর গাইডলাইন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আগামী দিনে বয়লার দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অবদান রাখবে। এ গ্রন্থে সংযুক্ত বিভিন্ন চেকলিস্ট বয়লার পরিদর্শক/প্রকৌশলীদের পরিদর্শনকালে বয়লার ব্যবহারের বৈধতা ও গুণগতমান সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেবে। এর ফলে শিল্পখাতের জন্য নির্ধারিত টেকসই উন্নয়ন অভিস্টের ৭, ৮, ৯ এবং ১২ নম্বর লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় নিবন্ধিত বয়লারের সংখ্যা ১২ হাজার ৪৩৮টি। প্রতিবছর প্রায় ৬শ’টি বয়লার নিবন্ধিত হয়। প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়ের প্রচেষ্টায় দেশে ছোট ও মাঝারি আকারের বয়লার তৈরির জন্য প্রায় ২৫টি বয়লার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে ০১টি প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ায় বয়লার রপ্তানি করছে। দেশে এখন প্রতি বছর ছোট ও মাঝারি আকারের প্রায় ৩শ’টি বয়লার তৈরি হচ্ছে। বয়লার ব্যবহার ও পরিদর্শন সহায়িকা শীর্ষক গ্রন্থে প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়ের পরিচিতি ও কার্যক্রম, সেবা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা, সেবা গ্রহণের পদ্ধতি ও সময় সম্পর্কে বিশদভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। পুস্তিকাটির মধ্যে বয়লার ও বয়লারের গুরুত্বপূর্ণ মাউন্টিংস ও এক্সেসরিজ সম্পর্কে আলোচনার পাশাপাশি বয়লার সংক্রান্ত প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী বয়লার ব্যবহারকারীর জন্য করণীয় ও বিধিনিষেধ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। এতে বয়লার দুর্ঘটনার ঝুঁকি, দুর্ঘটনার কারণ এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা রয়েছে।

মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৮ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭

শিল্প-কারখানায় জিরো এক্সিডেন্ট ও জিরো পল্যুশন নীতি : শিল্পমন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

টেকসই উন্নয়ন অভিস্ট (এসডিজি) অর্জনে বর্তমান সরকার শিল্প-কারখানায় জিরো এক্সিডেন্ট ও জিরো পল্যুশন নীতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সরকার বয়লারের নিরাপদ ব্যবহার ও সংরক্ষণের মাধ্যমে শিল্প দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশে ক্রমবর্ধমান শিল্পায়নের প্রেক্ষাপটে ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গতকাল প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত ‘বয়লার ব্যবহার ও পরিদর্শন সহায়িকা’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

শিল্পসচিব কেএম আলী আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন এনডিসি। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান এবং প্রধান বয়লার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন। শিল্প দুর্ঘটনা প্রতিরোধে গ্রন্থটির গুরুত্ব তুলে ধরে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুস্তিকাটিতে বয়লার পরিচালনা ও পরিদর্শন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য অত্যন্ত সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এটি বয়লার সংরক্ষণে কার্যকর গাইডলাইন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আগামী দিনে বয়লার দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অবদান রাখবে। এ গ্রন্থে সংযুক্ত বিভিন্ন চেকলিস্ট বয়লার পরিদর্শক/প্রকৌশলীদের পরিদর্শনকালে বয়লার ব্যবহারের বৈধতা ও গুণগতমান সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেবে। এর ফলে শিল্পখাতের জন্য নির্ধারিত টেকসই উন্নয়ন অভিস্টের ৭, ৮, ৯ এবং ১২ নম্বর লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় নিবন্ধিত বয়লারের সংখ্যা ১২ হাজার ৪৩৮টি। প্রতিবছর প্রায় ৬শ’টি বয়লার নিবন্ধিত হয়। প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়ের প্রচেষ্টায় দেশে ছোট ও মাঝারি আকারের বয়লার তৈরির জন্য প্রায় ২৫টি বয়লার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে ০১টি প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ায় বয়লার রপ্তানি করছে। দেশে এখন প্রতি বছর ছোট ও মাঝারি আকারের প্রায় ৩শ’টি বয়লার তৈরি হচ্ছে। বয়লার ব্যবহার ও পরিদর্শন সহায়িকা শীর্ষক গ্রন্থে প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়ের পরিচিতি ও কার্যক্রম, সেবা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা, সেবা গ্রহণের পদ্ধতি ও সময় সম্পর্কে বিশদভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। পুস্তিকাটির মধ্যে বয়লার ও বয়লারের গুরুত্বপূর্ণ মাউন্টিংস ও এক্সেসরিজ সম্পর্কে আলোচনার পাশাপাশি বয়লার সংক্রান্ত প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী বয়লার ব্যবহারকারীর জন্য করণীয় ও বিধিনিষেধ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। এতে বয়লার দুর্ঘটনার ঝুঁকি, দুর্ঘটনার কারণ এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা রয়েছে।